আশুগঞ্জে খোলা আকাশের নিচে বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার সার

Saturday, August 7, 2010


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানায় খোলা আকাশের নিচে বিভিন্ন সড়কে, ড্রেনে যত্রতত্র পড়ে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার সার। ধারণ ক্ষমতার দিগুণ মুজুদ রাখায় কারখানার বাল্ব স্টোরের টীনশেড দেয়াল ধসে প্রায় ২০ হাজার টন খোলা সার রাস্তা ও ড্রেনের উপর পড়ে বৃষ্টির পানিতে গলে ভেসে যাচ্ছে মেঘনা নদীতে। প্রতিদিনের উৎপাদিত সার ব্যাগিং করার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা থাকলেও ৮২ হাজার টন খোলা সার মজুদ রাখার বিষয়টি রহস্যজনক। বর্তমানে নিয়মিত ব্যাগিং বন্ধ করে রবিবার এসব খোলা সার বস্ত্যবন্দি করার জন্য দরপত্র গ্রহণ করা হয়েছে।

সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, কারখানার বাল্ব স্টোরের ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার টন হলেও সেখানে মজুদ রাখা হয়েছে ৮২ হাজার টন খোলা সার। অতিরিক্ত মজুদের কারণে গত বুধবার হঠাৎ বাল্ব স্টোরের দেয়াল ধসে প্রায় ২০ হাজার টন খোলা সার রাস্তা ও বড় ড্রেনের উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। আর এসব সার বৃষ্টিতে গলে পানির সাথে ভেসে ড্রেন দিয়ে নদীতে চলে যাচ্ছে। কারখানা প্রতিষ্ঠার পর গত ৩০ বছরে বাল্ব স্টোরে এত খোলা সার মজুদ রাখার ঘটনা দেখা যায়নি। অপরদিকে সার কারখানার নিজস্ব ২টি ব্যাগিং গুদামের ধারণ ক্ষমতা ১৫ হাজার টন। এই ২টি গুদামে স্থান সংকুলান না হওয়ায় উৎপাদিত প্রায় ৩০ হাজার টন সার কারখানা ও কলোনীর বিভিন্ন সড়কে খোলা আকাশের নিচে মজুদ রাখা হয়েছে। ত্রিপল দিয়ে এসব সারের বস্তা ঢেকে রাখা হলেও বৃষ্টিতে ভিজে এবং রোদের তাপে সারের গুণাগুন নষ্ট হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতির আশংকা করছে সাধারণ শ্রমিকরা। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের তেমন কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। গত রবিবার সরজমিনে রির্পোট করার জন্য স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা কারখানা গেটে গেলে তাদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তা জানান গত জুন মাসে আরো দু‘বার বাল্ব স্টোরের দেয়াল ধসে খোলা সার ড্রেনে পড়ে পানিতে ভেসে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

এ ব্যাপারে কারখানার মহা-ব্যবস্থাপক মোঃ ফরিদ উদ্দিন জানান, বর্ষা মৌসুমে সারের চাহিদা না থাকায় মজুদের পরিমাণ অনেকাংশে বেড়ে গেছে। বর্তমানে কারখানায় খোলা ৮২ হাজার টন ও বস্তাবন্দি ৫২ হাজার টনসহ মোট প্রায় ১ লাখ ৩৫ হাজার টন সার মজুদ আছে। অতিরিক্ত মজুদের কারণে বাল্ব স্টোরের দেয়াল ধ্বসে পড়েছে। বৃষ্টির কারণে কিছু সার গলে নষ্ট হয়েছে। খোলা সার বস্তাবন্দি করতে দরপত্র গ্রহণ করা হয়েছে ।

জেলা সার সমিতির সহ-সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান জানান, আমদানিকৃত সার বাফার গুদামে মজুদ রাখায় অন্যান্য বছরের মত সেখানে এবার সার মজুদ রাখা সম্ভব হয়নি । অন্যান্য কারখানা যেহেতু বন্ধ সেহেতু সে সকল এলাকার ডিলারদের এখান থেকে সার সরবরাহ দেয়ার ব্যবস্থা নিয়ে ডিলারদের মাঝে সার বরাদ্দ বাড়িয়ে দেয়া এবং প্রায় অর্ধ লক্ষ টন সার অন্যত্র মজুদ করার ব্যবস্থা নেয়া হলেই একমাত্র এই সমস্যা সমাধান হতে পারে।

সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক

মনের উঠোনে

সাম্প্রতিক সংযোজন

মোবাইল থেকে দেখুন

আমাদের দেশ এখন আপনার মুঠোফোনে, মোবাইল থেকে লগইন করুন আমাদের দেশ

দ র্শ না র্থী

দ র্শ না র্থী

free counters

কে কে অনলাইনে আছেন