কৃষকের জন্য ক্ষতিকর কোনো কাজ করবে না সরকার

Monday, September 20, 2010


বিদেশী প্রকল্প পাওয়ার লোভে, চলমান কোন কৃষি প্রকল্প বাতিল না করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। এছাড়া সরকার এমন কিছু করবে না যা কৃষি ও কৃষকের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলেও জানান তিনি।

বুধবার সকালে, রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে গম চাষ সম্প্রসারণ বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।



কৃষিমন্ত্রী সময় দেশী-বিদেশী এনজিও ও দাতা সংস্থার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আমাদের দেশের কৃষক গরীব। তাদের সামর্থ নেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য জমি ব্যবহার করার। তাই নতুন নতুন জাতের খাদ্যশষ্যের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে কৃষক সর্বশান্ত হয়, এমন প্রকল্প হাতে নিবেন না।



খাদ্য নিরাপত্তা বর্তমান সরকারের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ এ কথা উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, শুধু গবেষণা নয় বাস্তবে কৃষকের জন্য লাভজনক হলে দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলে গম চাষের পদক্ষেপ নেয়া হবে।



মন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা জন্য ধানের পাশাপাশি গম চাষের ওপর জোর দিতে দাতা সংস্থাগুলো বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ দিয়ে আসছে। তারই আলোকে ২০০৪ সালে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কিছু জেলায় প্রথমবারের মতো গম আবাদ করা হয় বলে জানান তিনি।



সভায় গম গবেষণা প্রকল্পের অস্ট্রেলিয়ান গবেষক ড. হাওয়াড এম রাওসন দাবি করেন, প্রাথমিক অবস্থায় এর সুফল পাওয়া না গেলেও ২০০৬-২০১০ সালের আরেকটি গবেষণা প্রকল্পে এর সাফল্য এসেছে।



তবে মতিয়া চৌধুরী এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বলেন, গম উৎপাদনে তাপমাত্রা ও লবণাক্ততা এখনও বড় বাধা। তাই দেশের কৃষি ও কৃষকের স্বার্থ ছাড়া বিদেশি পরামর্শে বা কিছু পাওয়ার লোভে কোনো প্রকল্প হাতে নেয়া হবে না।



শীতকালে পানি সরবরাহের বিষয়টি সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধানের ওপর চাপ কমাতে সরকার অঞ্চল অনুযায়ী ভূট্টা, বার্লিসহ নানা প্রকারের শষ্য আবাদের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।



দেশের দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততা সহিষ্ণু উচ্চ ফলনশীল ধান উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।



কর্মশালায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অনাবাদি জমিতে, ধান চাষের পর রবি মৌসুমে গম চাষের মাধ্যমে কৃষকদের জীবন মানের উন্নয়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি সচিব সি কিউ কে মুসতাক, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নিবার্হী চেয়ারম্যান ডক্টর ওয়ায়েস কবীর, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জাস্টিন লি এবং ফুড এন্ড এগ্রিকালচার,ফাও-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি সিরে ফিওরিলো।


মনের উঠোনে

সাম্প্রতিক সংযোজন

মোবাইল থেকে দেখুন

আমাদের দেশ এখন আপনার মুঠোফোনে, মোবাইল থেকে লগইন করুন আমাদের দেশ

দ র্শ না র্থী

দ র্শ না র্থী

free counters

কে কে অনলাইনে আছেন