মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাগাবলা ইউনিয়নের রামপুর গ্রাম। এ গ্রামের আব্দুল আজিজ টাকার জন্য এক সময় লন্ডনে থাকতেন। পাশাপাশি শ্রীমঙ্গল শহরে পর্যটকদের জন্য টি-টাউন রেস্ট হাউজ নির্মাণ করে রেষ্ট হাউস ব্যবসায় একনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন। কিন্তু অযত্নে অবহেলায় দেশের মাটিতে পড়েছিল তার পৈত্রিক অনেক অনাবাদি জমি। একটা সময় তিনি অনুভব করলেন পতিত জমি কীভাবে কাজে লাগানো যায়। সময়টা ছিল ৪ থেকে ৫বছর পূর্বে। দেশের মাটিতে এসে মাটির সদব্যবহারের জন্য ব্যস্তô হয়ে পড়েন তিনি। আব্দুল আজিজ স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শে তার পতিত জমিতে ভিত্তি বীজ (মাদার সীড) চাষের প্রদক্ষেপ নেন এবং প্রথম বছরই তিনি উৎপাদনে সফল হন।
এবারে তার উৎপাদিত ধানের জাতগুলো হল বি· আর-১১ ও ৩৪, নাজির শাইল, কালা বিড়ইন, সাদা বিড়ইন। তাঁর এ বাম্পার ফলনে উৎফুল্ল এলাকাবাসী। আব্দুল আজিজের সাফল্য দেখে অনেকেই আগামী মৌসুমে জৈব সার ব্যবহারের চিন্তা করছেন।
বিগত বছরে তিনি ২ হাজার মণ বীজ ধান উৎপাদন করেছেন। তার এই উৎপাদনে ব্যয় হয়েছিল ৬ লক্ষ টাকা। এ ধান বিক্রি করেছেন ২১ লক্ষ টাকা। এতে তার লাভ হয়েছে ১৫ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে সরকারই তার কাছ থেকে কিনে নিয়েছেন এক হাজার মণ ধান। যা সরকারের সংরক্ষণে রয়েছে। চলমান মৌসুমেও তাঁর উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে গেছেন। ইতিমধ্যে তিনি প্রায় এক হাজার মণ বীজ ধান উৎপাদন করেছেন। আব্দুল আজিজ আশা করছেন, একই জায়গায় আরও প্রায় আড়াই হাজার মন ধান উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এছাড়াও তিনি তার পতিত জমিতে সৃজনাল সবজি চাষ করে বছরে প্রায় ২ লক্ষ টাকা আয় করেন। এসব কিছুর পাশাপাশি তিনি তার বাড়ির আশেপাশে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ঔষধি বৃক্ষসহ প্রায় শতাধিক প্রজাতির বৃক্ষ রোপণ করেছেন।
- বিকুল চক্রবর্ত্তী, মৌলভীবাজার