পরিবেশ আজ হুমকির মুখে। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তাপমাত্রা। নদ-নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। আমাদের কারনে দূষন হচ্ছে নদ-নদী। এই দূষনের কারনে, ভরাটের কারনে যে কি হবে তা আমরা কোন কিছুর বিনিময়ে পূরণ করতে পারবো না। পরিবেশের উপর আমাদের একটু সদয় হওয়া উচিত। সদয় হওয়া উচিত নিজের স্বার্থে, আগামী প্রজন্মের স্বার্থে। আগামী প্রজন্মের সামনে আমরা যদি একটি বাসযোগ্য সুন্দর পৃথিবি রেখে যেতে না পারি তবে তারা আমাদের ঘৃনাভরে স্মরণ করবে। আমাদের কারনে যদি আগামী প্রজন্ম একটি দূষিত পৃথিবীতে বসবাস করতে বাধ্য হয় তবে আমাদের তারা ভালবেসে স্মরণ করবে এমনটি ভাবার কোন কারন নেই।
আমাদের পূর্ব প্রজন্ম যে পরিমান গছপালা দেখেছে বা পেয়েছে তারা কি আমাদের জন্য সে পরিমান গাছপালা রাখতে পেরেছে? তারা যে পরিমান গাছ কেটেছে সে পরিমান গাছ কি তারা লাগিয়েছে। নদ-নদীতে যে পরিমান পানি দেখেছে সে পরিমান পানি কি আছে? আগামী প্রজন্ম এভাবেই আমাদের প্রশ্ন করবে। কি জবাব দেব আমরা?
এখন বর্ষাকাল। আসুন আমরা বেশি করে গাছ লাগাই। যার যতটুকু সামর্থ আছে তা নিয়ে পরিবেশের প্রতি আমার কর্তব্যটুকু পালন করি। পরিবেশ বাঁচলে আমরা বাঁচবো, আগামী প্রজন্ম সুন্দর পৃথিবী পাবে। আমাদের পরিবেশের কি অবস্থা তা নিচের তথ্যটা দেখলেই বোঝা যাবে। তাই আবারও আহবান- পরিবেশ বাঁচলে আমরা বাঁচবো, আগামী প্রজন্ম সুন্দর পৃথিবী পাবে।
রাজধানীতে বায়ুদূষণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রতি বছর এ কারণে মারা যাচ্ছে কমপক্ষে ১৫ হাজার মানুষ। গতকাল পরিবেশ অধিদফতর এ তথ্য জানায়। সূত্র জানায়, ধুলাবালি, গাড়ির কালো ধাঁয়া, কারখানার বর্জ্য ও কালো ধোঁয়া, নির্মাণ শিল্পের বর্জ্য এবং অতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার ঢাকার বায়ুকে দূষিত করছে। এ কারণে মানুষ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এরই ভয়াবহ প্রভাবে মারা যাচ্ছে মানুষ। প্রতিদিন গাড়ি থেকে ১০০ কিলোগ্রাম সিসা, ৬০ টন কার্বন মনোক্সাইড, ১৬ টন নাইট্রোজেন, দেড় টন সালফার ডাইঅক্সাইড, ১ টন হাইড্রো কার্বন এবং সাড়ে ৩ টন অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ বাতাসে নির্গমন হয়। বিশ্বব্যাংক জানায়, ঢাকায় বায়ুদূষণে সৃস্ট রোগের চিকিৎসায় বছরে ব্যয় হয় ১৩২ থেকে ৫৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।উপরের সংবাদটা পড়ে কি মনে হচ্ছে? আমরা কি পরিবেশের মধ্যে বাস করি! আমাদের কি কিছুই করার নাই? আমাদের বাঁচার কি কোন উপায় থাকবে না? অনুন্নত দেশের চেয়ে উন্নত দেশ, অভাবী মানুষের চেয়ে বিত্তবানরা সর্বদা পরিবেশ দূষণের জন্য দায়ী। আমাদের এখনই সিন্ধান্ত নিতে হবে আমরা কি করব।
তথ্যসূত্র : দি-এডিটর