
আমাদের দেশের গ্রামাঞ্চলে বসতবাড়ির আনাচে-কানাচে ছায়াযুক্ত স্যাঁতসেঁতে  জায়গায় কিংবা স্তূপীকৃত গোবর রাখার স্থানে ছাতার আকৃতির সাদা রংয়ের এক  ধরনের ছত্রাক জন্মাতে দেখা যায়। একে আমরা ব্যাঙের ছাতা বলে অভিহিত করে  থাকি। আগাছার মতো যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা এসব ছত্রাক খাবার উপযোগী নয়। অনুরূপ  দেখতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষের মাধ্যমে যে ব্যাঙের ছাতা উত্পাদিত হয়, তা  অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং বিশ্বে সবজি হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই ব্যাঙের  ছাতাকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘মাশরুম’। মাশরুমের চাষে এবং এর ব্যবহার আমাদের  দেশে তেমন প্রসার ঘটেনি। এখন পর্যন্ত আমাদের দেশে শুধু চায়নিজ  রেস্তোরাঁগুলোয় মাশরুম স্যুপ একটি উপাদেয় খাবার হিসেবে পরিবেশন করা হয়। তবে  পৃথিবীর বহু দেশে স্যুপ ছাড়াও এটা অন্যান্য সবজির মতো খাবার হিসেবে  ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মাশরুম একদিকে যেমন অত্যন্ত কম সময়ে উত্পাদিত হয়, তেমনি  এগুলো রান্না করতেও সময় কম লাগে। মাত্র তিন-চার মিনিটেই মাশরুম সিদ্ধ হয়ে  যায়।
 মাশরুম একটি পুষ্টিকর খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ,  উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আমিষ এবং হজমে সাহায্যকারী এনজাইম রয়েছে। প্রতি ১০০  গ্রাম মাশরুমে থাকে ৩.১ গ্রাম আমিষ, ০.৮ গ্রাম স্নেহ, ১.৪ গ্রাম খনিজ  পদার্থ, ০.৪ গ্রাম আঁশ, ৪.৩ গ্রাম শর্করা, ৬ মি. গ্রাম কেলসিয়াম, ১১০ মি.  গ্রাম ফসফরাস, ১.৫ মি. গ্রাম লৌহ, ০.১৪ মি. গ্রাম ভিটামিন বি১, ০.১৬ মি.  গ্রাম বি২, ২.৪ মি. গ্রাম নায়াসিন, ১২ মি. গ্রাম ভিটামিন সি। এছাড়া  খাদ্যশক্তি থাকে ৪৩ কেলোরি। সাধারণত মাশরুমে মাছ-মাংসের চেয়ে কিছু বেশি এবং  প্রচলিত শাক-সবজির চেয়ে দ্বিগুণ খনিজ পদার্থ থাকে। আমিষের পরিমাণ থাকে  বাঁধাকপি ও অন্যান্য শাক-সবজির চেয়ে চারগুণ। এছাড়াও এতে যে ফলিক এসিড থাকে  তা অ্যামিনিয়া প্রতিরোধে সহায়তা করে। বহুমুত্র রোগী এবং যারা মোটা তাদের  জন্য মাশরুম একটি উত্তম খাবার। এটা খেতে বেশ সুস্বাদু এবং সহজেই হজম হয়।
 মাশরুম চাষ অত্যন্ত লাভজনক। মাত্র ১০-১৫ দিনেই খাবার উপযোগী হয়। এটা চাষের  জন্য আবাদী জমির প্রয়োজন হয় না। চাষের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সহজলভ্য। বেকার  যুবক-যুবতী এবং মহিলারা ঘরে বসেই এর চাষ করতে পারেন। অন্যান্য সবজির  তুলনায় বাজারে এর দাম অনেক বেশি, এজন্য এটা চাষ করা অত্যন্ত লাভজনক।  অভ্যন্তরীণ বাজার ছাড়াও বিদেশে রফতানির সুযোগ বিদ্যমান। গ্রীষ্মকালে যে  কোনো চালা ঘরের নিচে এবং বারান্দায় চাষ করা যায়। বর্ষাকালে পানি প্রবেশ করে  না অথচ বাতাস চলাচলের সুবিধা আছে এমন ঘরে এর চাষ করতে হয়। শীতকালে ভেজা  স্যাঁতসেঁতে অন্ধকার ঘরে এর চাষ হয়ে থাকে। বাংলাদেশে গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকালে  ‘স্ট্র মাশরুম’ এবং শীতকালে ‘ওয়েস্টার’ জাতের মাশরুম চাষ উপযোগী।
 মাশরুম পুষ্টিকর এবং ওষুধিগুণসম্পন্ন একটি উৎকৃষ্ট সবজি। বাংলাদেশের  আবহাওয়া ও জলবায়ু মাশরুম চাষের জন্য উপযোগী। মাশরুম চাষের উপকরণ খড়, কাঠের  গুঁড়া, আখের ছোবড়া অত্যন্ত- সস্তা ও সহজে পাওয়া যায়। এ সবজিটি ঘরের মধ্যে  চাষ করা যায় এবং মাত্র ৭-১০ দিনের মধ্যেই মাশরুম পাওয়া যায় যা অন্য ফসলে  পাওয়া যায় না। চাষাবাদে কোন খরচ নেই বললেই হয়। জমির প্রয়োজন হয় না।
 বর্তমানে বাংলাদেশে চাষকৃত মাশরুম হচ্ছে কিং ওয়েস্টার, বাটন, শিতাকে,  ইনোকি, মিল্কী হোয়াইট, বীচ, স্যাগী, নামেকো, পপলার ও স্ট্র ।
 খড়ের বেডে মাশরুম চাষ সাধারণত দুধাপে সম্পন্ন হয়ে থাকে। প্রথম ১৭ থেকে ২০  দিন ওমঘর ঘরে তারপর ফসল উৎপাদনের জন্য চাষঘরে ২১ দিন থেকে ৪৫ দিন। ওমঘর  ব্যবস্থাপনা এবং চাষঘর ব্যবস্থাপনা তথা স্ব স্ব ক্ষেত্রে যথাযথভাবে পরিবেশ  নিয়ন্ত্রণই হল এ চাষের মূল কৌশল।
 মাশরুম চাষা করতে বীজ, ধানের খড়, পাতলা পলিথিন ব্যাগ, ঝুলন- শিকা বা বাঁশ,  ছিদ্রযুক্ত কালো পলিথিন সিট, ঘরের উষ্ণতা ও আদ্রর্তা পরিমাপের জন্য  হাইগ্রোমিটার, ঘরের উষ্ণতা ও আদ্রর্তা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য হ্যান্ড  সপ্রেয়ার, জীবাণুনাশক, ব্লেড বা ছোট ছুরি, বালতি, আনুসাঙ্গিক অন্যান্য  উপকরণ।
 প্রয়োজনীয় উপকরণঃ ক. মাশরুমের বীজ বা স্পন।
 খ. বেড বা মাদা তৈরির জন্য ধানের শুকনা খড়।
 গ. বেডের স্তরে ও উপরে ব্যবহারের জন্য মিলের ছাঁট তুলা/শিমুল তুলা এবং  ধানের কুড়া/ছোলার বেসন।
 ঘ. খড় ভেজানোর জন্য ড্রাম বা মাটির বড় চাড়ি/গামলা।
 ঙ. বেডের তলায় ও উপরে ব্যবহারের জন্য পলিথিন কাগজ।
 চ. মাপ মতো বেড তৈরির জন্য একটি কাঠের তলাবিহীন বাক্স (১ মিটার ঢ৩০ সে.মি. ঢ  ৩০ সে.মি. আয়তনের)।
 মাশরুম উৎপাদন পদ্ধতি: বীজ প্যাকেট প্রস-তকরণ; সাদা মাইসেলিয়াম সমৃদ্ধ  মাশরুমের বীজ প্যাকেটের মুখ বন্ধ থাকলে রাবার ব্যান্ড, কাগজ, তুলা ও  প্লাস্টিক নেক খুলে আলাদা করে আবার প্যাকেটের মুখটি শুধু রাবার ব্যান্ড  দিয়ে পেচিয়ে ভালভাবে আটকাতে হবে; তারপর কম্পোস্ট প্যাকেটের উপরের দুপাশে  (বিপরীত দিকে) ব্লেড দিয়ে গোলাকার বা চোখের আকৃতি করে ৩-৪ সে.মি. পলিথিন  ব্যাগ কেটে ফেলতে হবে; কাটা অংশে চা চামচ দিয়ে ১ সে.মি. গভীর করে কম্পোস্ট  চেঁছে ফেলতে হবে। এ ব্যবস্থাকে মাশরুম উৎপাদনের জন্য উদ্দিপ্তকরণ বলে;  কম্পোস্ট প্যাকেট গুলো এবার একটি সুবিধামত পাত্রে পরিষ্কার পানিতে ৩০ মিনিট  পর্যন- ডুবিয়ে রাখতে হবে; পানির পাত্র থেকে প্যাকেটগুলো উঠিয়ে পরিষ্কার  স্থানে ৩০ মিনিট পর্যন- উল্টো করে রাখতে হবে যাতে প্যাকেটের বাড়তি পানি ঝরে  পড়ে; এখন কম্পোস্ট প্যাকেটগুলো মাশরুম চাষের জন্য প্রস্তুত হল। মাশরুম  উৎপাদনের ঘরে মাচার উপর প্রয়োজন অনুযায়ী একটি ভেজা পলিথিন পেতে উক্ত  কম্পোস্ট প্যাকেটগুলো মাচার উপর রাখতে হবে এবং আর একটি পলিথিন দিয়ে ঢেকে  দিতে হবে।
 পলিথিন দিয়ে প্যাকেটগুলোকে ২-৩ দিন ঢেকে রাখতে হবে। তবে প্রতিদিন  সকাল-দুপুর-বিকেল মোট ৩ বার প্যাকেটের উপরের ঢাকনা ১০ মিনিট পর্যন- সরিয়ে  রাখতে হবে যেন এ সময় বাতাস চলাচল করতে পারে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে  পলিথিনের উপরে হালকাভাবে পানি সপ্রে করতে হবে, অথবা ঘরের ভেতরের চারপাশে চট  ভিজিয়ে রাখা যেতে পারে।
 মাশরুম উঠানোর পর গোড়া থেকে ১-২ সে.মি. মত কেটে বোঁটাসহ ছিদ্রযুক্ত পলিথিন  ব্যাগে বাজারজাত করা ভাল। তবে বিশ্বাসযোগ্যতা ও দূষণমুক্ত রাখার জন্য  পলিথিন প্যাকেটের মুখ বন্ধ করে বাজারজাত করা দরকার। সাধারণ তাপমাত্রায়  মাশরুম ১২-১৫ ঘন্টা ভাল থাকে। ফ্রিজের সবজি রাখার স্থানে রাখলে ৩-৪ দিন  পর্যন- ভাল থাকে। তবে এ মাশরুম রোদে শুকিয়ে অনেকদিন রাখা যায়। মাশরুম  উঠানোর পর সুন্দর করে বোঁটা কেটে রোদে প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা করে ৩-৪ দিন  শুকিয়ে সংরক্ষণ করলে ১ বছর পর্যন- শুকনো মাশরুম ভাল থাকে।
 মাশরুম চাষ পদ্ধতির আরো কিছু টিপস >> পরিমাণমত শুকনো পরিষ্কার ধানের  খড় সংগ্রহ করে পানিভর্তি ড্রামের মধ্যে কিংবা মাটির বড় চাড়ির মধ্যে  ভালোভাবে নেড়েচেড়ে ভিজিয়ে নিন।
 >> ভেজানো খড়গুলো একটা ঝুড়িতে রেখে অতিরিক্ত পানি বের হতে দিন।
 >> এবার ভেজা খড়গুলো একটা পরিথিন কাগজের ওপর স্তূপ করে রেখে তার ওপর  আরেকটি পলিথিন কাগজ দিয়ে ভালোভাবে ঢেকে ২৪ ঘণ্টা রেখে দিন।
 >> পরিমাণমত শিমুল তুলা কিংবা মিলের পরিত্যক্ত তুলা একটি পাত্রে  ভিজিয়ে রাখুন।
 >> যে ঘরে বা স্থানে মাশরুম চাষ করা হবে সে জায়গা ভালোভাবে  পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে মেঝেতে পলিথিন বিছিয়ে দিন।
 >> এক মিটার লম্বা, এক মিটার চওড়া এবং ৩০ সি.মি. উঁচু তলাবিহীন কাঠের  ফরমা বা বাক্সটি পলিথিন বিছানো কাগজের ওপর রাখুন।
 >> এখন কাঠের ফরমার মধ্যে সমানভাবে ভিজা খড় একটু চাপ দিয়ে সাজাতে  থাকুন যেন বিছানো খড়ের স্তর ৮-১০ সে.মি. পুরু বা উঁচু হয়।
 >> চারদিকে খড়ের স্তূপের কিনার থেকে ৫ সে.মি. ছেড়ে এক সে.মি. পুরু ও ৫  সে.মি. চওড়া করে ভিজা তুলা ঠিকমত বিছিয়ে দিন।
 >> বীজ ছিটানোর পর একই নিয়মে আবার ৮-১০ সে.মি. করে খড় বিছিয়ে ২য় স্তর  তৈরি করে একইভাবে তুলা বিছিয়ে তাতে মাশরুম বীজ ছড়িয়ে দিন।
 >> এরপর একইভাবে ৩য় স্তর তৈরি হলে বেডের উপরের সব অংশে তুলা ছড়িয়ে  তার ওপর মাশরুম বীজ বুনে আবার হালকাভাবে সামান্য খড় ছিটানোর পর বাক্সটি ভরে  গেলে সাবধানে তুলে নিন।
 >> একই নিয়মে পাশাপাশি ১০ সে.মি. ফাঁকে ফাঁকে একটির পর একটি বেড  প্রয়োজনমত বসাতে থাকুন।
 >> প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাজানো শেষ হলে বেডগুলো পলিথিন কাগজ অথবা চট  দিয়ে ঢেকে দিন।
 মাশরুমের পরিচর্যা >> মাশরুম বেডে বীজ বপনের পর থেকে গজানোর আগ  পর্যন্ত তাপমাত্রা ৩৫ক্র-৪৫ক্র সে.-এর মধ্যে রাখা দরকার এবং মাশরুম গজাতে  শুরু করলে তাপমাত্রা ৩০ক্র-৩৫ক্র সে.-এর মধ্যে রাখতে হবে।
 >> পলিথিন দ্বারা ভালোভাবে ঢেকে তাপ বাড়ানো এবং খুলে দিয়ে তাপ কমানো  যায়। কাজেই অবস্থার প্রেক্ষিতে তাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
 >> মাশরুম বেডকে পোকা-মাকড় ও জীব-জন্তুর উপদ্রব থেকে রক্ষা করুন।
 >> মাশরুম বেড সব সময় ভেজা থাকা দরকার। বেডের উপরিভাগ শুকিয়ে গেলে  মাঝে মাঝে হালকাভাবে পানি ছিটিয়ে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়।
 মাশরুম সংগ্রহ >> মাশরুম বেডে বীজ বপনের ১০-১৫ দিনের মধ্যে আলপিনের  মাথার আকারে মাশরুম গজানোর লক্ষণ দেখা যায়। মাত্র ২ দিনের মধ্যে এ অবস্থা  পেরিয়ে মাশরুম দেশীয় মুরগির ডিমের আকার ধারণ করে। এ অবস্থা মাশরুম সংগ্রহের  উপযুক্ত সময়।
 >> সংগ্রহে বিলম্ব হলে মাশরুম ছাতার মতো হয়ে ফুটে যায় এবং এর স্বাদ  নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই সময়মত মাশরুম সংগ্রহ করা আবশ্যক।
 >> একটা বেড থেকে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত দফায় দফায় মাশরুম সংগ্রহ করা যায়।
 >> মাশরুম সংগ্রহ শেষ হলে বেডের সব আবর্জনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে  সেখানে পরের বারের জন্য মাশরুম চাষের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়।
 মাশরুম সংরক্ষণ >> মাশরুম তাজা অবস্থায় খাওয়া উত্তম।
 >> পলিথিন ব্যাগে সাধারণভাবে মাশরুম ১০-১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত ভালো থাকে।
 >> রিফ্রিজারেটরে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত মাশরুম অনায়াসে সংরক্ষণ করা  যায়।
 >> রোদে শুকিয়ে নিয়ে মাশরুম দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করা যায়।
 >> রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় ছোট ছোট টিনে বহুদিন ধরে সংরক্ষণ করে খাওয়া  চলে।
 অন্য তথ্যাবলী >> ৫ মিটার লম্বা ও ৪ মিটার চওড়া ঘরের মেঝেতে পূর্বে  বর্ণিত পরিমাপের ৩০টি বেডে একত্রে মাশরুম চাষ করা যায়।
 >> তাক বা র্যাক তৈরি করে তাতে চাষ করলে এ সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি করা  যায়।
 >> প্রতি বেডে গড়ে এক কেজি ’স্ট্র’ জাতের মাশরুম ফলে।
 >> বেড প্রতি ৩-৪ কেজি খড়, ২০০ গ্রাম তুলা এবং ১০০-১৫০ গ্রাম মাশরুম  বীজের প্রয়োজন হয়।
 >> বীজ বপন থেকে শুরু করে মাশরুম সংগ্রহ পর্যন্ত একটা ফসল চক্র শেষ  হতে সর্বমোট ২০ দিন সময় লাগে। অন্য কোনো সবজি এত তাড়াতাড়ি পাওয়া সম্ভব নয়।
 >> এক কেজি মাশরুম উত্পাদনে খরচ হয় প্রায় ১০০ টাকা।
 >> ৫ মিটার ঢ৪ মিটার আয়তনের একটা ঘরে বাঁশের তাক তৈরি করে (৩০×৪)  ১২০টি বেডে মাশরুম চাষ করে প্রতি ২০ দিনে ১২০ কেজি মাশরুম উত্পাদন করা  সম্ভব হবে। উত্পাদিত মাশরুম প্রতি কেজি বর্তমান বাজার মূল্য ২০০ টাকায়  বিক্রি করলে (২০০ টাকা × ১২০টি বেড)=২৪,০০০ টাকা পাওয়া যাবে, যা থেকে  ১২,০০০ টাকা খরচ বাদ দিয়ে ১২০০০ টাকা নিট মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।
 মাশরুমে রোগ-বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ অনেক কম। শুধু খড়ের বেড তৈরির সময়  আগাছা বাছাই করে ফেললে আগাছার প্রকোপ থাকবে না। আর মাছিপোকা ও তেলাপোকা  দমনের জন্য আঠার ফাঁদ, নকরোচ ব্যবহার করলেই চলে।
 মাশরুম দিয়ে মাশরুম ফ্রাই, আমিষ সমৃদ্ধ সু্যপ, মাশরুম চিকেন সু্যপ, মাশরুম  চিংড়ি, মাশরুম স্যান্ডউইচ, মাশরুম সস, মাশরুম পোলাও ও মাশরুম ওমলেট তৈরি  করা যায়।
 বর্তমানে সারা পৃথিবীতে মাশরুম খাদ্য হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করছে। কারণ,  মাশরুমে অনন্য শাকসবজি ও ফলের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি আমিষ থাকায় উন্নত  বিশ্বের লোকেরা একে সবজি মাংস হিসেবে অভিহিত করে। তাছাড়া রোগমুক্ত  স্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত মাশরুম রাখতে হবে আমাদের খাবার তালিকায়।
 এগ্রোবাংলা ডটকম
 মাশরুম চাষে ভাগ্য উন্নয়নের সম্ভাবনা
 জীবন ধারণের জন্য প্রত্যেকটি মানুষই কর্ম খুঁজে এবং সেই কাজের মাধ্যমেই  নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। সেই চাওয়া-পাওয়ার আচ্ছাদনে বিচার বিবেচনায়  সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট কাজগুলোই সবাইকে আকর্ষণ করে। মাশরুম চাষের মাধ্যমে যে  কেউ আত্দনির্ভরশীল হতে পারে।
 মাশরুম পরিচিতি: মাশরুম এক প্রকার ছত্রাক। এটা একটি সুস্বাদু খাবার।  বর্তমানে বাংলাদেশেও মাশরুম খাবার হিসেবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে; কিন্তু  সবধরনের মাশরুম খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। পৃথিবীতে প্রায় ৩ লাখ  প্রজাতির মাশরুম রয়েছে। এগুলোর মধ্যে প্রায় ২ লাখ ৯০ হাজার প্রজাতি খাওয়ার  অযোগ্য। আনুমানিক ১০ হাজার প্রজাতির মাশরুমের ওপর গবেষণা চলছে। এদের ভেতরে  মাত্র ১০ প্রজাতির মাশরুম খাবার হিসেবে গ্রহণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ঋষি  মাশরুম, গুটি বা বাটন মাশরুম, মিল্ক হোয়াইট মাশরুম, ওয়েস্টার মাশরুম, স্ট্র  মাশরুমের চাষ করা হচ্ছে। অধিক পরিমাণ লাভজনক হওয়ায় অনেক লোক মাশরুম চাষে  উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। মাশরুম চাষ একটি লাভজনক ব্যবসা। ক্ষুদ্র বা ব্যাপক পরিসরে  মাশরুম চাষ করা যায়। স্পূন থেকে মাশরুম চাষ করা হয়। এই স্পূনগুলো  ল্যাবরেটরিতে তৈরি করা হয়।
 মাশরুম চাষ পদ্ধতি: মাশরুম চাষ করতে গেলে সর্বপ্রথম সঠিক কর্মপরিকল্পনা করা  প্রয়োজন। সঠিকভাবে কাজ পরিচালনা করার জন্য হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নেওয়া  জরুরি। কিছু লোক একত্রে মিলেমিশে মাশরুম চাষ করলে দ্রুত লাভবান হওয়া সম্ভব।  ঘরে বসে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা মূলধন নিয়ে প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু  করা যায়। গ্রাম বা শহরের বেকার যুবকরা এই মাশরুম চাষ করে নিজেদের ভাগ্যের  পরিবর্তন করতে পারেন। পুরুষের পাশাপাশি মহিলারাও ঘরে বসে অল্প মূলধনে  মাশরুম চাষ শুরু করতে পারেন। মাশরুম চাষ করার জন্য আলোহীন স্যাঁতসেঁতে  পরিবেশ প্রয়োজন, তবে খেয়াল রাখতে হবে ঘরে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন  পৌঁছাতে পারে, শহর ও গ্রামে সব জায়গায় মাশরুম চাষ করা সম্ভব। স্পূনগুলোকে  রাখার জন্য ছোট ছোট মাচা ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো হতে পারে লোহা, বাঁশ  কিংবা কাঠের। অতিরিক্ত গরম মাশরুম চাষের জন্য প্রতিকূল; এজন্য প্রয়োজন হলে  ফ্যান ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি মাশরুম চাষের জন্য পর্যাপ্ত  পরিমাণে পানি প্রয়োজন। হ্যান্ড স্প্রে মেশিনের সাহায্যে স্পূনগুলোতে নিয়মিত  পানি দিয়ে স্যাঁতসেঁতে করে রাখতে হবে।
 এভাবে আসা যাক উৎপাদন সম্পর্কে সাধারণত ভালো মানের স্পূন থেকে গ্রীষ্মকালে  প্রতি আড়াই মাসে ৯০ থেকে ১০০ গ্রাম মাশরুম পাওয়া সম্ভব। শীত ও বর্ষাকালে  মাশরুম উৎপাদন অধিক পরিমাণে হয়ে থাকে এ সময় একটি ভালো মানের স্পূন থেকে  প্রতি আড়াই মাসে ২০০-২৫০ গ্রাম মাশরুম উৎপাদন করা যায়। ১০-১২ টাকা মূল্যের  এই স্পূনগুলো প্রতি আড়াই মাস পর পর পরিবর্তন করতে হয়। বাংলাদেশের অনেক  এলাকায়ই বর্তমানে মাশরুম চাষ করা হয়। এগুলোর মধ্যে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম,  রাজবাড়ী, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহীসহ সারাদেশেই বর্তমানে মাশরুম চাষ  করা হচ্ছে। ঢাকা শহরে বিভিন্ন এলাকায় যেমন গোড়ান, কোর্ট কাচারি এলাকা,  রামপুরা, বনশ্রী, সাভার, টঙ্গীতে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ করছে।
 মাশরুম বিপণন পদ্ধতি: মাশরুম চাষের পাশাপাশি মাশরুম বিপণন অত্যন্ত  গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে বিপণন করতে না পারলে মাশরুম থেকে অধিক পরিমাণ লাভ  করা সম্ভব নয়। এজন্য চাষের পাশাপাশি বিপণন বা মার্কেটিং পদ্ধতিটিও ভালোভাবে  জানা প্রয়োজন। মাশরুম কোথায় কোথায় বিক্রি করা যায়। কোথায় বিক্রি করলে লাভ  বেশি এগুলো জানা প্রয়োজন। সাধারণত বিভিন্ন হোটেলে মাশরুম বিক্রি করা যায়।  এছাড়া বড় বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর যেমন_ আগোরা, নন্দন, মিনা বাজার ইত্যাদি  জায়গায় ভালো ও অধিক পরিমাণে মাশরুম সরবরাহ করতে পারলে বিক্রির সুযোগ আছে।  খোলাবাজারে নিজ উদ্যোগেও মাশরুম বিক্রি করা সম্ভব। সাধারণত বাজারে  প্রতিকেজি মাশরুম ১৫০-২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। যদি কোনো কারণে কখনো  মাশরুম বিক্রি করা না যায়, সেক্ষেত্রে মাশরুম শুকিয়ে রাখা সম্ভব। এটাকে  ড্রাই মাশরুম বলে। বাজারে ড্রাই মাশরুমের দাম কেজিপ্রতি ১,০০০-১,২০০ টাকা।  ড্রাই মাশরুম পানিতে ভিজালে আবার কাঁচা মাশরুমের মতো হয়ে যায়। বিক্রির  অসুবিধা হলে মাশরুম সংরক্ষণ করা সম্ভব বলেই এটা একটি লাভজনক ব্যবসা। কোনো  সুখ্যাত প্রতিষ্ঠানে মাশরুম সরবরাহ করতে হলে দুটি বিষয় ভালো করে মনে রাখতে  হবে। একটি দ্রব্যের মান ও অপরটি দ্রব্যের উৎপাদনের পরিমাণ। যখন ভালো মানের  মাশরুমের চাহিদা তৈরি হবে তখন প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান তা অধিক পরিমাণে আশা  করবে। একজন ক্ষুদ্র মাশরুম চাষির পক্ষে যা পূরণ করা কষ্টকর। এ জন্যই  কিছুসংখ্যক লোক মিলেমিশে চাষাবাদ করতে পারলে অধিক পরিমাণ মাশরুম সরবরাহ করা  সম্ভব।
 মাশরুম চাষ ও প্রশিক্ষণ স্থান: মাশরুম চাষ ও প্রশিক্ষণের জন্য সরকারিভাবে  উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সাভারে কৃষি সম্প্র্রসারণ অধিদপ্তর 'মাশরুম  চাষ সেন্টার' নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে। এখানে প্রশিক্ষণের জন্য  প্রশিক্ষণার্থীকে আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। এই প্রশিক্ষণ প্রকল্পের  মেয়াদ তিন দিন পর্যন্ত। এখানে প্রশিক্ষণার্থীদের সরকারিভাবে সার্টিফিকেট  প্রদানের মাধ্যমে কিভাবে মাশরুম চাষ করা যায়, কিভাবে বিপণন করা যায়, মাশরুম  চাষের সমস্যা সুবিধা ইত্যাদি বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষা প্রদান করে থাকে।  সরকারিভাবে এই প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা অধিক সময় না হওয়ায় বিভিন্ন বেসরকারি  প্রতিষ্ঠান, এনজিও মাশরুম চাষের ওপর হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এগুলোর  মধ্যে ঢাকার মৌচাকে মুকুল টাওয়ারে 'হিউম্যান ওয়েলফেয়ার এন্ড ডেভেলপমেন্ট  সোসাইটি, সাভার বাসস্ট্যান্ডে পুরাতন কাস্টমস অফিসের পাশে 'শেফা মাশরুম'  ইত্যাদি অন্যতম। মাশরুমের চাষ সম্পর্কে বলতে গিয়ে 'হিরার' চেয়ারম্যান  ব্রজেন বিশ্বাস বলেন, মাশরুম অত্যন্ত সুস্বাদু ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার। এর  চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে; কিন্তু সরকারিভাবে সবসময় প্রশিক্ষণ না হওয়ায়  'হিরা' নিজস্ব উদ্যোগে মাশরুম চাষ ও গবেষণা শুরু করেছে। বর্তমানে 'হিরা'  থেকে মাশরুম চাষের ওপর প্রশিক্ষণও চালু হয়েছে। এ ব্যাপারে 'হিরার'  চেয়ারম্যান ব্রজেন বিশ্বাস আরো বলেন, ২০০৬ সাল থেকে তারা মাশরুম চাষের ওপর  প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করেন। প্রতিবছর এখান থেকে ২০০-২৫০ লোক, মাশরুম চাষের  ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। বছরের যেকোনো সময়ই এখানে মাশরুম চাষের ওপর  প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেন। প্রতি ব্যাচে ৫-২০ জন প্রশিক্ষণার্থী নিয়ে  প্রশিক্ষণ শুরু হয়। চারদিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে প্রশিক্ষণার্থীকে  জনপ্রতি ১ হাজার ৫০ টাকা করে প্রদান করতে হয়।
 সম্ভাবনা: মাশরুম চাষ আমাদের দেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় দিক। সরকার  সঠিকভাবে মাশরুম চাষের দিকে নজর দিলে মাশরুম চাষ একটি অন্যতম সাফল্যমণ্ডিত  ক্ষেত্রে পরিণত হবে। এখান থেকে হাজার হাজার বেকার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান  সৃষ্টি হবে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো মাশরুম  চাষের দিকে নজর দিলে সম্ভাবনাময় মাশরুম চাষ আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে এটাই  সবার প্রত্যাশা এবং এই প্রত্যাশার প্রাপ্তি যেন ঘটে।
 লেখক: বকুল হাসান খান
 এগ্রোবাংলা ডটকম
 বিস্ময়কর সবজি মাশরুম
 মাশরুম
 বিশ্বে যত স্বাস্খ্যকর খাবার আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো মাশরুম। অথচ না জেনে  না চিনে ব্যাঙের ছাতা মনে করে আমরা এটিকে কত না অবজ্ঞার চোখে দেখি।  মাশরুমের যে কত রকম ওষুধিগুণ আছে তার কোনো ঠিক নেই। পুষ্টিমানও অনেক। অন্য  যেকোনো সবজির মতো এটিকে খুব সহজেই সবজি হিসেবে খাওয়া যায়। নানান পুষ্টিগুণে  ভরপুর মাশরুমের যেসব ওষুধিগুণ আছে সেটা একবার দেখে নেয়া যাক।
 ১. নিয়মিত মাশরুম খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধব্যবস্খা উন্নত হয়। গর্ভবতী মা ও  শিশুদের জন্য মাশরুম একটি দারুণ দাওয়াই।
 ২. মাশরুমে চর্বি ও শর্করা কম এবং আঁশ বেশি থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য  আদর্শ খাবার।
 ৩. মাশরুমে আছে শরীরের কোলেস্টেরল কমানোর অন্যতম উপাদান ইরিটাডেনিন,  লোভাস্টটিন এবং এনটাডেনিন। তাই নিয়মিত মাশরুম খেলে হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ  নিরাময় করে।
 ৪. মাশরুমে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন-ডি, যা শিশুদের দাঁত ও  হাড় গঠনে অত্যন্ত কার্যকর।
 ৫. মাশরুমে আছে প্রচুর ফলিক অ্যাসিড ও লৌহ। ফলে মাশরুম খেলে রক্তশূন্যতা  দূর হয়। এ ছাড়া লিঙ্কজাই-৮ পদার্থ থাকায় এটি হেপাটাইটিস-বি জন্ডিস  প্রতিরোধক।
 ৬. মাশরুমে আছে বি-ডি গ্লুকেন, ল্যাম্পট্রোল, টারপিনওয়েড ও বেনজোপাইরিন, যা  ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধ করে।
 ৭. মাশরুমে ট্রাইটারপিন থাকায় এটি বিশ্বে এইডস প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহৃত  হচ্ছে।
 ৮. মাশরুমে ইলুডিন এম এবং এস থাকাতে আমাশয়ের উপকারী।
 ৯. মাশরুমে প্রচুর গ্লাইকোজেন থাকায় শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে। তাই যৌন  অক্ষম রোগীদের জন্য মাশরুম একটি মহৌষধ।
 ১০. মাশরুমে এডিনোসিন থাকায় ডেঙ্গুজ্বরের প্রতিরোধক।
 ১১. মাশরুমে স্ফিঙ্গলিপিড এবং ভিটামিন বি-১২ বেশি থাকায় স্নায়ুতন্ত্র ও  স্পাইনাল কর্ড সুস্খ রাখে। তাই মাশরুম খেলে হাইপারটেনশন দূর হয় এবং  মেরুদণ্ড দৃঢ় করে।
 ১২. মাশরুমে আছে এনজাইম, যা হজমে সহায়ক, রুচি বর্ধক ও পেটের পীড়া নিরাময়  করে।
 ১৩. মাশরুমে নিউক্লিক অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-এলার্জেন থাকায় কিডনি রোগ ও  এলার্জি প্রতিরোধক।
 ১৪. মাশরুমে প্রচুর সালফার সরবরাহকারী অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকায় চুল পড়া ও  পাকা প্রতিরোধ করে।
 লেখক : শহীদুর রহমান ভূঁইয়া, মাশরুম চাষি
 এগ্রোবাংলা ডটকম
 মাশরুম চাষ ও এ সংক্রান্ত বিষয়ে যাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন
 মাশরুম চাষ প্রশিক্ষন, বীজ ও লোনসহ ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য
 গ্রীন বাংলা মাশরুম কর্নার
 মাশরুম লাভলু
 বি-১৯, বিটিআরসি মার্কেট, বগুড়া
 মোবাইল: ০১৭১৬-৮৮৪৩৬৮
 বীজ, তাজা, শুকনা ও পাউডার মাশরুম পাইকারী ক্রয়-বিক্রয় এবং প্রশিক্ষন
 খাদেম মাশরুম সেন্টার
 শফিউল আজম খান
 মোবাইল: ০১৯১৬-৮২০৪৫৮, ০১৭১৫-৪৭৫০১২
 ৫৮১/সি, খিলগাঁও, ঢাকা-১২২৯
 মাশরুম উৎপাদন এবং ক্রয়-বিক্রয় কেন্দ্র
 সৈকত মাশরুম প্রকল্প
 মো: সোহরাব আলী
 মোবাইল: ০১৭১৬-৪০৮৮৮০
 ১০৪/১ কাতলাপুর, সাভার, ঢাকা
 মাশরুম স্পন ও পাইকারী ক্রয়-বিক্রয় কেন্দ্র
 এম. আর. টি মাশরুম প্রজেক্ট
 রতন ইসলাম
 মোবাইল: ০১৭১৫-৮৭৩৭৮০
 মডেল কলেজ রোড, ডগড়মোড়া, সাভার, ঢাকা
 তাজা, শুকনা এবং মাশরুম স্পন (বীজ) বিক্রয় কেন্দ্র
 সুখী মাশরুম
 আবদুল হালিম
 মোবাইল: ০১৯১২-৪১১৭৫৫
 ১৯/৯, আই ব্লক, ব্যাংক কলোনী, সাভার, ঢাকা
 মাশরুম বীজ, মাশরুমের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম (অটোক্লেভ মেশিন, পিপি, নেক, তুলা,  রাবার) বিক্রয় কেন্দ্র
 উদ্যম মাশরুম কর্নার
 মো: সাইফুল ইসলাম (জামান)
 মোবাইল: ০১৮১৬-৪৩০২৬৬, ০১৭১৬-৫০৩৮৩০, ০১১৯৯-১৬১২৯১
 বি-১১১, সোবাহানবাগ, সাভার, ঢাকা
 এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানতে হলে ফোন করা যেতে পারে। মোবাইল  নং-০১৭১০৪০৭০৭৪, ০১১৯৯৪২৫৫২৩, ০১৯১১৪০৫৩৬৬