এতে করে প্রকল্প এলাকায় ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও ভুমিহীন চাষীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। ’কন্দাল’ নামে এই ফসল উৎপাদন ও বিতারনের সঙ্গে সরাসরি চাষীদেরও সম্পৃক্ত করা হবে। এছাড়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে উচ্চ ফলনশীল ও রোগবালাই প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন এবং লবণাক্ত ও খরাসহিষ্ণু বিশেষ ধরণের জাত উদ্ভাবনের লক্ষ্যে স্থানীয় এবং বিদেশী জার্মপ্লাজম সংগ্রহ করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
পরিকল্পনা কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, দানা জাতীয় ফসলের তুলনায় কন্দাল ফসল অধিক লাভজনক। এদেশের ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠির খাদ্যের যোগান হিসেবে আলু, মিষ্টি আলু ও কচু ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। কৃষিভিত্তিক শিল্প উৎপাদনের কাচামাল হিসেবে এবং রপ্তানির মাধ্যমে বৈদাশিক মুদ্রা অর্জনেও বিশেষ ভুমিকা রয়েছে। কাজেই কন্দাল ফসলের বীজের মান উন্নয়নকল্পে গবেষণা, উৎপাদন, বিতারণ ও সম্প্রসারণে কন্দাল ফসল উন্নয়ণ নামে এই প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে সরকার।
এই প্রকল্পটি কৃষি মন্ত্রণালযের আওতাধীন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ণ করর্পোরেশন (বিএডিসি), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) বাস্তবায়ন করবে। ৪২১ কোটি ৪২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ব্যয় সম্বলিত প্রকল্পটি চলতি অর্থ বছরের জুলাই থেকে শুরু করে ২০১৩ সালের জুন মাসে শেষ করতে কমিশন থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রকল্পে সরকারের অভ্যন্তরীণ উৎস (জিওবি) থেকে ব্যয় হবে ২৬৮ কোটি ৮১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা এবং বিএডিসি থেকে ১৫২ কোটি ৬০ লাখ ৯৬ হাজার টাকা।
কমিশনের প্রস্তাবনায় বলা হয়, কন্দাল ফসল হিসেবে আলু, মিষ্টি আলু ও মুখীকচু, কাসাভা ইত্যাদিকে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। ধান ও গমের তুলনায় আলু অধিক লাভজনক ফসল এবং জাতীয় অর্থনীতিতে এর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। প্রতি বছর সবজি হিসেবে বাংলাদেশের মানুষ মাতাপিছু ৪০ কেজি আলু খেয়ে থাকে।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি হেক্টরে আলুর জাতীয় ফলন হচ্ছে ১৫ মে. টন। যা বিশ্বের উন্নত দেশ এমনকি উন্নয়নশীল দেশের তুলনায়ও অনেক কম। আলুর জাতীয় ফলন ও খামারের ফলনের পার্থক্য অপেক্ষাকৃত বেশি বিধায় উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে তা কমিয়ে আনা সম্ভব। আলু ফসলের উন্নয়ণের লক্ষ্যে ৬০ দশকে বিএডিসি কর্তৃক বীজ আলু আমদানীর কার্যক্রম গ্রহণ করে।
বর্তমানে দেশে বীজ আলুর চাহিদা রয়েছে প্রায ৭.৫ লক্ষ মে. টন। মানসম্পন্ন বীজের অভাব ও উচ্চ মূল্যের কারণে প্রায় ৯০ শতাংশের অধিক কৃষক তাদের নিজেস্ব সংরক্ষিত নিম্ম মানের বীজ ব্যবহার করে। আলু বীজের মান উন্নয়নকল্পে অংশগ্রহণমূলক গবেষণা, উৎপাদন, বিতারন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হযেছে।
সরকার আলুর আমদানি নির্ভরতা কমাতে ব্রিডার বিজ উৎপাদন করবে
Friday, September 24, 2010
আমদানী নির্ভরতা হ্রাসে টিস্যু কালচার প্রযুক্তির মাধ্যমে আলুর ব্রিডার বীজ উৎপাদন করতে প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার সারা দেশের ২৯টি জেলার ৮৭টি উপজেলায় ৬৮ হাজার ৮৫৫ মে. টন ব্রীডার ও ফাউন্ডেশন সীড এবং টিএলএস বীজ উৎপাদন, ক্রয় ও সংরক্ষণ করবে। একই সঙ্গে ৫৬ হাজার ৫৩৯.২৯ মে. টন ব্রীডার ও ফাউন্ডেশন সীড এবং টিএলএস বীজ বিতরণ করা হবে।
Labels:
অনান্য,
কৃষি তথ্য,
কৃষি সংবাদ,
শাক-সব্জীর চাষ
Posted by
জনি
at
9:14 PM