বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের চার কৃষক। সফলতা পেয়েছেন নিজ নিষ্ঠা, কর্ম আর আত্মপ্রত্যয় বলে।রানী ভবানির নাটোরের বনসাঁই শিল্পী খালিদ-বিন-জালাল ওরফে বাচ্চু। যিনি আঙুর ভাই নামে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। প্রাচীন রাজশাহীর পুঠিয়ার কৈপুকুরিয়া গ্রামের সিরাজউদ্দিন প্রামানিক। তিনি নিজের নামের আগে চাষী বলতে বেশি ভালবাসেন। সিরাজউদ্দিন একজন সফল মৎস্য চাষী। রাজশাহীর আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল তানোরের কৃষক নূর মোহাম্মদ ধানের জাদুঘর গড়ে তুলেছেন। আমের রাজধানী বলে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের তরুণ কৃষক মনজুর রহমান হাইব্রিড টমেটোর চাষ করে পরিবারের স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়ে এনেছেন।
উত্তরাঞ্চলের এই চার কৃষক নিজের শ্রম, মেধা আর গবেষণার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন সফল কৃষক হিসেবে। সফল এই চার কৃষককে অনুসরণ করে এই অঞ্চলের অন্যান্য কৃষকও এখন নিজেদের ভাগ্য বদলানোর সংগ্রামে নেমে পড়েছেন।
নাটোর শহরের কানাইখালি মহল্লায় নিজ বাড়ির আঙিনা ও বাড়ির আশপাশের মাত্র ছয় শতাংশ জমির ওপর আঙুর চাষ ও আঙুর নিয়ে গবেষণা চালিয়ে আসছেন দেড় দশক ধরে। হয়ে উঠেছেন আঙুর বিশেষজ্ঞ। তিনি বছরে আড়াই মণ আঙুর উৎপাদন করেন। হর্টিকালচার বিষয়ে কোন রকমের একাডেমিক ডিগ্রি ছাড়া নেই তার। শুধু আছে দেশি-বিদেশি বই পড়ে হাতে-কলমে কাজ করার অভিজ্ঞতা। অর্জিত অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তিনি সফল হয়েছেন।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার সিরাজউদ্দিন প্রামানিক বাড়ি বিক্রি করে মৎস্য চাষ শুরু করেছিলেন। এখন তার ৭ টি পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছের চাষ হয়। এর মধ্যে ৩০ বিঘা জমির ওপর রয়েছে একটি বড় পুকুর। যেখানে খাচার মধ্যেও মাছ চাষ হচ্ছে। এছাড়া আরও ১০ বিঘা জমির ওপর লেবু, আম, খেজুরের চাষ করেন তিনি। শুধু মাছ চাষ করেই তিনি বছরে প্রায় ১০ লাখ টাকা আয় করেন।
তানোরের গোল্লাপাড়ার কৃষক নূর মোহাম্মদ মাত্র সাড়ে সাত বিঘা জমির ওপর গড়ে তুলেছেন ধানের জাদুঘর। গত ১৫ বছরে তিনি প্রায় ২০০ জাতের ধান ও ১২ জাতের গম বীজ উদ্ভাবন করেন। এবার তিনি চাষ করেছেন দেশি-বিদেশি, হাইব্রিড এবং নিজের বাছাইকৃত ২৩ টি জাতের বোরো ধান। বেছে বেছে নির্ভেজাল বীজ উৎপাদনের কঠিন কাজটিও তিনি করে যাচ্ছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বিদিরপুর গ্রামের তরুণ কৃষক মনজুর রহমান। চরম অভাব-অনটনের সংসার। মাত্র এক যুগ আগেকার সে কথা। পরিকল্পিতভাবে হাইব্রিড জাতের টমেটো চাষ করতে লাগলেন। এলো মনজুর পরিবারে স্বচ্ছলতা।
সূত্র: ইউরো বাংলা
আঙুর চাষে চার কৃষকের অভাবনীয় সফলতা
Saturday, August 7, 2010
Labels:
কৃষি তথ্য,
ফল-মূল চাষ,
সফলতা
Posted by
আমাদের রান্না
at
4:27 PM