চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বীর বাহাদুর এমপি বলেছেন, তামাক চাষ, তামাক পাতা চুল্লীতে প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তামাক সেবন পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য ও অর্থনীতি’র জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কিন্তু কৃষকরা তামাক কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে সার, বীজ, কীটনাশকসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রাপ্তি এবং তামাক পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণ এর পর তামাক কোম্পানিগুলোর কাছে বিক্রির নিশ্চয়তার কারণে দরিদ্র কৃষকরা ক্ষতিকর তামাক চাষে ধাবিত হচ্ছে। মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের প্রতিনিধিদল প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে এর ক্ষতি সম্পর্কে কৃষক ও সংশ্লিষ্টদের সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি কৃষকদের হলুদ, আদা, রসুন এর লাভজনক বিকল্প চাষে সহযোগিতা, উৎসাহ প্রদান করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্য এলাকায় নদীর ঢালে তামাক চাষ করার কারণে ক্ষতিকর তামাকের রাসায়নিক ও তামাক চাষে প্রদান করা বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য নদীর পানিতে মেশার ফলে নদীর পানিও দূষিত হয়ে পড়ছে। যে কারণে নদীতে মাছ ও জলজ প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
এ নদীর পানি ব্যবহার করার ফলে পার্বত্য এলাকার মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ কারণে রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি-এ তিন জেলাকে কেন্দ্র করে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড নদীর ঢালে তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে এবং এজন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন র্যাক এর নির্বাহী পরিচালক একেএম শহিদুল ইসলাম, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর প্রকল্প সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম সুজন ও ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান, জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব) এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক একেএম খলিল উল্লাহ, মানবিক এর প্রকল্প কর্মকর্তা মাসুদ রানা, উবিনীগ এর সহযোগী গবেষক মাহমুদা খাতুন শিউলি প্রমুখ।
আমিনুল ইসলাম বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ও লাভের লোভ দেখিয়ে কৌশলে কৃষকদের তামাক চাষে ধাবিত করছে। তামাক চাষের ফলে জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ এর কি কি ক্ষতি হয়-তামাক কোম্পানিগুলো তামাক চাষের কোনো ক্ষতিই কৃষকদের অবহিত করে না।
একেএম শহিদুল ইসলাম বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ১২ নং ধারায় তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হলেও বিগত ৫ বছরে এ ধারায় কোনো কাজ হয়নি। তাই তামাক চাষ বেড়ে গেছে।
সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, গত ৫ বছরে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অনেক দুর্বলতা চিহ্নিত হয়েছে। এখন এ আইনের দুর্বলতা দূর করা দরকার। খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে খাদ্যের জমিতে তামাক চাষ নিষিদ্ধ করা দরকার।
শেষে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর প্রতিনিধিদল বীর বাহাদুর এমপির হাতে একটি স্মারকপত্র ও তামাক বিরোধী প্রকাশনা তুলে দেন।
তিনি বলেন, তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে এর ক্ষতি সম্পর্কে কৃষক ও সংশ্লিষ্টদের সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি কৃষকদের হলুদ, আদা, রসুন এর লাভজনক বিকল্প চাষে সহযোগিতা, উৎসাহ প্রদান করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, পার্বত্য এলাকায় নদীর ঢালে তামাক চাষ করার কারণে ক্ষতিকর তামাকের রাসায়নিক ও তামাক চাষে প্রদান করা বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য নদীর পানিতে মেশার ফলে নদীর পানিও দূষিত হয়ে পড়ছে। যে কারণে নদীতে মাছ ও জলজ প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
এ নদীর পানি ব্যবহার করার ফলে পার্বত্য এলাকার মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ কারণে রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি-এ তিন জেলাকে কেন্দ্র করে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড নদীর ঢালে তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে এবং এজন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন র্যাক এর নির্বাহী পরিচালক একেএম শহিদুল ইসলাম, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর প্রকল্প সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম সুজন ও ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান, জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব) এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক একেএম খলিল উল্লাহ, মানবিক এর প্রকল্প কর্মকর্তা মাসুদ রানা, উবিনীগ এর সহযোগী গবেষক মাহমুদা খাতুন শিউলি প্রমুখ।
আমিনুল ইসলাম বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ও লাভের লোভ দেখিয়ে কৌশলে কৃষকদের তামাক চাষে ধাবিত করছে। তামাক চাষের ফলে জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ এর কি কি ক্ষতি হয়-তামাক কোম্পানিগুলো তামাক চাষের কোনো ক্ষতিই কৃষকদের অবহিত করে না।
একেএম শহিদুল ইসলাম বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ১২ নং ধারায় তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হলেও বিগত ৫ বছরে এ ধারায় কোনো কাজ হয়নি। তাই তামাক চাষ বেড়ে গেছে।
সৈয়দা অনন্যা রহমান বলেন, গত ৫ বছরে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অনেক দুর্বলতা চিহ্নিত হয়েছে। এখন এ আইনের দুর্বলতা দূর করা দরকার। খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে খাদ্যের জমিতে তামাক চাষ নিষিদ্ধ করা দরকার।
শেষে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট এর প্রতিনিধিদল বীর বাহাদুর এমপির হাতে একটি স্মারকপত্র ও তামাক বিরোধী প্রকাশনা তুলে দেন।