চলতি মৌসুমে চিতলমারী উপজেলার কৃষকেরা সবজি উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করলেও দাম পাচ্ছেন না। প্রতিমণ করলার দাম ৪০ টাকা। বুধবার হাটের দিনে বিক্রি না করে অভিমানী অর্ধশত কৃষক প্রায় ২০০ মণ করলা স্থানীয় মরা চিত্রা নদীতে ফেলে দিয়েছেন। চিতলমারী কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৮০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে করলা ৭৫ হেক্টর, শশা ৬০ হেক্টর, চাল কুমড়া ৩০ হেক্টর, বেগুন ২০ হেক্টর, লাউ ১৫ হেক্টর, মিষ্টি কুমড়া ১০ হেক্টর, চিচিংগা ১০ হেক্টর ও অন্যান্য সবজি ৬০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এলাকার কৃষকেরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হয়েছেন।
বৈরী আবহাওয়া, অনাবৃষ্টি ও লোনা পানির কারণে হেক্টর প্রতি উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। গত বছর এ সময় হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছিল সাড়ে আট মেট্রিক টন (মে.ট.)। এ বছর হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে সাড়ে সাত মে. ট.। তারপরও দাম নেই। বুধবার চিতলমারী হাটের দিনে প্রতি মণ করলা বিক্রি হয়েছে মাত্র ৪০ টাকায়।
উপজেলার কাটাখালী গ্রামের অভিমানী কৃষক হরিপদ মন্ডল ২০ মণ, একই গ্রামের সুনীল কীর্ত্তনীয়া ১২ মণ, সদাই কীর্ত্তনীয়া ১৭ মণ, আড়–য়াবর্নী গ্রামের লিয়াকত শেখ ৮ মণ, একই গ্রামের কেরামত খাঁ ৬ মণ, গরীবপুর গ্রামের বিষ্ণু কীর্ত্তনীয়া ৭ মণ, ও মণমোহন বিশ্বাস ২০ মণ করলা বিক্রি না করে মরা চিত্রা নদীতে ফেলে দিয়েছেন। ওই সমস্ত ক্ষুব্ধ কৃষক বাড়িতে গিয়ে ক্ষেতের সম্পূর্ণ করলাগাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তাঁরা পিটিবি নিউজ ডটকমকে জানান।
সরেজমিনে দেখা যায়, নৌকায় করে চিতলমারী হাটে এনে তা বিক্রি না করেই নৌকা ডুবিয়ে ধুয়ে মুছে তাঁরা বাড়ি চলে গেছেন। ব্যয়বহুল এ করলা চাষ তাঁরা আর করবেন না বলে অনেকেই মতামত ব্যক্ত করেছেন। উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের মনোরঞ্জন মন্ডল জানান, ৮ মণ করলা ৫০০ টাকায় বিক্রি করে প্রায় ৩ ঘন্টা দাড়িয়ে আছি। তারপরও ব্যপারীরা টাকা দেননি।
ঢাকার কাওরান বাজারের বিভিন্ন আড়তে সবজি সরবরাহকারী সোহেল ব্যাপারী ও কামরুল ব্যাপারী পিটিবি নিউজ ডটকমকে জানান, তাদের এক ব্যবসায়ী কাওরান বাজারে করলা বিক্রি করতে না পেরে এক আড়ৎদারের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা নিয়ে ট্রাক ফেলে পালিয়ে গেছেন। এখান থেকে ঢাকা পর্যন্ত ট্রাকের ভাড়া দিতে হয় সাড়ে নয় হাজার টাকা।
তিনি আরো জানান, করলা নিয়ে এলাকার কৃষকেরা যেমন বিপাকে পড়েছেন তেমনি আমরাও খুব বিপদের মধ্যে রয়েছি। ঝুঁকি নিয়ে এ ব্যবসা করতে হচ্ছে।
বৈরী আবহাওয়া, অনাবৃষ্টি ও লোনা পানির কারণে হেক্টর প্রতি উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। গত বছর এ সময় হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছিল সাড়ে আট মেট্রিক টন (মে.ট.)। এ বছর হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে সাড়ে সাত মে. ট.। তারপরও দাম নেই। বুধবার চিতলমারী হাটের দিনে প্রতি মণ করলা বিক্রি হয়েছে মাত্র ৪০ টাকায়।
উপজেলার কাটাখালী গ্রামের অভিমানী কৃষক হরিপদ মন্ডল ২০ মণ, একই গ্রামের সুনীল কীর্ত্তনীয়া ১২ মণ, সদাই কীর্ত্তনীয়া ১৭ মণ, আড়–য়াবর্নী গ্রামের লিয়াকত শেখ ৮ মণ, একই গ্রামের কেরামত খাঁ ৬ মণ, গরীবপুর গ্রামের বিষ্ণু কীর্ত্তনীয়া ৭ মণ, ও মণমোহন বিশ্বাস ২০ মণ করলা বিক্রি না করে মরা চিত্রা নদীতে ফেলে দিয়েছেন। ওই সমস্ত ক্ষুব্ধ কৃষক বাড়িতে গিয়ে ক্ষেতের সম্পূর্ণ করলাগাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তাঁরা পিটিবি নিউজ ডটকমকে জানান।
সরেজমিনে দেখা যায়, নৌকায় করে চিতলমারী হাটে এনে তা বিক্রি না করেই নৌকা ডুবিয়ে ধুয়ে মুছে তাঁরা বাড়ি চলে গেছেন। ব্যয়বহুল এ করলা চাষ তাঁরা আর করবেন না বলে অনেকেই মতামত ব্যক্ত করেছেন। উপজেলার ডুমুরিয়া গ্রামের মনোরঞ্জন মন্ডল জানান, ৮ মণ করলা ৫০০ টাকায় বিক্রি করে প্রায় ৩ ঘন্টা দাড়িয়ে আছি। তারপরও ব্যপারীরা টাকা দেননি।
ঢাকার কাওরান বাজারের বিভিন্ন আড়তে সবজি সরবরাহকারী সোহেল ব্যাপারী ও কামরুল ব্যাপারী পিটিবি নিউজ ডটকমকে জানান, তাদের এক ব্যবসায়ী কাওরান বাজারে করলা বিক্রি করতে না পেরে এক আড়ৎদারের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা নিয়ে ট্রাক ফেলে পালিয়ে গেছেন। এখান থেকে ঢাকা পর্যন্ত ট্রাকের ভাড়া দিতে হয় সাড়ে নয় হাজার টাকা।
তিনি আরো জানান, করলা নিয়ে এলাকার কৃষকেরা যেমন বিপাকে পড়েছেন তেমনি আমরাও খুব বিপদের মধ্যে রয়েছি। ঝুঁকি নিয়ে এ ব্যবসা করতে হচ্ছে।