পাটের জিন তত্ত্ব আবিষ্কারের পর কৃষক নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। এ ছাড়া সোনালি আঁশের অতীত গৌরব ফিরিয়ে আনতে নেওয়া সরকারি উদ্যোগ নতুন করে অনুপ্রাণিত করেছে তাদের। তাই ক্রমেই পাট চাষের দিকে ঝুঁকছেন তাঁরা। এ বছর পাটের ফলনও হয়েছে ভালো। ছবিটি নরসিংদী থেকে তোলা।
পচানো-ছাড়ানো-শুকানোর উৎসবঢাকা-খুলনা মহাসড়কসহ শিবচরের সব আঞ্চলিক সড়ক, মেঠো পথ, নদীর পার সব জায়গাই এখন গৃহিণীদের দখলে। পচানোর পর পাট ছাড়ানোর ভিড় মাঠ-ঘাট পেরিয়ে এখন সড়কে সড়কে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক, শিবচর-মাদারীপুর-শরীয়তপুর সড়ক, শিবচর-উৎরাইল-কাঁঠালবাড়ি-চান্দেরচর সড়কসহ অসংখ্য সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকে এলাকার তরুণী কী বৃদ্ধা সবাই নেমেছেন যা পাট ছাড়ানো ও ধোয়ার কাজে। একদিকে পরিবারের পুরুষরা পাট কেটে জাগ দিচ্ছে, অন্যদিকে নারীরা পাট ছাড়িয়ে ধোয়া ও শুকানোতে ব্যস্ত। রাতের রান্না করা খাবারই সকালে ও দুপুরে খেয়ে নিচ্ছে পরিবারের সবাই ওজর-আপত্তি ছাড়াই। অনেক স্থানে দেখা গেল মহিলারা গলা ছেড়ে গান গেয়ে পাট ছাড়াচ্ছেন। সব মিলিয়ে যেন এক উৎসবমুখর পরিবেশ।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ৪৫ হাজার কৃষক মোট ৩১ হাজার একর জমিতে পাট আবাদ করেছে, যা থেকে প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাটবীজ লাগানো থেকে উত্তোলন, শুকানো, বাজারে সরবরাহ পর্যন্ত শিবচরের অন্তত ৭০ হাজার নারী পাট ছাড়ানোর কাজে প্রতিবছর সম্পৃক্ত থাকে। এ ছাড়াও পাটের এ মৌসুমেই জ্বালানি হিসেবে পাটকাঠি সংগ্রহ করে মহিলারা। ঘরবাড়ি তৈরিতেও পাটকাঠির বিপুল চাহিদা রয়েছে। শেখপুরের বিলকিস বলেন, 'বছরের এই সময়ডাতে বাড়ির বুড়া-গুড়া সবাই মিইলা পাডের কাম করি। খড়ি দিয়া রানমু আর ঘর করমু। আল্লায় খালি দামডা ভালো দিলে বাঁচি।'
পচানো-ছাড়ানো-শুকানোর উৎসব
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ৪৫ হাজার কৃষক মোট ৩১ হাজার একর জমিতে পাট আবাদ করেছে, যা থেকে প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাটবীজ লাগানো থেকে উত্তোলন, শুকানো, বাজারে সরবরাহ পর্যন্ত শিবচরের অন্তত ৭০ হাজার নারী পাট ছাড়ানোর কাজে প্রতিবছর সম্পৃক্ত থাকে। এ ছাড়াও পাটের এ মৌসুমেই জ্বালানি হিসেবে পাটকাঠি সংগ্রহ করে মহিলারা। ঘরবাড়ি তৈরিতেও পাটকাঠির বিপুল চাহিদা রয়েছে। শেখপুরের বিলকিস বলেন, 'বছরের এই সময়ডাতে বাড়ির বুড়া-গুড়া সবাই মিইলা পাডের কাম করি। খড়ি দিয়া রানমু আর ঘর করমু। আল্লায় খালি দামডা ভালো দিলে বাঁচি।'
দত্তপাড়ার ফাতেমা বেগম বলেন, 'এক আঁটি পাট ছাড়াইলে আধা আটি পাটকাঠি পাই। এই পাটকাঠি সারা বছরের জ্বালানি এবং ঘরবাড়ির বেড়া তৈরিতে কাজে লাগে।'উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মতিয়ার রহমান বলেন, 'এই এলাকাটি নিম্নাঞ্চল হওয়ায় শিবচরের সর্বত্র এখন পানি আর পানি। তাই এ এলাকার পাট সব সময় খুব উৎকৃষ্ট মানের হয়। এ মুহূর্তে হাজার হাজার নারীর অংশগ্রহণে পাট ছাড়ানো ও শুকানোর কাজ চলছে। পাটের ওপরই মূলত এ উপজেলার অর্থনীতি নির্ভর করে।'
তথ্যসূত্র: কালের কন্ঠ পত্রিকা
তথ্যসূত্র: কালের কন্ঠ পত্রিকা