অতীতের মতো সারের পেছনে কৃষককে ছুটতে হবে না বা সারের জন্য জীবন দিতে হবে না। চলতি বছরের জন্য সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ লাখ ৩১ হাজার মেট্রিক টন। চাহিদা পূরণের জন্য দেশে উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি বিদেশে থেকেও বেশি পরিমাণ সার আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গত দেড় বছরে নিজের মন্ত্রণালয়ের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী দীলিপ বড়ুয়া এ কথা বলেন। নর্থ-ওয়েস্ট এবং ভোলার শাহবাজপুর ফার্টিলাইজার প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে দীলিপ বড়ুয়া বলেন, গ্যাস সরবরাহের কারণে কারখানা বন্ধ থাকলেও আসন্ন ইরি-বোরো মৌসুমে সারের কোনো সঙ্কট হবে না। এ জন্য সরকারের আগাম প্রস্তুতি রয়েছে।
৪৬ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আরো তিনটি নতুন সার কারখানা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বছরে ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৫'শ মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন তিনটি নতুন গ্যাস নির্ভর সার কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যে শাহজালাল ফার্টিলাইজার প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে।
মন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে ৬ সেপ্টেম্বর অনুমোদন হওয়া জাতীয় শিল্পনীতি-২০১০ সম্পর্কে বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, এ শিল্পনীতির লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি শিল্প সমৃদ্ধ মধ্য আয়ের দেশে পরিনত করা। এছাড়া বেসরকারি খাতকে শক্তিশালী করাও এ শিল্পনীতির অন্যতম উদ্দেশ্য। আমরা চাই জাতীয় আয়ে শিল্পের অবদান হোক ২৮ থেকে ৪০ শতাংশ।
সিএনজি চালিত থ্রি হুইলার সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী জানান, এটলাস (বাংলাদেশ) লিমিটেড দেশেই সিএনজি চালিত থ্রি হুইলার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ব লাভজনক কোনো কারখানা সরকার বেসরকারিকরণ করবে না। অল্প দিনের মধ্যেই আরো চারটি বন্ধ পাটকল চালু করা হবে।
বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা এবং চারদলীয় জোট সরকারের অপশাসন ও দুর্নীতির মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছে বলেও মন্তব্য করেন দীলিপ বড়ুয়া।
সারের জন্য কৃষককে আর জীবন দিতে হবে না : শিল্পমন্ত্রী
Friday, September 24, 2010
Labels:
অনান্য,
কৃষি তথ্য,
কৃষি সংবাদ,
সার
Posted by
জনি
at
8:53 PM