স্বরূপকাঠির পেয়ারা হতে পারে লাভজনক শিল্প

Saturday, August 7, 2010


স্বরূপকাঠি ও আশেপাশের এলাকায় বর্ষাকালে ব্যাপকহারে পেয়ারা উৎপাদিত হয়। এটি শুধু রোচক মৌসুমী ফল হিসাবে পরিচিত। সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগ থাকলে ফলটি প্রক্রিয়াজাত করে বছর জুড়ে তা ভোক্তাদের চাহিদা মেটানো ও এ থেকে মোটা অংকের লাভসহ চাষিরা প্রকৃত দাম পেতে পারে।

স্বরূপকাঠিতে প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপন করে পেয়ারার অর্থনৈতিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজন উদ্যোক্তা ও পুঁজির। পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠি উপজেলার আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নভূক্ত বিভিন্ন গ্রাম, পাশের ঝালকাঠি সদর উপজেলা ও বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার পাশাপাশি অবস্থিত অনত্মত ৩০টি গ্রাম পেয়ারা চাষের জন্য বিখ্যাত। এ ছাড়া স্বরূপকাঠির বলদিয়া ইউনিয়নের কিছু এলাকা, নাজিরপুরের দেউলবাড়ী দোবরা, বানারীপাড়ার বিশারকান্দি, সৈয়দকাঠি, উদয়কাঠি ও ইলুহার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পেয়ারা চাষ উলেস্নখযোগ্য হারে বেড়েছে।

স্বরূপকাঠি, ঝালকাঠি ও বানারীপাড়া থেকে লঞ্চ, মিনিকার্গো ও ট্রাক যোগে প্রতিদিন শত শত মণ পেয়ারা ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, কুমিলস্না নোয়াখালী, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও পাইকাররা সরাসরি পেয়ারা ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। পাইকারিভাবে পেয়ারা মণ প্রতি ৩৫০/৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। বছরে প্রায় ১০ হাজার মেট্রিকটন উৎপাদিত পেয়ারা থেকে এখানকার চাষিরা প্রায় ৯/১০ কোটি টাকা আয় করছে।

সংরক্ষণের অভাবে বাংলার আপেল নামে খ্যাত পেয়ারার ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে চাষিরা। লাভজনক অর্থকরী এ মৌসুমী ফলের চাষাবাদকে টিকিয়ে রাখতে এবং চাষিদের উৎসাহিত করতে সরকারি বা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় জ্যাম, জেলি ও আচার তৈরির কারখানা ও হিমাগার নির্মাণে এখানকার পেয়ারা চাষিদের দাবি দীর্ঘদিনের।

স্বরূপকাঠি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হূদয়েশ্বর দত্ত বলেন, স্বরূপকাঠি জাতের পেয়ারা বিপুল খাদ্য গুণে সমৃদ্ধ। দেশী ফল হিসাবে এর চাহিদাও ব্যাপক। বর্ষাকালে মাত্র দু’মাসের মৌসুমী ফল হিসাবে ভোক্তারা এ ফলটির স্বাদ পেলেও তা প্রক্রিয়াজাত করে সারা বছরই পেয়ারাকে খাদ্য হিসাবে ভোগ করা যায়।

বিসিকের ম্যানেজার মোজাম্মেল হক জানান, মৌসুমী ফল বলে পেয়ারা ও আমড়া সংরড়্গণে হিমাগার ও তা বোতলজাত খাদ্য হিসাবে প্রক্রিয়াজাত করার জন্য শিল্প স্থাপন লাভজনক হবে। খাদ্য শিল্প ও স্থানীয় পুঁজি বিনিয়োগকারীরা উদ্যোগ নিলে স্বরূপকাঠির বিসিক শিল্পনগরীতে এ জাতীয় একাধিক কারখানা স্থাপন করা যেতে পারে।

সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক

মনের উঠোনে

সাম্প্রতিক সংযোজন

মোবাইল থেকে দেখুন

আমাদের দেশ এখন আপনার মুঠোফোনে, মোবাইল থেকে লগইন করুন আমাদের দেশ

দ র্শ না র্থী

দ র্শ না র্থী

free counters

কে কে অনলাইনে আছেন