সুখচর ও নলচিরা ইউনিয়নের কৃষকদের চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরের চরকিং ইউনিয়নের আফাজিয়া বাজারে এসে সার কিনতে হচ্ছে। এতে ভ্যানে করে সার আনতে গিয়ে তাঁদের অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হচ্ছে। ওই দুই ইউনিয়নের দায়িত্ব পাওয়া সার ডিলারের গাফিলতির কারণে এ দুই ইউনিয়নের আড়াই হাজার কৃষক চার বছর ধরে সার কিনতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সুখচর ইউনিয়নের কৃষক এমরান উদ্দিন বলেন, এক বস্তা ইউরিয়া সার আফাজিয়া বাজার থেকে কিনে বাড়ি পৌঁছাতে ৪০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। এভাবে চার বছর ধরে সারের জন্য বাড়তি খরচ হচ্ছে।
নলচিরার কৃষক মনির, মালেক, জামাল ও নবীর জানান, আফাজিয়া বাজার থেকে সার আনতে তাঁদের অতিরিক্ত টাকা লাগে। অনেক সময় টাকা জোগাড় করতে না পারায় তাঁরা জমিতে সময়মতো সার দিতে পারেন না। এতে তাঁদের জমিতে প্রতি মৌসুমেই ফসল উর্যাপাদন কম হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে ২০০৭ সালের ২২ নভেম্বর এক সভা হয়। সভায় নদী ভাঙনের কারণে আয়তন কমে যাওয়ায় সুখচর ও নলচিরা ইউনিয়নকে একটি ইউনিয়ন হিসেবে গণ্য করে আনিস ব্রাদার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে সার ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়। এ সময় আনিস ব্রাদার্সের সার বিতরণকেন্দ্র সুখচর ইউনিয়নের রামচরণ বাজারে নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু আনিস ব্রাদার্স এ আদেশ অমান্য করে পাশের চরকিং ইউনিয়নের আফাজিয়া বাজারে সার বিক্রি করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবুল খায়ের বলেন, ‘মেসার্স আনিস ব্রাদার্সকে তার জন্য নির্ধারিত রামচরণ বাজারে সার বিক্রির নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি এ নির্দেশ না মেনে আফাজিয়া বাজারে এসে সার বিক্রি করছে।’
হাতিয়ার বর্তমান ইউএনও হারুন অর রশীদ জানান, আনিস ব্রাদার্সকে তার জন্য নির্ধারিত বিতরণকেন্দ্র রামচরণ বাজারে সার বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আনিস ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী সার ডিলার জোবায়ের হোসেন জানান, সুখচর ও নলচিরা ইউনিয়নের রাস্তাঘাট ভালো না হওয়ায় তিনি চরকিং ইউনিয়নের আফাজিয়া বাজারে সার বিক্রি করছেন। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে রামচরণ বাজারের পরিবর্তে কেন আফাজিয়ায় সার বিক্রি করছেন, জানতে চাইলে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।
সূত্রঃ প্রথম আলো (তারিখ: ০৮-১০-২০১০)
সুখচর ইউনিয়নের কৃষক এমরান উদ্দিন বলেন, এক বস্তা ইউরিয়া সার আফাজিয়া বাজার থেকে কিনে বাড়ি পৌঁছাতে ৪০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। এভাবে চার বছর ধরে সারের জন্য বাড়তি খরচ হচ্ছে।
নলচিরার কৃষক মনির, মালেক, জামাল ও নবীর জানান, আফাজিয়া বাজার থেকে সার আনতে তাঁদের অতিরিক্ত টাকা লাগে। অনেক সময় টাকা জোগাড় করতে না পারায় তাঁরা জমিতে সময়মতো সার দিতে পারেন না। এতে তাঁদের জমিতে প্রতি মৌসুমেই ফসল উর্যাপাদন কম হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে ২০০৭ সালের ২২ নভেম্বর এক সভা হয়। সভায় নদী ভাঙনের কারণে আয়তন কমে যাওয়ায় সুখচর ও নলচিরা ইউনিয়নকে একটি ইউনিয়ন হিসেবে গণ্য করে আনিস ব্রাদার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে সার ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়। এ সময় আনিস ব্রাদার্সের সার বিতরণকেন্দ্র সুখচর ইউনিয়নের রামচরণ বাজারে নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু আনিস ব্রাদার্স এ আদেশ অমান্য করে পাশের চরকিং ইউনিয়নের আফাজিয়া বাজারে সার বিক্রি করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবুল খায়ের বলেন, ‘মেসার্স আনিস ব্রাদার্সকে তার জন্য নির্ধারিত রামচরণ বাজারে সার বিক্রির নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি এ নির্দেশ না মেনে আফাজিয়া বাজারে এসে সার বিক্রি করছে।’
হাতিয়ার বর্তমান ইউএনও হারুন অর রশীদ জানান, আনিস ব্রাদার্সকে তার জন্য নির্ধারিত বিতরণকেন্দ্র রামচরণ বাজারে সার বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ অমান্য করলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আনিস ব্রাদার্সের স্বত্বাধিকারী সার ডিলার জোবায়ের হোসেন জানান, সুখচর ও নলচিরা ইউনিয়নের রাস্তাঘাট ভালো না হওয়ায় তিনি চরকিং ইউনিয়নের আফাজিয়া বাজারে সার বিক্রি করছেন। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে রামচরণ বাজারের পরিবর্তে কেন আফাজিয়ায় সার বিক্রি করছেন, জানতে চাইলে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি।
সূত্রঃ প্রথম আলো (তারিখ: ০৮-১০-২০১০)