ঘরেই ফলবে রঙিন টমেটো
Wednesday, April 25, 2018
Labels:
নার্সারি,
শাক-সব্জীর চাষ
Posted by
আমাদের রান্না
at
1:30 AM
বিস্ময়কর লাভজনক জারবেরা ফুল চাষ
Tuesday, April 17, 2018
যেভাবে তৈরী করবেন কোকেডামা
Saturday, April 7, 2018
- প্রথমেই গাছ নির্বাচন। ছোট জাতের গাছ। মস সরাসরি সূর্যালোক সহ্য করতে পারেনা, তাই ছায়ায় বেড়ে উঠতে পারে এমন ইনডোর প্ল্যান্ট নির্বাচন করতে হবে। আমি ব্যাবহার করেছি ছোট ফার্ন, ঘাস, আর বেগুনী বর্ণের ফুলগাছ।
- পিট মাটি (জৈব সার বিশিষ্ট পচা কালো মাটি, সাধারণত জলাধারের কাছে এ ধরণের মাটি পাওয়া যায়)
- আকেডামা (বনসাই তৈরির জন্য ব্যাভহ্রত বিশেষ ধরণের পাথুরে মাটি অথবা একুরিয়ামের তলদেশে ব্যাবহার করা মাটি বিশেষ অথবা যে কোন ধরণের পাথুরে মাটি)
- শুঁকনো মস
- কেঁচি
- তুলার সূতা
- ঝুলানোর জন্য প্যাঁচানো সূতা, পাঁটের সুতা
- দস্তানা
- এক জার পানি
- তাজা মস (পুরনো দেয়াল বা পচা কাঠ থেকে সংগ্রহ করতে পারেন)
![]() |
আকেডামা |
![]() |
শুঁকনো মস |
Labels:
কৃষি তথ্য,
জানা-অজানা,
নার্সারি
Posted by
আমাদের রান্না
at
3:00 AM
বসন্ত বাগানে...
Friday, March 30, 2018
নিমতেলে পোকা দমন
Tuesday, February 7, 2012
নারিকেল অর্থকরী ফসল হওয়ায় গাছটি দেশের সর্বত্রই দেখা যায়। গ্রামগঞ্জ, শহর-নগর সবখানেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে আগের মতো এর ফলন হচ্ছে না। তা ছাড়া নারিকেলের গায়ে এক ধরনের ছোট ছোট দাগ দেখা যাচ্ছে। নারিকেল হচ্ছে ছোট এবং বিকৃত ধরনের। 'মুচি' অবস্থায় ডাব ঝরে যাচ্ছে। মুচির সবুজ অংশ এদের খাদ্য। এদের ব্যাপক আক্রমণেই মুচি ঝরে যায়। মুচি যখন ডাবে পরিণত হয় তখন ডাবের গায়ে এদের আক্রমণের চিহ্ন বোঝা যায়। আক্রান্ত ডাবে পানি কম তাকে। অনেক সময় ডাবে পানি থাকেও না। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ডাবের মধ্যে থাকা শাঁস বা নারিকেল। তাই সঠিক সময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে নারিকেলের ফলন তো কম হবেই সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ডাব কিংবা-নারিকেল। মাকড়নাশক দু'ভাবে গাছে প্রয়োগ করা যেতে পারে। এক. ছোট গাছে স্প্রের মাধ্যমে। দুই. বড় গাছে শিকড়ের মাধ্যমে। মাকড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিশেষজ্ঞরা রাসায়নিক নাশক ব্যবহার না করে জৈবনাশক ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দেন। প্রতি লিটার পানির সঙ্গে এই তেল মেশাতে হবে। শিকড়ের মাধ্যমে মাকড়নাশক প্রয়োগ করার জন্য লাগবে পাঁচ হাজার পিপিএমের নিমতেল। প্রতিটি গাছের জন্য সাড়ে সাত মি.লি. এই তেল আর সমপরিমাণ জল একটি পলিথিন পাউচে ভরতে হবে। নারিকেল গাছের গোড়া থেকে আড়াই বা তিনফুট দূরে গর্ত খুঁড়লেই পাওয়া যাবে বেশকিছু জীবন্ত শিকড়। যে শিকড়টি পেনসিলের মতো মোটা এবং যার রং গাঢ় ঘিয়ের মতো সেই শিকড়ের মাথাটি কোনো ধারালো জিনিস দিয়ে তেরচা করে কাটতে হবে। এবার নিমতেলের দ্রবণভর্তি পলিথিনের পাউচের মধ্যে শিকড়টি ঢুকিয়ে মুখ বেঁধে গর্তে মাটি ভরে দিতে হবে। নারিকেলের ফলন ভালো পাওয়ার জন্য কেবল মাকড়নাশক প্রয়োগ করলেই হবে না। এর জন্য প্রয়োজন প্রতিবছরই বর্ষার আগে এবং বর্ষার পরে সার প্রয়োগ করাও জরুরি।
টবে শীতের ফুল
Wednesday, November 30, 2011

নগরের বিভিন্ন নার্সারিতে এখন নানা রকমের গাঁদা ফুলের চারা পাওয়া যাচ্ছে। গাঁদার সবচেয়ে আকর্ষণীয় হাইব্রিড ইনকা জাতের গাছ এখন ফুলসহ পাওয়া যাচ্ছে। ইনকা গাঁদা টবে লাগানোর জন্য খুবই ভালো। তবে এ ফুলের প্রস্ফুটনকাল অন্য জাতের গাঁদার চেয়ে কম। একটা গাছে দেশি বল গাঁদার যত ফুল ফোটে, ইনকার তত ফুল ফোটে না এবং ফুলও দেশি গাঁদার মতো অত দিন থাকে না।
জাম্বো গাঁদার গাছ খুব খাটো ও প্রচুর ডালপালা নিয়ে ছড়িয়ে বড় হয়, অনেক দিন ধরে প্রচুর ফুল ফোটে। টবে খুব ভালো হয়। জাম্বো গাঁদার ফুলের রং ইনকার মতো শুধু সরষে হলুদ, হলুদ বা কমলা নয়, খয়েরি বা মেরুন রঙে চিত্রিত। এই বৈচিত্র্যের জন্য জাম্বো গাঁদাকে অনেকেই পছন্দ করেন।
পুরোপুরি মেরুন রঙের ছোট ফুলের গাঁদা এ দেশে রক্তগাঁদা নামে পরিচিত, আসলে ওটা চায়নিজ গাঁদা। এটাও টবের জন্য ভালো, অনেক দিন ধরে প্রচুর ফুল পাওয়া যায়।
অন্য যত ফুল
শীতের ফুলের মধ্যে ডালিয়া ও চন্দ্রমল্লিকা অন্যতম। ডালিয়ার খাটো থেকে লম্বা—অনেক জাতের গাছ আছে। ছোট টবের জন্য খাটো গাছ ও বড় টবের জন্য লম্বা গাছ বেছে নিতে পারেন। ডালিয়ার কাটিং পলিব্যাগে বিভিন্ন নার্সারিতে পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো কিনে টবের মাটিতে বসিয়ে যত্ন নিলে মাস খানেক পর থেকেই ফুল ফুটতে শুরু করবে এবং জাতভেদে মার্চ পর্যন্ত ফুল দেবে। চন্দ্রমল্লিকার অসংখ্য জাত রয়েছে। বড় ফুলের কোঁকড়ানো পাপড়ির স্নোবল জাতটি অত্যন্ত আকর্ষণীয়। চন্দ্রমল্লিকা ফুল অনেক দিন টবে ফোটা থাকে, ফুলও ফোটে অনেক। শীতের অন্যান্য ফুলের মধ্যে লাগাতে পারেন ইউরোপ থেকে আসা অ্যান্টিরিনাম, দক্ষিণ আফ্রিকার ডেইজি, মেক্সিকোর ন্যাস্টারশিয়াম, চীনের অ্যাস্টার, যুক্তরাষ্ট্রের ক্লার্কিয়া, পপি, লুপিন, ফ্রান্স থেকে আসা কারনেশন ও প্যানজি, ইতালির সিসিলির সুইটপি প্রভৃতি ফুলের গাছ। এসবই এখন আমাদের দেশে সুলভ। এমনকি বাহারি রূপের গাজানিয়া, পিটুনিয়া, ভারবেনা, ফ্লক্স, হলুদ পপি, স্যালভিয়া, ডায়ান্থাস, ক্যালেন্ডুলা, হেলিক্রিসাম, কসমস, জারবেরা ইত্যাদিও লাগাতে পারেন। এর সব ফুলই টবে লাগানো যায়। এমনকি কলকের মতো নীলরঙা মর্নিং গ্লোরি বা পার্বতী লতানো ফুল হলেও শীতে টবে লাগাতে পারেন। চারা লাগিয়ে টবের ভেতর কাঠি পুঁতে জিআই তারের রিং দিয়ে ছোট্ট মাচার মতো করে তাতে লতিয়ে দিলে সে গাছও দেখতে বেশ লাগে। পুরো শীতেই এর ফুল ফুটবে।
টবে ফুল ফোটানোর সহজ পাঠ
শীতের ফুল লাগানোর জন্য ৮ থেকে ১২ ইঞ্চি মাপের টবই যথেষ্ট। ছোট আকৃতির গাছ, যেমন—ডায়ান্থাস, জাম্বো গাঁদা, পিটুনিয়া, গাজানিয়া ইত্যাদি ছোট টবে লাগাতে পারেন। ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, ইনকা গাঁদা ইত্যাদি লাগাতে পারেন ১০-১২ ইঞ্চি টবে। টবের আকৃতি অনুযায়ী, মাটির সঙ্গে টবপ্রতি ১৫০ থেকে ২৫০ গ্রাম প্যাকেটের জৈব সার, কম্পোস্ট বা ভার্মিকম্পোস্ট মিশিয়ে টব ভরবেন। পলিব্যাগের চারা টবের মাঝখানে সোজা করে লাগিয়ে চারার গোড়ার মাটি দুই হাতের আঙুল দিয়ে চেপে শক্ত করে দেবেন। এরপর পানি দেবেন। টবে আর কোনো সার দেওয়ার দরকার হবে না। তবে গাছের বাড়-বাড়তি কম মনে হলে কুঁড়ি আসার আগেই আরও কিছু কম্পোস্ট বা জৈব সার টবের মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেবেন। জৈব সার কয়েক দিন পরপর অল্প করে গাছের গোড়ার চারদিকে দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেবেন, অন্তত কুঁড়ি না আসা পর্যন্ত। টব রাখবেন রোদে, ছাদে বা ব্যালকনিতে। গাছে পানি দেওয়ার সময় শুধু গাছের গোড়ায় পানি না দিয়ে ঝাঁঝরি দিয়ে গাছের ওপর থেকে বৃষ্টির মতো গাছ-পাতা ভিজিয়ে নিয়মিত হালকা পানি দিন। এতে গাছ বেশি সতেজ হবে। ডালিয়া ও চন্দ্রমল্লিকা গাছে কাঠি পুঁতে ঠেস দেবেন। গাঁদা ফুলের আকার বড় করতে চাইলে প্রথম কুঁড়িগুলো নখ দিয়ে খুঁটে ভেঙে দিন। এতে ফুল বড় হবে এবং বেশি ফুল ফুটবে। ফুল শুকাতে শুরু করলে দ্রুত তা গাছ থেকে কেটে ফেলুন।
টব, সার ও চারার খোঁজ
ঢাকায় আগারগাঁওয়ে রোকেয়া সরণিতে ২০-২৫টি নার্সারি গড়ে উঠেছে, যেগুলোতে এখন শীতের মৌসুমি ফুলের পর্যাপ্ত চারা পাওয়া যাচ্ছে। ইনকা গাঁদার জন্য দেখতে পারেন আরণ্যক, খামারবাড়ী, আদর্শবন, তানজিলা, মাগুরা, গার্ডেনিয়া ইত্যাদি নার্সারি। সাদা গাঁদা ও ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার পাবেন কৃষিবিদ উপকরণ নার্সারিতে, চন্দ্রমল্লিকা ও স্নোবল পাবেন গ্রিন ওয়ার্ল্ড নার্সারিতে, গাজানিয়া ও স্যালভিয়া পাবেন মাগুরা নার্সারিতে, ডালিয়া পাবেন মমতাজ ও বৃষ্টি নার্সারিতে। শীতের প্রায় সব ফুলের প্রতিটি চারার দামই পলিব্যাগে ৬-১০ টাকার মধ্যে, তবে গাজানিয়া ও পিটুনিয়ার দাম ৩০ টাকা। টবে ইনকা গাঁদার ফুলসহ গাছ পাবেন ৪০-৮০ টাকার মধ্যে। প্যাকেটের কম্পোস্ট বা জৈব সার প্রতি কেজি ৪০ টাকা। মাটির টব ২০-৬০ টাকা, সিমেন্টের টব ৬০-৩০০ টাকা, পারটেক্স ব্র্যান্ডের প্লাস্টিকের পুনরায় ব্যবহারযোগ্য টব আট ইঞ্চি ৮০ টাকা, ১২ ইঞ্চি ১৭০ টাকা। পাবেন গ্রিনওয়ার্ল্ড নার্সারিতে। এ ছাড়া ফার্মগেটের কাছে খামারবাড়ীর পাশে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট চত্বরে ভোসড নার্সারিতেও শীতের ফুলের চারা ও সার পাবেন। সাভার ও ঢাকার বাইরের নার্সারিগুলোতে চারার দাম কিছুটা কম।
জাফরান ভেবে দইগোটা!
Wednesday, November 16, 2011

এমন একটি গাছের নাম দইগোটা।একে আবার লটকনও বলে অনেকে। এই রঞ্জক উদ্ভিদটি এখানে ভুল করে জাফরান ভাবা হয়। কিন্তু আকার-আকৃতিতে গাছ দুটি একেবারেই আলাদা। আদতে জাফরান বেশ দুষপ্রাপ্য এবং নামীদামি সুগন্ধি। জানামতে, দেশে এখন পর্যন্ত জাফরান চাষের কোনো রেকর্ড নেই। বর্ষজীবী এই কন্দজ গাছ সাধারণত শীতের দেশেই জন্মে। সেখানকার পরিকল্পিত বাগানগুলোতে প্রাকৃতিকভাবে জন্মাতে দেখেছি।
ঢাকার কোনো পার্কে বেড়াতে গেলে দইগোটার গাছ দৃষ্টি এড়িয়ে যেতে পারে। কারণ, চোখে পড়ার মতো তেমন আকর্ষণীয় কিছুই থাকে না প্রায় সারা বছর। শুধু চিরুনির ফলার মতো খোলসওয়ালা লালচে রঙের কতগুলো ফল চোখে পড়ে গাছে। তা-ও আবার উপাদেয় কোনো ফল নয় বলে মানুষের উৎসাহ খানিকটা কম। তবে বর্ষার শেষভাগ থেকে হেমন্ত পর্যন্ত ঈষৎ গোলাপি রঙের ফুলগুলো ফুটতে থাকে।
লটকন বা দইগোটা (Bixa orellana) সারা দেশে রঞ্জক হিসেবেই চাষ হয়। কিন্তু দেশি ফল লটকা বা লটকনের সঙ্গেও এর কোনো সম্পর্ক নেই। ধারণা করা হয়, বীজের রং দই রাঙানোর কাজে বেশি ব্যবহূত হতো বলেই এমন নামকরণ। প্রাচীনকালে মানুষ যে কয়েকটি গাছ থেকে প্রাকৃতিক রং সংগ্রহ করত, দইগোটা তার মধ্যে অন্যতম। রঞ্জক উদ্ভিদ সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে গিয়েই প্রথমে এ গাছ সম্পর্কে জানতে পারি। ঢাকায় রমনা পার্ক, বলধা গার্ডেন, বোটানিক্যাল গার্ডেনসহ কারও কারও ব্যক্তিগত সংগ্রহেও দেখা যায়।
এটি ক্রান্তীয় আমেরিকার প্রজাতি। সতেরো শতাব্দীর দিকে স্প্যানিশদের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। গাছ ছোট, ঝোপাল, চার থেকে পাঁচ মিটার উঁচু ও চিরসবুজ। পাতা বড়। ফুল ফোটে শরৎ থেকে শীতের প্রথমভাগ অবধি। ফুল একসঙ্গে অল্প কয়েকটি ফোটে। দেখতে গোলাপি, ঈষৎ বেগুনি বা সাদাটে। পাপড়ির মাঝখানে হলুদ-সোনালি রঙের একগুচ্ছ পুংকেশর থাকে। ফল লালচে বাদামি, নরম কাঁটায় ভরা। বীজ লাল শাঁসে জড়ানো। এই বীজ থেকেই পাওয়া যায় রং।
এবার জাফরান প্রসঙ্গ। এরা পেঁয়াজের মতো পাতা ও কাণ্ডবিশিষ্ট বহুবর্ষজীবী গুল্ম। মাটির নিচে মূলে কন্দ ও অনেক শিকড় থাকে। অন্য নাম কুমকুম বা কুঙ্কুম। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে এই গণের ৬০টি প্রজাতি রয়েছে। জাফরান (Crocus sativus) স্বাদে তেতো, ঝাঁজালো, পিচ্ছিল ও সুগন্ধময়। দামি রান্নায় ও সুগন্ধের জন্য পরিমাণমতো ব্যবহার করা হয়। ভালো জাফরান রক্তাভ-পীত রঙের এবং পদ্মগন্ধযুক্ত। প্রাচীনকাল থেকেই কাশ্মীরে এ ধরনের উৎকৃষ্ট মানের জাফরান জন্মে। তা ছাড়া ইরান, ইতালি, ফ্রান্স ও স্পেনেও এর ব্যাপক চাষ হয়।
খাদ্যদ্রব্য ছাড়াও দামি প্রসাধন সামগ্রী হিসেবে জাফরান ব্যবহার্য। প্রাচীনকালে জাফরান গায়ে মাখা হতো শরীরের সৌষ্ঠব বাড়ানোর জন্য। ত্বক এর গুণে লাবণ্যময় হয়ে ওঠে। এ ছাড়া নানা রোগেও জাফরানের বহুমাত্রিক ব্যবহার লক্ষ করা যায়। চড়া মূল্যের কারণে ইদানীং জাফরানের ব্যবহার অনেক কমেছে।
এবার নিশ্চয়ই আর জাফরান ভেবে অন্য কোনো গাছ নিয়ে বাড়ি ফিরবেন না।
তথ্য সুত্র: প্রথম আলো , তারিখ: ১৫-১১-২০১১
Labels:
অনান্য,
কৃষি তথ্য,
জানা-অজানা,
নার্সারি,
ফল-মূল চাষ
Posted by
আমাদের রান্না
at
1:00 AM
আমের মুকুলে ভরে গেছে আঙিনা
Friday, April 22, 2011

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও ফল বিশেষজ্ঞ ড. মাহবুব রব্বানী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, আম গাছের জেনেটিক বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এক বছর অন্তর অন্তর ফুল ও ফল ধারণ করে। অর্থাৎ এক বছর ফল ভালো হয় পরের বছর ফল কম হয়। গত বছর দক্ষিণাঞ্চলে আমের ছিল অফ-ইয়ার। গত বছর এ অঞ্চলে আমের ফলন ছিল না বললেই চলে। এ বছর দক্ষিণাঞ্চলে আমের অন-ইয়ার। যে কারণে এ বছর প্রতিটি আম গাছে মুকুল ধরেছে। ড. রব্বানী আরো বলেন, বর্তমানে প্রতি বছর আম গাছে যাতে আম ধরে সে জন্য চান্স সিডলিং এর মাধ্যমে উন্নত জাতের যেমন_ ফজলি, ল্যাংরা ও মোহন ভোগ প্রভৃতি আমের বাগান তৈরি হচ্ছে। এতে প্রতি বছরই মুকুল ও আম ধরে। বাউফল উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণাঞ্চলের জেলাসমূহ বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠীতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কেউ উন্নত জাতের আম বাগান তৈরি করে না। তবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উন্নত জাতের আমের বাগান তৈরি হয়। ভবিষ্যতে আবহাওয়া বিরূপ না হলে আমের বাম্পার ফলনই আশা করছি। এলাকার যেসব আম গাছে এখন মুকুল বের হচ্ছে অথচ ফোটেনি এমন গাছে প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২ ছিপি (কর্ক) হারে রিফকর্ড / একতারা / ওস্তাদ / শিমবুস-এর যে কোনো একটির সঙ্গে প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৪০ থেকে ৪৫ গ্রাম যে কোনো ধরনের ছত্রাক নাশক যেমন থিয়োভিট / রনোভিট/ এগ্রোভিট / নয়িন ইত্যাদি স্প্রে করা যেতে পারে। এরপর যখন আমের মুকুল ফুটে তা মোটর দানার আকার ধারণ করবে; তখন আমের অ্যানথার্ক নোজ বা কালো দাগ ধরা রোধে প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১০ মিলি লিটার হারে ফলিকুর বা স্টিল্ট প্রয়োগ করা যেতে পারে। অবশেষে আম পাকার ঠিক আগে এক ধরনের মাছির আক্রমণে আমের গায়ে ছিদ্র দেখা যায়। আর ওই ছিদ্রে ওই সব মাছি ডিম পেড়ে যায়। আর তা থেকে এক ধরনের পোকা জন্মে। ওই পোকার আক্রমণে আম ঝরে পড়ে। ওই ঝরে পড়া রোধে আবার প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২ ছিপি (কর্ক) হারে রিফকর্ড / একতারা / ওস্তাদ / শিমবুস-এর যে কোনো একটি স্প্রে করতে হবে। আমচাষি ভাইয়েরা যদি উপরি বর্ণিত পদ্ধতি মেনে চলেন তাহলে আমের বাম্পার ফলন নিশ্চিত সম্ভব হবে।
Labels:
অনান্য,
কৃষি সংবাদ,
নার্সারি
Posted by
জনি
at
2:50 AM
নওগাঁর কল্যাণপুরী মৌরী পান
Friday, December 17, 2010

পানচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একমাত্র পান চাষই তাদের উপার্জনের প্রধান উৎস। পান চাষে প্রচুর অর্থের দরকার হয়। কোনো কোনো কৃষক ঋণ করেও পান চাষ করে লাভবান হয়েছেন।
সাপাহার হাট, মধুইল হাট, আশড়ন্দ হাটে প্রতি সপ্তাহে পানের হাট বসে। এখান থেকে বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যবসায়ীরা পান নিয়ে যান। মুনাফার দিক থেকে অন্য কোনো কৃষিপণ্য থেকে এত বেশি আয় সম্ভব নয়, যা পান চাষে সম্ভব। কল্যাণপুরের পানচাষি বাদেশ বর্মণ বলেন, পান চাষ তাদের পারিবারিক ব্যবসা। পান চাষ করেই তারা পরিবার-পরিচালনা করেন। তারা আর্থিকভাবে এখন সচ্ছল। আশড়ন্দ গ্রামের পানচাষি আবদুল মালেক ও মাইনুল হক বলেন, ব্যাংকে টাকা জমা রাখার চাইতে পানের বরজ অধিক নিরাপদ। তবে পানের বরজ করতে অনেক সময় টাকা পাওয়া যায় না। তারপর বরজ করতে হলে বেশি পরিচর্চা করতে হয়।
সাপাহার উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ কল্যাণপুর গ্রামে কৃষকদের মধ্যে বাস্তব অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আইসিএম কৃষক প্রশিক্ষণ স্কুল স্থাপন করেছে। এই স্কুলে এলাকার কৃষক পানসহ তাদের সব ধরনের ফসলের রোগবালাই প্রতিরোধে কি করতে হবে তার সঠিক পরামর্শ গ্রহণ করছে। পানচাষি আকবর আলী বলেন, বর্তমান সময়ে আধুনিক চাষ পদ্ধতিতে কৃষির উন্নয়নের দিকে সরকার বেশি গুরুত্ব দিলেও এ অঞ্চলের অর্থকরী কৃষিপণ্য পানের উৎপাদনের জন্য চাষিদের কোনো আধুনিক চাষপদ্ধতি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এছাড়া প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব ও মূল্যবৃদ্ধির কারণে পান চাষে ব্যয় বেড়ে গেছে। পানের জমিতে খৈল সার হিসেবে ব্যবহার করা হয় কিন্তু খৈল না পাওয়ায় এবং এর মূল্য বৃদ্ধির কারণে কৃষকরা পানের জমিতে নিজের ইচ্ছায় রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে শুরু করে। ফলে প্রতি বছর পানের বরজে মড়ক লেগে পান গাছ পচে নষ্ট হয়ে থাকে। উপজেলা কৃষি অধিদফতরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সেলিম উদ্দীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি উপজেলার পানচাষিদের সঠিক তালিকা ও স্থাপিত পানের বরজের প্রকৃত হিসাব দিতে ব্যর্থ হন। উপজেলা কৃষি বিভাগে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য-উপাত্ত নেই বলে জানান। এলাকার পানচাষিরা মনে করেন, সরকারিভাবে পান চাষে উন্নত প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদান করলে দেশ থেকে পান রপ্তানি বাড়ানো সম্ভব হবে।
তথ্য সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন, তারিখ: ১১-১২-২০১০
Labels:
অনান্য,
কৃষি তথ্য,
নার্সারি,
শাক-সব্জীর চাষ
Posted by
জনি
at
10:56 AM
নতুন কুঁড়িতে ভরে গেছে পঞ্চগড়ের চা বাগান
Tuesday, November 30, 2010

এ এলাকার চা চাষের বিশেষত্ব হচ্ছে কৃষকরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চা বাগান গড়ে তুলছে। যা প্রান্তিক চাষিদের ভাগ্যোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জেলায় চা চাষ হওয়ায় চাষিদের ৯ মাসের আয়ের পথ তৈরি হয়েছে। হয়েছে স্থানীয় বেকার যুবদের কর্মসংস্থান। জমির দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। বাগানগুলোকে কেন্দ্র করে আশপাশে গড়ে উঠেছে ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া চা বাগান দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে পর্যটক। এতে জেলার চিত্র গত কয়েক বছর আগের তুলনায় পাল্টে গেছে কয়েক গুণ। বেড়েছে মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ। সরকারি কোষাগারে যোগ হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থের।
চা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের মধ্যে চায়ের উৎপাদন ১০০ মিলিয়ন কেজিতে উন্নীত করা হবে। এর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৬১ কোটি টাকা। পঞ্চগড়ে চা চাষ প্রক্রিয়াজাত কারখানা আছে তিনটি। বর্তমানে আরও একটির নির্মাণ কাজ চলছে। চা চাষি মতিয়ার রহমান জানান, কৃষকদের প্রয়োজনীয় কীটনাশক, সারসহ কৃষি উপকরণ সহজশর্তে দেওয়া হলে চা চাষের পরিধি অনেক বাড়বে। তাছাড়া তিনি চা পাতার মূল্য বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়েছেন। তবে বাংলাদেশ চা বোর্ডের পঞ্চগড়স্থ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকর্তা আমির হোসেন বলেন, সরকারের পক্ষে সব ধরনের কারিগরি সহায়তা, ভর্তুকি, ঋণের ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক চাষিদের ঋণ সহায়তা দিচ্ছে।
তথ্য সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন, তারিখ: ২৭-১১-২০১০
মরিচের পোকা দমন ব্যবস্থাপনা

মাইটের বৈশিষ্ট্য : মাইট অত্যন্ত ছোট, সাধারণত হাত লেন্সের সাহায্য ব্যতীত দেখা যায় না। এ পোকা উপবৃত্তাকার, উজ্জ্বল, হলদে সবুজ বর্ণের। তবে মৃত মাইটগুলো হলদে বাদামি বর্ণের হয়ে থাকে। স্ত্রী মাইটের পেছনের অংশে লম্বালম্বি হালকা সাদা দাগ দেখা যায়। পূর্ণ বয়স্ক স্ত্রী মাইট লম্বয় প্রায় ০.২ মি.মি. এবং পুরুষ প্রায় ০.১১ মি.মি.। এর চার জোড়া সাদাটে পা আছে। পুরুষ মাইটের চতুর্থ জোড়া পা বর্ধিত এবং স্ত্রীর ক্ষেত্রে এটি খুবই ছোট আকৃতির। লার্ভা তিন জোড়া পা-বিশিষ্ট, প্রায় ০.১ মি.মি. থেকে ০.২ মি.মি. লম্বা ডিম থেকে বের হওয়ার পর লার্ভাগুলো বেশ লম্বা দেখায়, পরে স্ত্রী লার্ভা হলদে সবুজ বা ঘন সবুজ বর্ণের এবং পুরুষ লার্ভাগুলো হলদে বাদামি বর্ণ ধারণ করে। লার্ভাগুলো খুব আস্তে আস্তে চলাচল করে, খুব একটা দূরে যায় না।
ক্ষতির প্রকৃতি : লার্ভা এবং পূর্ণ বয়স্ক মাইট গাছের কোষ ছিদ্র করে রস শোষণ করে এবং বিষাক্ত পদার্থ নিঃসৃত করে। গাছে খাদ্য তৈরি এবং পানি স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘি্নত হয়। পাতা সরু, ফ্যাকাশে, মোচড়ানো এবং নিচের দিকে বাঁকানো হয়। পাতা চামড়ার মতো হয়ে যায় এবং শিরাগুলো মোটা হয়। পাতা এবং কচি কাণ্ড লালচে বর্ণের হয়। ফুলের কুঁড়ি বাঁকানো এবং মোচড়ানো হয়। গাছের বৃদ্ধি বিঘি্নত হয়, কচি গাছের আকার ছোট হয় এবং বয়স্ক গাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে ফুল ঝরে পড়ে। ফল বিকৃত, ক্ষতবিশিষ্ট, অপরিপক্ব এবং অসম আকৃতির হয়। ফলের উৎপাদন এবং বাজার মূল্য কমে যায়। সাধারণত নতুন পাতা এবং ছোট ফলে মাইট বেশি দেখা যায় কারণ এ পোকা শক্ত টিস্যু খেতে পারে না। লার্ভা এবং পূর্ণ বয়স্ক মাইটগুলো পাতার নিচের দিক খেতে বেশি পছন্দ করে। এ পোকা মরিচ ছাড়াও তুলা, বেগুন, পেয়ারা, লেবু জাতীয় ফসল, পাট, পেঁপে, আলু, টমেটো, আম, বরবটি, তিল, আঙ্গুরসহ বিভিন্ন ফসল এবং বিভিন্ন শোভা বর্ধনকারী গাছেও আক্রমণ করে থাকে।
জীবনচক্র : এ পোকার জীবনচক্রের চারটি ধাপ_ ডিম, লার্ভা, পিউপা (নিম্ফে) এবং পূর্ণ বয়স্ক। মাত্র ৪-৬ দিনে এ পোকা ডিম থেকে পূর্ণ বয়স্ক মাইটে পরিণত হয়। পূর্ণ বয়স্ক স্ত্রী মাইট নতুন বৃদ্ধিপ্রাপ্ত পাতার নিচে একটি একটি করে (প্রতিদিনে ২-৫টি) প্রায় ২০-৫০টি ডিম পাড়ে। এভাবে ৮-১৩ দিন ডিম দেওয়ার পর এ পোকা মারা যায়। ডিমগুলো অত্যন্ত ক্ষুদ্র, প্রায় ০.৭ মি.মি. লম্বা, ২-৩ দিন পর ডিম ফুটে লার্ভা বের হয়। এরা যৌন মিলন ছাড়াও ডিম দেয়, তবে সে ডিম থেকে শুধু পুরুষ বাচ্চা হয়। লার্ভাগুলো ২-৩ দিন খাওয়ার পর পিউপায় পরিণত হয়। পিউপাগুলো স্থির অবস্থায় থাকে। কোনো খাদ্য গ্রহণ করে না। এ ধাপে এর চার জোড়া পা থাকে। ২-৩ দিন পর পোকা পূর্ণ বয়স্ক মাইটে পরিণত হয়। স্থির স্ত্রী পিউপগুলো পুরুষ মাইটের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। এ পোকা স্ত্রী পিউপাকে (নিম্ফ) বহন করে নতুন পাতায় নিয়ে যায়। ধারণা করা হয় পুরুষ মাইট স্ত্রী মাইটকে মিলন পূর্ববর্তী পাহারা প্রদান করে। যখন পিউপা ধাপ থেকে পূর্ণ বয়স্ক স্ত্রী পোকায় পরিণত হয় তখনই পুরুষটি এর সঙ্গে মিলিত হয়।
দমন ব্যবস্থাপনা : মরিচ উৎপাদনের জন্য ছায়ামুক্ত স্থান নির্বাচন করতে হবে। ফল সংগ্রহের সময় অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে যাতে সংগ্রহকারীর কাপড় এবং শরীর দ্বারা মাইটগুলো আক্রান্ত গাছ থেকে অনাক্রান্ত গাছ বা ক্ষেতের মধ্যে ছড়াতে না পারে। বিভিন্ন অপোষক ফসলের সঙ্গে আন্তঃফসল করতে হবে এবং এর শস্য পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সেচ প্রয়োগের মাধ্যমে এর আক্রমণ কমানো সম্ভব।
তথ্য সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন, তারিখ: ২৭-১১-২০১০
গোলাপ
Monday, September 6, 2010







ভোসড নার্সারি, গ্রিনফিঙ্গার নার্সারি, এগ্রিটেক, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট চত্বর, ফার্মগেট, ঢাকা।
ডালিয়া নার্সারি, কেডিএ আউটার বাইপাস রোড, সোনাডাঙ্গা, খুলনা। ফোন: ০১৭১৪০৫৭৭৮৩
রাঙাবন নার্সারি, সাভার বাসস্ট্যান্ড, সাভার, ঢাকা।
Labels:
অনান্য,
কৃষি তথ্য,
জানা-অজানা,
নার্সারি
Posted by
আমাদের রান্না
at
5:37 PM
তিকিলা
Tuesday, August 31, 2010

Labels:
অনান্য,
কৃষি তথ্য,
জানা-অজানা,
নার্সারি
Posted by
আমাদের রান্না
at
8:13 PM
ফণিমনসা
Labels:
অনান্য,
কৃষি তথ্য,
জানা-অজানা,
নার্সারি
Posted by
আমাদের রান্না
at
8:11 PM
ফুল চাষ আয়বর্ধক কৃষিপণ্য
Saturday, August 21, 2010

কোন কোন ফুল এমনিতেই জন্মে আবার কোন কোন ফুলের চাষ করতে হয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন জাতের গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, রঙ্গন, গ্লাডিওলাস ইত্যাদি খুলনা ও যশোরসহ কয়েকটি অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান। বেকাররা পাচ্ছে কাজ।
মাত্র ২৫ বছর আগের কথা। এখানকার অধিকাংশ মানুষই ভারত থেকে চোরাচালানী করে বিভিন্ন ধরনের ফুল আনতো আমাদের দেশে। এই ফুল ঢাকার বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে তারা মোটা অংকের টাকা লাভ করতো। এথন বাংলাদেশে ই হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে ফুলের চাষ।
রোপণের সময়:
অধিকাংশ ফুলের বীজ, চারা, কলম বা কন্দ অশ্বিন থেকে অগ্রহায়ণ পর্যন্ত রোপণের উপযুক্ত সময়।
জমি নির্বাচন:
এমন জমি নির্বাচন করতে হবে যেখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস পায়। উঁচু দো-আঁশ মাটি ফুল চাষের জন্য উপযোগী। মনে রাখতে হবে, ফুল চাষের জন্য জমি নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাগানের আকার-আকৃতি মানানসই হলে ভাল দেখায়।
বেড়া দেয়া:
গবাদি পশুর বা অবাঞ্ছিত আক্রমণ থেকে ফুল গাছকে বাঁচাতে হলে শক্ত বাঁশের/কাঁটাতার/লোহার বেড়া দিতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে গরু-ছাগল যেন সে বেড়া ভেঙ্গে না ফেলে।
জমি তৈরি ও চারা রোপণ:
জমির পরিমাণ বেশি হলে বিভিন্ন জাতের ফুলের জন্য আলাদা আলাদা জায়গা ভাগ করে পরিকল্পনা মাফিক (নিয়ম মাফিক) চারা রোপণ করতে হবে। কন্দ, চারা বা কলম রোপণের ২০/২৫ দিন আগে জমি ভালভাবে কুপিয়ে উপযুক্ত ও পরিমিত সার যেমন- পচা গোবর, টিএসপি, হাড়ের গুঁড়া, এম,পি, ইউরিয়া, খৈল, চা-পাতির উচ্ছিষ্টাংশ, ছাই ইত্যাদি মিশিয়ে মাটি ঝরঝরে করতে হবে। সার প্রয়োগে জৈব সারের প্রাধান্য দেওয়া উচিত। সব সময় স্বাস্থ্যবান ও নিরোগ চারা বা কন্দ লাগাতে হবে। চারা লাগিয়ে উপরে চাপ না দিয়ে পাশের মাটি চাপ দিয়ে শক্তভাবে চেপে দিতে হবে এবং প্রয়োজনমত পানি দিতে হবে। চারাভেদে খুঁটি পুঁতে চারার গায়ে বেঁধে দিতে হবে।
প্রাপ্তিস্থান:
শহরে বা গ্রামে বর্তমানে ভাল নার্সারিতে উন্নতজাতের বীজ, কলম ও চারা পাওয়া যায়। কৃষি সমপ্রসারণ অফিসে যোগাযোগ করলে চারার সন্ধান পাওয়া যাবে।
পরিচর্যা:
আগাছা নিড়ানী দিয়ে তুলে ফেলতে হবে এবং গোড়ার মাটি মাঝে-মধ্যে আলগা করে দিতে হবে। প্রয়োজনে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। পিঁপড়া ও মাকড়সার আক্রমণ থেকে গাছকে রক্ষার জন্য হিপ্টেক্লোন-৪০ পরিমাণমত দেওয়া যায়। সাধারণ পোকার জন্য মেলতিয়ন বা ডাইমেক্রন ওষুধ প্রয়োগ করা যেতে পারে। রোগ অনুযায়ী প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে। সার প্রয়োগের কলাকৌশল জেনে চাহিদামত কয়েক দফা সুষম সার ও সেচ দিতে হবে। ফুল ধরার বেশ আগে হতে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। ফুলের পরিমাণ ও মান উভয় দিকেই খেয়াল রাখা দরকার। গাছভেদে পুরানো ও রোগা ডাল-পালা ছাঁটাই করে দিতে হবে।
ফুল সংগ্রহ:
ফুল সম্পূর্ণ ফোটার আগে ডাঁটাসহ কেটে ফুল সংগ্রহ করা যায়। ডাঁটার নিচের অংশ পানিতে ডুবিয়ে রাখলে ফুল সজীব থাকে। মান ভাল রাখার জন্য ডাঁটাসহ ফুল আঁটি বেঁধে পরিপাটি করে কালো পলিথিনে মুড়ে বাজারে পাঠাতে হবে।
টবে ফুল চাষ:
জমির অভাবে দালানের ছাদে, বারান্দার টবে সৌখিন বা বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষ করা যায়। বিভিন্নজাতের বা বর্ণের গোলাপ ও গাঁদা। এছাড়া ডালিয়া, রঙ্গন, চন্দ্রমলি্লকা, মৌ-চণ্ডাল, রজনীগন্ধা, বিভিন্ন আর্কিড, নানাজাতের আকর্ষণীয় ক্যাকটাস ও বনসাই। বর্তমানে বাজারে এসবের ভাল চাহিদা রয়েছে। সময় বাঁচানো এবং নির্মল আনন্দের জন্য বর্ষজীবি বা স্থায়ী ফুলের চাষ করা যায়। যেমন- গোলাপ, জবা, চেরি, দোলনচাঁপা, মালতি, কামিনী রঙ্গন, পাতাবাহার, বিভিন্ন আর্কিড ও নানাজাতের ক্যাকটাস। ক্যাকটাস জাতীয় গাছের জন্য সার খুবই কম লাগে। ফলে ব্যয়ও হয় খুব কম।
উপসংহার:
আমাদের দেশে ফুল চাষ করে আত্মকর্ম সংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্ব ঘুচানো সম্ভব। দেশে ফুলের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা যায়। আসে বৈদেশিক মুদ্রা। সবচেয়ে বড় কথা ফুল মানুষের খারাপ মনকে ভাল করে দেয়।
লেখক: মোঃ মোসলেম উদ্দিন, হরিণাকুণ্ডু, ঝিনাইদহ
তথ্য সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক