রূপগঞ্জে পাটের বাম্পার ফলন দাম বেশী : কৃষকরা খুশি

Saturday, August 7, 2010


রূপগঞ্জে এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ জমিতে পাটের আবাদ করা হয়। উপজেলার দাউদপুর, মুড়াপাড়া, ভোলাবো, রূপগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পাটের আবাদ করেছে। এছাড়া শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে চাষাবাদ করা জমিতেও পাটের ফলন হয়েছে ভালো। নারায়ণগঞ্জের কোথাও রিবন রেটিং মেশিন ও ভর্তুকির টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়নি। তাতে কৃষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

পাটের বীজের অভাবে কোন কোন চাষী খোলা বাজারের বীজে চাষাবাদ করেন। তাদের কারো কারো জমিতে পাটের কাণ্ড পচা রোগ দেখা দেয়। তবে তা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। বাজারে নতুন পাট উঠতে শুরু করেছে। আঁশের মানের উপর এক হাজার দুইশ’ টাকা থেকে এক হাজার পাঁচশ’ টাকা মণ দরে এখন বিক্রি হচ্ছে। এখানে তোষা, মেস্তা, দেশী পাটের আবাদ করা হয়। তোষার চাষাবাদের পরিমাণ বেশি। দামও অনেক।

দড়িকান্দী গ্রামের পাট চাষী শওকত আলী বলেন, চাষাবাদে অনুকূল পরিবেশ থাকায় পাটের ফলন ভাল হয়েছে। তবে নিড়ানি, সার, আঁশ সংগ্রহে খরচও কম নয়। গঙ্গানগর গ্রামের পাট চাষী হযরত আলী বলেন, রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট সংগ্রহে মেশিন ও ভর্তুকির টাকা দেয়া হয়নি। এ বৈষম্যতায় কৃষকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পাটের দাম ভাল পাওয়ায় তারা খুশি। পাট খড়ির দামও ভাল।

রূপগঞ্জ উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার তৌহিদুর রহমান বলেন, এক বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করতে তিন থেকে চার হাজার টাকা খরচ হয়। ফলন হয় ছয় থেকে আট মণ। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আশেক পারভেজ বলেন, উপজেলায় এবার এক হাজার ৪২ বিঘা জমিতে পাটের চাষ করা হয়েছে। পাটের ফলন ও দাম আশাতীত। পাটের এই দাম অব্যাহত থাকলে আগামী বছর পাটের আবাদ আরো বাড়বে।

রূপগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মাসুদ রেজা বলেন, ফাল্গুন-চৈত্র মাসে পাট বীজ বপন করা হয়। শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে পরিপূর্ণ পাট কাটা হয়। কোন কোন স্থানে পানির অভাবে পাট জাগ দেয়া ব্যাহত হচ্ছে। তাতে পাটের গুণগত মান খারাপ হয়।

তথ্যসূত্র : দি-এডিটর

মনের উঠোনে

সাম্প্রতিক সংযোজন

মোবাইল থেকে দেখুন

আমাদের দেশ এখন আপনার মুঠোফোনে, মোবাইল থেকে লগইন করুন আমাদের দেশ

দ র্শ না র্থী

দ র্শ না র্থী

free counters

কে কে অনলাইনে আছেন