টেস্ট রিলিফের (টিআর) গম কোন খাতে বিতরণ করা হবে, তা নিয়ে হবিগঞ্জ সদর আসনের সরকারদলীয় সাংসদ মো. আবু জাহির এবং হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জি কে গউছের মতবিরোধের কারণে অবশেষে ৪৭ টন গম ফেরত গেল।
ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত এ গম ফেরত যাওয়ার সত্যতা হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদ হাসান প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, গত জুন মাসের শেষের দিকে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে দুই দফায় হবিগঞ্জ পৌরসভাকে ৪৭ টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়, যার আনুমানিক মূল্য ১০ লাখ ১০ হাজার টাকা। পৌর এলাকার শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিতরণের জন্য এ বরাদ্দ আসে।
হবিগঞ্জ পৌরসভার ভিজিএফ কমিটি এ গম দিয়ে রাজনগর পৌর কবরস্থান সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর-লাখাই) আসনের সাংসদ মো. আবু জাহির এ গম হবিগঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনকে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য মৌখিকভাবে প্রস্তাব করেন পৌর কর্তৃপক্ষকে।
পৌরসভার মেয়র জি কে গউছ বলেন, টিআরের এ গম নীতিমালার বাইরে বিতরণ করার কোনো সুযোগ নেই। সাংসদের প্রস্তাব ছিল নীতিমালার বিপরীত, যে কারণে পৌরসভার সব কাউন্সিলর এবং এ-বিষয়ক কমিটি তা মেনে নেয়নি এবং গমের ব্যাপারে ডিসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে বলা হয়।
হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ মো. আবু জাহির বলেন, পদাধিকার বলে তিনি পৌরসভার এ গম বিতরণ কমিটির উপদেষ্টা। যেকোনো বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়ে তাঁর মতামত থাকতেই পারে। তিনি এ কারণে হবিগঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনকে বরাদ্দের সুপারিশ করেন। এটা নীতিমালার বাইরের কোনো বিষয় নয় বলে তিনি মনে করেন।
জেলা প্রশাসক মাহমুদ হাসান পৌরসভার চিঠি ও গম ফেরত যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সরকারী অনুদান সময়মতো না ওঠানোর কারণে এ গম সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পুনরায় ফেরত গেছে।
তথ্য সুত্র: প্রথম আলো ,তারিখ: ০৮-০৯-২০১১
ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দকৃত এ গম ফেরত যাওয়ার সত্যতা হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদ হাসান প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসন ও পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, গত জুন মাসের শেষের দিকে ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে দুই দফায় হবিগঞ্জ পৌরসভাকে ৪৭ টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়, যার আনুমানিক মূল্য ১০ লাখ ১০ হাজার টাকা। পৌর এলাকার শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিতরণের জন্য এ বরাদ্দ আসে।
হবিগঞ্জ পৌরসভার ভিজিএফ কমিটি এ গম দিয়ে রাজনগর পৌর কবরস্থান সংস্কার ও উন্নয়নের জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর-লাখাই) আসনের সাংসদ মো. আবু জাহির এ গম হবিগঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনকে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য মৌখিকভাবে প্রস্তাব করেন পৌর কর্তৃপক্ষকে।
পৌরসভার মেয়র জি কে গউছ বলেন, টিআরের এ গম নীতিমালার বাইরে বিতরণ করার কোনো সুযোগ নেই। সাংসদের প্রস্তাব ছিল নীতিমালার বিপরীত, যে কারণে পৌরসভার সব কাউন্সিলর এবং এ-বিষয়ক কমিটি তা মেনে নেয়নি এবং গমের ব্যাপারে ডিসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে বলা হয়।
হবিগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ মো. আবু জাহির বলেন, পদাধিকার বলে তিনি পৌরসভার এ গম বিতরণ কমিটির উপদেষ্টা। যেকোনো বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়ে তাঁর মতামত থাকতেই পারে। তিনি এ কারণে হবিগঞ্জ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনকে বরাদ্দের সুপারিশ করেন। এটা নীতিমালার বাইরের কোনো বিষয় নয় বলে তিনি মনে করেন।
জেলা প্রশাসক মাহমুদ হাসান পৌরসভার চিঠি ও গম ফেরত যাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সরকারী অনুদান সময়মতো না ওঠানোর কারণে এ গম সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পুনরায় ফেরত গেছে।
তথ্য সুত্র: প্রথম আলো ,তারিখ: ০৮-০৯-২০১১