খেত থেকে উর্যাপাদিত টাটকা টমেটোর কেজি ছিল দুই টাকা। এ দামে চাষবাসের খরচও না ওঠায় ক্ষতির মুখে পড়ে গত শীত মৌসুমে খেতের টমেটো রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভ করেছিলেন সিলেটের বাইয়ারপাড়ের টমেটোচাষিরা। এবার টমেটো ফলাতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। ঘন ঘন বৃষ্টি হওয়ায় টমেটোর চারা দফায় দফায় মরে যাচ্ছে।
চারাকে বাঁচিয়ে রাখতে চাষিদের চিরাচরিত পদ্ধতি ‘ডোফ’ (স্থাপনা) দিয়েও শেষ রক্ষা হচ্ছে না। কান্দিগাঁওয়ের বাদেআলী গ্রামের আবদুল আউয়াল তাঁর নিজের বাড়ির আঙিনায় পলিথিন মোড়ানো টমেটো চারার ‘ডোফ’ দেখিয়ে বলেন, ‘গেলবার বিপদে পড়ছিলাম টমেটো ফলাইয়া (ফলন) আর ইবার পড়ছি ফলাইতে গিয়া!’
সিলেট সদর উপজেলার সুরমার শাখা বাইয়া নদীর তীরবর্তী চারটি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামে শীতকালীন সবজির চাষ হয়। গত মৌসুমে ওই এলাকায় সবচেয়ে বেশি টমেটোর চাষ হয়েছিল। স্থানীয় সবজির বাজারে চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি হওয়ায় টমেটোর দরপতন ঘটে। একপর্যায়ে দুই টাকা কেজিতে গিয়ে দাঁড়ালে বাইয়ারপাড়ের টমেটোচাষিরা গত ৯ মার্চ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় সাড়ে তিন হাজার কেজি টমেটো ফেলে অভিনব কায়দায় বিক্ষোভ করেছিলেন। সেই বিক্ষুব্ধ টমেটোচাষিরা এবার ফলনে উর্যাসাহিত কি না—সরেজমিনে দেখতে গিয়ে টমেটো ফলাতে ডোফ পদ্ধতি অবলম্বনের চিত্র চোখে পড়ে।
টমেটোচাষিরা জানান, গতবার এমন সময় টমেটো চারা রোপণ করে ফলন তোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার চলতি মাসজুড়ে বৃষ্টি থাকায় সবাইকে ‘ডোফ’ পদ্ধতি অবলম্বন করা ছাড়া কোনো ভরসা পাচ্ছেন না। অনন্তপুরের আহমদ আলী জানান, বাইয়ারপাড়ের বাদেআলী, অনন্তপুর, পূর্বঊষা, মীরেরগাঁও, সদরখলা ও পাইকারীগাঁওয়ে অন্তত সহস্রাধিক ‘ডোফ’ দেওয়া হয়েছে।
গত শীত মৌসুমে দরপতনে টমেটোচাষিদের বিক্ষোভে একাত্ম হওয়া সংগঠন সিলেট কৃষক কল্যাণ সংস্থার আহ্বায়ক আবদুল হান্নান আনসারী জানান, দাম কম হওয়ার কারণে টমেটো চাষে এবার চাষিরা নিরুর্যাসাহিত ছিলেন। এর পরও আগাম চাষবাসের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে যাঁরা টমেটো চাষে এগিয়ে এসেছিলেন, তাঁরা পড়েছেন এখন বিপাকে। একটি ডোফ তৈরিতে প্রায় ৩০০ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়। এ ক্ষেত্রে চাষিদের ফলনের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সিলেট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সবিনয় ভট্টাচার্য বলেন, মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় চাষিরা নিজস্ব প্রযুক্তিতে ফলন অব্যাহত রেখেছেন এবং এ ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগ থেকে যথাসাধ্য সহায়তা করা হবে।
চারাকে বাঁচিয়ে রাখতে চাষিদের চিরাচরিত পদ্ধতি ‘ডোফ’ (স্থাপনা) দিয়েও শেষ রক্ষা হচ্ছে না। কান্দিগাঁওয়ের বাদেআলী গ্রামের আবদুল আউয়াল তাঁর নিজের বাড়ির আঙিনায় পলিথিন মোড়ানো টমেটো চারার ‘ডোফ’ দেখিয়ে বলেন, ‘গেলবার বিপদে পড়ছিলাম টমেটো ফলাইয়া (ফলন) আর ইবার পড়ছি ফলাইতে গিয়া!’
সিলেট সদর উপজেলার সুরমার শাখা বাইয়া নদীর তীরবর্তী চারটি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামে শীতকালীন সবজির চাষ হয়। গত মৌসুমে ওই এলাকায় সবচেয়ে বেশি টমেটোর চাষ হয়েছিল। স্থানীয় সবজির বাজারে চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি হওয়ায় টমেটোর দরপতন ঘটে। একপর্যায়ে দুই টাকা কেজিতে গিয়ে দাঁড়ালে বাইয়ারপাড়ের টমেটোচাষিরা গত ৯ মার্চ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় সাড়ে তিন হাজার কেজি টমেটো ফেলে অভিনব কায়দায় বিক্ষোভ করেছিলেন। সেই বিক্ষুব্ধ টমেটোচাষিরা এবার ফলনে উর্যাসাহিত কি না—সরেজমিনে দেখতে গিয়ে টমেটো ফলাতে ডোফ পদ্ধতি অবলম্বনের চিত্র চোখে পড়ে।
টমেটোচাষিরা জানান, গতবার এমন সময় টমেটো চারা রোপণ করে ফলন তোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার চলতি মাসজুড়ে বৃষ্টি থাকায় সবাইকে ‘ডোফ’ পদ্ধতি অবলম্বন করা ছাড়া কোনো ভরসা পাচ্ছেন না। অনন্তপুরের আহমদ আলী জানান, বাইয়ারপাড়ের বাদেআলী, অনন্তপুর, পূর্বঊষা, মীরেরগাঁও, সদরখলা ও পাইকারীগাঁওয়ে অন্তত সহস্রাধিক ‘ডোফ’ দেওয়া হয়েছে।
গত শীত মৌসুমে দরপতনে টমেটোচাষিদের বিক্ষোভে একাত্ম হওয়া সংগঠন সিলেট কৃষক কল্যাণ সংস্থার আহ্বায়ক আবদুল হান্নান আনসারী জানান, দাম কম হওয়ার কারণে টমেটো চাষে এবার চাষিরা নিরুর্যাসাহিত ছিলেন। এর পরও আগাম চাষবাসের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে যাঁরা টমেটো চাষে এগিয়ে এসেছিলেন, তাঁরা পড়েছেন এখন বিপাকে। একটি ডোফ তৈরিতে প্রায় ৩০০ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়। এ ক্ষেত্রে চাষিদের ফলনের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সিলেট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সবিনয় ভট্টাচার্য বলেন, মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় চাষিরা নিজস্ব প্রযুক্তিতে ফলন অব্যাহত রেখেছেন এবং এ ক্ষেত্রে কৃষি বিভাগ থেকে যথাসাধ্য সহায়তা করা হবে।
সূত্রঃ প্রথম আলো (তারিখ: ০৮-১০-২০১০)