আম, লিচু ও কুল চাষ করে রাজশাহীর দুর্গাপুরের আবুল কালাম আজাদ সফল হয়েছেন। গোটা উপজেলার মানুষ তাকে সফল মানুষের অগ্রপথিক হিসেবে চেনে। তাকে দৃষ্টান্ত মনে করে এলাকার অনেকেই বেকারত্ব দূর করতে তার পথ অনুসরণ করে সফলতা পেয়েছেন। জীবিকার তাগিদে যুবক বয়সেই কৃষিকাজের যন্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামের এই আজাদ। আজাদ জানান, বিয়ের পরপরই সংসারের হাল ধরতে হয়েছিল তাকে। ১৯৯০ সালে তিনি প্রথমে এক একর জমিতে কুল গাছ লাগান। দুই বছরের মাথায় গাছে কুল দেখা দেয়। প্রথমবার কুল বিক্রি করে পান প্রায় দেড় লাখ টাকা। এই টাকা দিয়ে তিনি দুই বিঘা জমিতে আম বাগান করেন। ২০০৫ সালে আম বিক্রির লাভের টাকা দিয়ে এক বিঘা জমিতে লিচু বাগান করেন। তিন বছর পর থেকে প্রতিবছর ওই লিচু বাগান থেকে তার আয় হচ্ছে বছরে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। চলতি বছর কুল চাষের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে আদা চাষ করেন। কুল চাষে যা লাভ হতো, সাথী ফসল হিসেবে আদা চাষ শুরু করায় এখন লাভ দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণ। চলতি বছর দুই বিঘা আম, এক বিঘা লিচু এবং আদাসহ এক বিঘা কুলের জমি থেকে খরচ বাদ দিয়ে তার লাভ হয়েছে প্রায় তিন লাখ টাকা। আজাদ জানান, দশ বছরের মধ্যে ফলদ বাগানের লাভ দিয়ে তিনি প্রায় ২ একর জমি কিনেছেন। একটি পাকা বাড়ি তৈরি করেছেন। একটি গাভীও কিনেছেন। ছেলেমেয়েদের নিয়ে এখন সুখে আছেন।
সুত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন