রাজশাহীতে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে হিমাগারে আলু পচে যাচ্ছে। কৃষক ও ব্যবসায়ীরা হিমাগার থেকে আলু বের করতে গিয়ে দেখছেন, তাঁদের পাঁচ থেকে ১০ শতাংশ আলু পচে গেছে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে ২৫টি হিমাগার আছে। এগুলোতে প্রায় আড়াই লাখ টন রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে কোল্ডস্টোরেজের মালিকেরা জেনারেটরের মাধ্যমে আলু সংক্ষণের চেষ্টা করছেন। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পেরে উঠছেন না।
গত শুক্রবার রাজশাহীর মোহনপুরে আমান অ্যাগ্রো কোল্ডস্টোরেজে গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিকেরা ডালিতে করে হিমাগারের বাইরে পচা আলু ফেলছেন। সেখানে পচা আলুর স্তূপ জমে গেছে। একদল নারী ও শিশু আলুর স্তূপ থেকে অপেক্ষাকৃত ভালো আলু খুঁজছেন।
কোল্ডস্টোরেজের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি শ্রমিক আলু বছাইয়ের কাজ করছেন। মোহনপুর উপজেলার মৌগাছি এলাকার ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, তাঁর এই হিমাগারে ৬০০ বস্তা আলু রয়েছে। অনেক আলুই পচে গেছে। এখন বাছাই করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ঠিকমতো বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকার কারণে এ সমস্যা হয়েছে। উপজেলার বসন্তপুর এলাকার ব্যবসায়ী দুলাল উদ্দিন বলেন, এই হিমাগারে ৮০০ বস্তা আলু রয়েছে। তিনি বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে তাঁর ১০ শতাংশ আলু নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলার মাখনপুর গ্রামের কৃষক আবু তালেব বলেন, তিনি এখানে প্রায় তিন হাজার বস্তা আলু রেখেছেন। তাঁর আলুরও একই অবস্থা হয়েছে। আমান কোল্ডস্টোরেজের ব্যবস্থাপক আবদুল খালেক বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণেও কিছু আলু পচে নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া কৃষকদের অসচেতনতার কারণে কিছু কাটা আলু রাখা ছিল সেগুলোই পচে গেছে। ১০ দিন ধরে বিদ্যুতের লোডশেডিং ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তিনি বলেন, এই মৌসুমে বিদ্যুৎ না থাকার সময় জেনারেটর চালাতে তাঁদের ৯২ ব্যারেল ডিজেল কিনতে হয়েছে। প্রতি ব্যারেলে ২১৫ লিটার করে ডিজেল থাকে।
রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক সারোয়ার হোসেন বলেন, পিক আওয়ারে ৩০ থেকে ৩৫ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে পিডিবি তাঁদের মাত্র নয় মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিচ্ছে। আর অফ পিকে ২০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে তারা পিডিবি থেকে ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। এই সরবরাহ দিয়ে তাঁরা এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারছেন না।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে ২৫টি হিমাগার আছে। এগুলোতে প্রায় আড়াই লাখ টন রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে কোল্ডস্টোরেজের মালিকেরা জেনারেটরের মাধ্যমে আলু সংক্ষণের চেষ্টা করছেন। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা পেরে উঠছেন না।
গত শুক্রবার রাজশাহীর মোহনপুরে আমান অ্যাগ্রো কোল্ডস্টোরেজে গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিকেরা ডালিতে করে হিমাগারের বাইরে পচা আলু ফেলছেন। সেখানে পচা আলুর স্তূপ জমে গেছে। একদল নারী ও শিশু আলুর স্তূপ থেকে অপেক্ষাকৃত ভালো আলু খুঁজছেন।
কোল্ডস্টোরেজের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি শ্রমিক আলু বছাইয়ের কাজ করছেন। মোহনপুর উপজেলার মৌগাছি এলাকার ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বলেন, তাঁর এই হিমাগারে ৬০০ বস্তা আলু রয়েছে। অনেক আলুই পচে গেছে। এখন বাছাই করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ঠিকমতো বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকার কারণে এ সমস্যা হয়েছে। উপজেলার বসন্তপুর এলাকার ব্যবসায়ী দুলাল উদ্দিন বলেন, এই হিমাগারে ৮০০ বস্তা আলু রয়েছে। তিনি বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে তাঁর ১০ শতাংশ আলু নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলার মাখনপুর গ্রামের কৃষক আবু তালেব বলেন, তিনি এখানে প্রায় তিন হাজার বস্তা আলু রেখেছেন। তাঁর আলুরও একই অবস্থা হয়েছে। আমান কোল্ডস্টোরেজের ব্যবস্থাপক আবদুল খালেক বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণেও কিছু আলু পচে নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া কৃষকদের অসচেতনতার কারণে কিছু কাটা আলু রাখা ছিল সেগুলোই পচে গেছে। ১০ দিন ধরে বিদ্যুতের লোডশেডিং ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তিনি বলেন, এই মৌসুমে বিদ্যুৎ না থাকার সময় জেনারেটর চালাতে তাঁদের ৯২ ব্যারেল ডিজেল কিনতে হয়েছে। প্রতি ব্যারেলে ২১৫ লিটার করে ডিজেল থাকে।
রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক সারোয়ার হোসেন বলেন, পিক আওয়ারে ৩০ থেকে ৩৫ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে পিডিবি তাঁদের মাত্র নয় মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিচ্ছে। আর অফ পিকে ২০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে তারা পিডিবি থেকে ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। এই সরবরাহ দিয়ে তাঁরা এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারছেন না।
তথ্যসূত্র : প্রথম আলো