পুষ্টি মূল্য: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল।
ভেষজ গুণ:
পাতা, ফুল ও ফলের খোসা গরম পানিতে সিদ্ধ করে পান করলে মৃগী, হাতপা কাঁপা ও প্রচন্ড কাশি রোগীর প্রশানি- আনয়ন করে।
উপযুক্ত জমি ও মাটি:
দোআঁশ ও পলি মাটিতে বাতাবি লেবু চাষের জন্য উত্তম। মধ্যম অম্লীয় মাটিতে এ ফল ভাল জন্মে।
জাত পরিচিতি:
বারি বাতাবি লেবু-১: এ জাতের পাতা বড় আকৃতির গাঢ় সবুজ। নিয়মিত ফল ধরে। ফলের আকৃতি প্রায় গোলাকার। ফল সুস্বাদু ও তিতাবিহীন, বেশ রসালো, শাঁসের রং লালচে, বেশ নরম, মিষ্টতা মাঝারি। পাকা ফলের রং হলদে।
বারি বাতাবি লেবু-২: পাতা গাঢ় সবুজ, ডানাযুক্ত বৃত্তাকার। গাছে নিয়মিত ফল ধরে। ফল সুস্বাদু, বেশ রসালো, শাঁসের রঙ লালচে এবং বেশ মিষ্টি। শাঁস নরম এবং পাকা ফলের রঙ হলদে।
বারি বাতাবি লেবু-৩: গাছের আকার মাঝারি, পাতা গাঢ় সবুজ ও হৃদপিন্ডাকার ডানাযুক্ত, প্রতি বছর নিয়মিত ফল ধরে। পাকা ফলের খোসা হলদে বর্ণের। ফলের শাঁস অত্যন্ত রসালো, নরম, মিষ্টি, তিতাবিহীন, গোলাপী বর্ণের এবং খেতে সুস্বাদু।
বারি বাতাবি লেবু-৪: গাছের আকৃতি ছাতার মতো। ফলের আকৃতি গোলাকার, মাঝারি ধরণের। ফল সুস্বাদু, বেশ রসালো, শাঁসের রঙ সাদা ও বেশ মিষ্টি। এটি একটি নাবী জাত।
চারা তৈরি:
গুটি কলমের মাধ্যমে চারা তৈরি করা হয়।
চারা রোপণ:
মধ্য বৈশাখ থেকে মধ্য আশ্বিন মাসে চারা রোপণ করতে হয়। লাইন থেকে লাইন এবং গাছ থেকে গাছের দূরত্ব ৫ মিটার রাখতে হয়।
সার ব্যবস্থাপনা:
প্রতি গর্তে ইউরিয়া সার ২২৫ গ্রাম, টিএসপি সার ৯০ গ্রাম, এমওপি সার ১৬০ গ্রাম এবং গোবর ১১ কেজি প্রয়োগ করতে হয়। তবে বয়স্ক গাছে সারের পরিমান বাড়াতে হয়। এ সার মধ্য মাঘ থেকে মদ্য পাল্গুণ, মধ্য বৈশাক থেকে মধ্য জৈষ্ঠ্য এবং মধ্য আশ্বিন থেকে মধ্য কার্তিক মাসে প্রয়োগ করতে হয়।
সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা:
শুকনা মৌসুমে ২-৩ বার সেচ দিতে হয়। বর্ষার সময় গাছের গোড়ায় যাতে পানি জমে না থাকে সেজন্য পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখা দরকার। প্রতি বছর ফল আহরণের পর অবাঞ্ছিত ডারপালা ছাঁটাই করতে হয়।
ফসল তোলা:
তথ্যসূত্র : দি-এডিটর