ছয় বিঘার ফসল কেটে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা

Saturday, August 28, 2010


ইসরাইল হোসেন প্রায় এক বিঘা জমিতে কলা আর মরিচের চাষ করেছিলেন। সন্ত্রাসীরা বৃহস্পতিবার রাতে তার সেই কলা আর মরিচগাছগুলো কেটে নষ্ট করে দিয়েছে। একটি হত্যা মামলার সাক্ষী হওয়ায় তাঁর ক্ষেতের ফসল নষ্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ ইসরাইল হোসেনের।
শুধু ইসরাইলের একার নয়, ঝিনাইদহের শৈলকুপার উত্তর বোয়ালিয়া গ্রামের সাতজন কৃষকের প্রায় ছয় বিঘা জমির ফসল এভাবে কেটে নষ্ট করেছে সন্ত্রাসীরা। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় পাঁচ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। যাঁদের ফসল নষ্ট করা হয়েছে তাঁদের অধিকাংশই গ্রামের একটি হত্যা মামলার সাক্ষী। ওই মামলার আসামিরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। সন্ত্রাসীরা মামলায় জামিন পাওয়ার পর থেকেই হুমকি দিয়ে আসছিল।
বোয়ালিয়া গ্রামের কৃষক ইসরাইল হোসেন জানান, চলতি বছরের ২৬ জুন গ্রামের একটি গোলমালে আবদুল কুদ্দুস নামের এক কৃষক গুরুতর আহত হন। তাঁকে উন্নত চিকিত্সার জন্য ঢাকায় নেওয়া হলে ১২ জুলাই তিনি মারা যান। আহত হওয়ার পর আবদুল কুদ্দুসের ভাই বাদলা শেখ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। আসামিরা আদালত থেকে জামিন পেয়ে মামলার সাক্ষীদের নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর ৪০ শতক ছাড়াও জালাল আহম্মদের ২০ শতক, রবিউল ইসলামের ১৩ শতক, লাভলুর রহমানের ৪০ শতক, সোলাইমান হোসেনের ৪৪ শতক, নেকবার আলীর ৩০ শতক ও আফজাল হোসেনের ৩০ শতক জমির ফসল কেটে নষ্ট করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে জালাল আহম্মদ ও নেকবার আলী ছাড়া অন্যরা আবদুল কুদ্দুস হত্যা মামলার সাক্ষী। জালাল ও নেকবার সাক্ষীদের পরিবারের সদস্য।
শুক্রবার সকালে তাঁরা খবর পান মাঠে সবার ফসল কেটে নষ্ট করা হয়েছে। খবর পেয়ে তাঁরা মাঠে ছুটে যান। সেখানে দেখেন, জালাল আহম্মদকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। জালাল আহম্মদ জানান, তিনি ভোরে সেহির খাওয়ার পর খেত দেখতে এসেছিলেন। এ সময় দেখেন জমিতে লোকজন ঘোরাঘুরি করছে। জিজ্ঞাসা করা মাত্রই তাঁকে বেঁধে ফেলা হয়। এরপর সন্ত্রাসীরা ফসল কেটে দ্রুত চলে যায়। জালাল আহম্মদ জানান, তাঁর মাত্র ২০ শতক জমি আছে, যে জমিতে মরিচের চাষ করেছিলেন। সেখানে ধারদেনা করে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ করেছেন। আশা করেছিলেন খরচের দ্বিগুণ টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারবেন। এখন কীভাবে ধার পরিশোধ করবেন তা নিয়ে চিন্তিত। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে শৈলকুপার কচুয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান জানান, খবর পেয়ে তিনি খেত দেখতে গিয়েছিলেন। কারা এই ফসল নষ্টের সঙ্গে জড়িত তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি জড়িতদের উপযুক্ত বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।

সূত্রঃ প্রথম আলো

মনের উঠোনে

সাম্প্রতিক সংযোজন

মোবাইল থেকে দেখুন

আমাদের দেশ এখন আপনার মুঠোফোনে, মোবাইল থেকে লগইন করুন আমাদের দেশ

দ র্শ না র্থী

দ র্শ না র্থী

free counters

কে কে অনলাইনে আছেন