টেকনাফের সিরাজ মিয়া পেঁপে চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন, হয়েছেন লাখপতি। পরিশ্রমের স্বীকৃতিস্বরূপ ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত কৃষিপ্রযুক্তি মেলায় পুরস্কৃত হয়েছেন। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত মেলায় তার বাগানে উৎপাদিত পেঁপে প্রদর্শিত হয়েছে। সফল এ কৃষক হচ্ছেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া গ্রামের সিরাজ মিয়া।
বাড়ির সামান্য দূরত্বে হাবিরছড়া নামক পাহাড়ি ছড়ার পাশে তার ২০ শতক জমির ওপর পেঁপে বাগান। পেঁপে বাগানের পাশেই ৪০ শতক নিজস্ব জমির ওপর বিশাল আকার পানের বরজ। সরেজমিন বাগান পরিদর্শনকালে সিরাজ মিয়া জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি অফিসার পিপাস কান্তির উৎসাহে তিনি পেঁপে বাগান করতে আগ্রহী হয়। ছড়ার পাশে পানের বরজের তলায় উখিয়া থেকে ৪৫০টি হাইব্রিড জাতের পেঁপে চারা এনে রোপণ করেছিলেন গত বছর জুন মাসে। পাহাড়ি ঢলে অধিকাংশ চারা ভাঙনের কবলে পড়ে মরে যায়। বাগানে ছিল মাত্র ১৫০টি চারা। সামান্য পরিচর্যায় প্রত্যেক গাছেই আশানুরূপ ফলন হয়েছে। গত কয়েক মাস আগে থেকে পেঁপে বিক্রি শুরু করেছেন। প্রত্যেক গাছই পেঁপে ভর্তি। একটি চারা কিনেছেন ১৫ টাকা করে। চারা ক্রয়, গাড়ি ভাড়াসহ ফলন পাওয়া পর্যন্ত সর্বসাকুল্যে খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত পেঁপে বিক্রি করে পেয়েছেন প্রায় ১ লাখ টাকা। গাছে যে পরিমাণ পেঁপে আছে তা বিক্রি করলে কমপক্ষে আরো ৫০ হাজার টাকা পাবেন। টেকনাফ উপজেলায় এটিই একমাত্র পেঁপে বাগান। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসেন পেঁপে কিনতে ও বাগান দেখতে। সিরাজ মিয়া জানান, পেঁপে বাগান ও পানের বরজের পাশাপাশি তিনি মরিচ ক্ষেত, ড্রাম সিডরে ধান চাষ, পেলং ইত্যাদির ক্ষেতও করেছেন।