লেয়ার ও ব্রয়লার বাচ্চার সর্বোচ্চ বিক্রয় মূল্য ৩২ ও ৩০ টাকা নির্ধারণ হলেও সরকারের এ সিদ্ধানত্ম মানছেন না হ্যাচারি মালিকরা। তারা বাচ্চা বিক্রি করছেন ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। এছাড়া কার্টনের গায়েও লেখা হচ্ছে না সর্বোচ্চ বিক্রয় মূল্য। ফলে ইচ্ছেমতো দামে বাচ্চা বিক্রি করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন প্রানিত্মক পোল্ট্রি চাষীরা।
সরকারের আত্মঃমন্ত্রণালয় সভায় নেয়া সিদ্ধাত্ম বাসত্মবায়নের দাবিতে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ এক জাতীয় কনভেনশনের আয়োজন করে। ৫৫টি জেলার প্রাত্মিক পোল্ট্রি চাষী, পেশাজীবি ও পরিষদের প্রায় তিন শতাধিক প্রতিনিধি এতে অংশ নেন। কনভেনশনে প্যানেল সভাপতি ছিলেন সংগঠনের সভাপতি হাজী আব্দুল বারেক সরকার, রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক হাজী আবদুল আওয়াল হক ও সিরাজগঞ্জ জেলার সভাপতি এস.এম ফরিদ।
সভায় পোল্ট্রি চাষীরা বলেন, সরকার নির্ধারিত বিক্রয় মূল্য বাসত্মবায়ন না হলে পোল্ট্রি শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। সকল নিয়মনীতি উপেক্ষা করে হ্যাচারি মালিকরা প্রতি সপ্তাহে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
হাজী আব্দুল বারেক সরকার বলেন, কৃষির উপখাত হিসাবে পোল্ট্রির কথা বাজেটে থাকার কথা থাকলেও বাজেটে প্রানিত্মক চাষীরা যে সকল আমদানিকৃত খাদ্য উপাদান-আমদানিকারকদের নিকট থেকে ক্রয় করেন সে সকল উপাদানের মূল্য অগ্রিম আয়করের নামে বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি পোল্ট্রি প্রাত্মিক চাষীদের জন্য ঋণ সহায়তা বাবদ বরাদ্দ এবং আমদানিকৃত পণ্যের উপর অগ্রিম আয়কর রহিত করার দাবি জানান।
সভায় গত ১৫ জুনের পর যে সকল বাচ্চার মূল্য নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশী নেয়া হয়েছে তার ফেরত দেয়ার দাবি জানানো হয়। ২৫ থেকে ৩০ জুন প্রত্যেক জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও মহানগরী পোল্ট্রিজোনগুলোতে সভা, সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ১ জুলাই থেকে বাচ্চার কার্টনের গায়ে বিক্রয় মূল্য লেখা না হলে হ্যাচারি বয়কট করা হবে। ৭ জুলাই হ্যাচারি ঘেরাও করা হবে।
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মো. মহসিন বলেন, বর্তমানে লোকসান দিয়ে খামারীরা তাদের উৎপাদিত ডিম বিক্রি করছে। প্রতিটি ডিমের উৎপাদন খরচ ৫ দশমিক ৫৪ টাকা হলেও খামারীরা বিক্রি করছেন ৪ দশমিক ৪০ টাকায়। কিন্তু ভালো বিপণন ব্যবস্থা ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় ভোক্তা সাধারণ এর সুফল পাচ্ছেন না।
প্রাত্মিক পোল্ট্রি চাষীদের এসকল দাবি বাসত্মবায়নে সরকার কোন পদক্ষেপ না নিলে আগামী ১৪ ও ১৫ জুলাই সারাদেশে জেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দেয়া হয়।
তথ্যসূত্র : দি-এডিটর
নির্ধারিত বিক্রয় মূল্য মানছে না হ্যাচারি মালিকরা
Saturday, August 7, 2010
Labels:
কৃষি তথ্য,
কৃষি সংবাদ
Posted by
আমাদের রান্না
at
1:16 PM