সাতক্ষীরার কলারোয়ার মৎস্য চাষীরা রাসায়নিক সারের তীব্র সংকটের কারনে চরম বিপাকে পড়েছেন। ফলে চলতি মৌসুমে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিগত চার মাসে প্রয়োজনীয় পঁচিশ মেট্রিক টন রাসায়নিক সারের বিপরীতে বরাদ্দ মেলেনি এক কেজিও। উৎপাদন ব্যহত হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছে এলাকার মাছ চাষীরা। মাছ চাষিরা জানান, তারা মৎস্য ঘেরে তাদের বিনিয়োগ করা অর্থ ঘরে তুলতে পারবেন কিনা তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কয়েকটি মৎস্য ঘেরে কর্মরত মাছ চাষিরা বলেন, সার সংগ্রহের জন্য তারা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরে গেলে কৃষি কর্মকর্তা সাফ জানিয়ে দেন কৃষি বিভাগের জন্য বরাদ্দকৃত সার মৎস্য ঘেরে ব্যবহারের জন্য নয়।
উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, কলারোয়ায় বেসরকারী পুকুরের সংখ্যা সাত হাজার আটশ। যার আয়তন ৯শ ৪৭ দশমিক ৩৬ হেক্টর। এখানে চলতি মৌসুমে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দুই হাজার মে. টন। বেসরকারী মৎস্য খামার (বাণিজ্যিক) রয়েছে ৫০ হেক্টর আয়তন বিশিষ্ট ৩০টি। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা একশ ৫০ মেট্রিক টন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নিয়ন্ত্রিত জলাশয়ের সংখ্যা ৮ টি। এক দশমিক ৭৭ হেক্টর আয়তন বিশিষ্ট এই জলাশয়ের মৎস্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ দশমিক ৫০ মে: টন।
ধান ক্ষেতে সমন্বিত চিংড়ী সহ অন্যান্য মাছ চাষ হচ্ছে একশ হেক্টরে ৬০ টি ব্লকে বিভক্ত করে। সেখান থেকে ৩০ মে. টন মাছ উৎপাদনের আশা করছেন সংশ্লিষ্ট মৎস্য চাষীরা। দুই হাজার আটশ ১৪ টি মৎস্য ঘেরে গলদা সহ মিশ্র মৎস্য চাষে দুই হাজার একশ ৫১ হেক্টরে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৯শ মে. টন।
উপজেলার সাতটি প্রাকৃতিক জলাশয়ে (খাল) ১৫০ হেক্টরে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪০ মে. টন। এ ছাড়া কলারোয়ায় ৬৫ দশমিক ৪২ হেক্টর আয়তন বিশিষ্ট তিনটি বাওড়ে এবার উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৪১ মে. টন। ছয়শ ৩০ হেক্টর আয়তন বিশিষ্ট আটটি প্লাবন ভূমিতে (বিল) উৎপাদন হতে পারে ৭০ মে. টন এমনটিই ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।
উপজেলায় রয়েছে ১০টি বেসরকারী মৎস্য খামার (হ্যাচারী)। পাঁচ হেক্টর আয়তন বিশিষ্ট এই খামার গুলো হতে চার মে. টন মৎস্য পোনা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন পিটিবি নিউজ ডটকমকে জানান, প্রতি হেক্টর জলাশয়ে প্রতি মাসে মৎস্য চাষে প্রয়োজন দুই বস্তা (একশকেজি) ইউরিয়া, এক বস্তা (৫০ কেজি) পটাশ ও ফসফেট এক বস্তা (৫০ কেজি)।
সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা নির্মল কুমার ঘোষ পিটিবি নিউজ ডটকমকে বলেন, চলতি মৌসুমে কলরোয়া মৎস্য অধিদপ্তরের চাহিদাপত্রে গত চার মাসে ২৫ মেট্রিক টন রাসায়নিক সারের বিপরীতে এক কেজি সারও বরাদ্দ মেলেনি। প্রায় আড়াই লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত কলারোয়ার এই বিপুল জনসংখ্যার পুষ্টি চাহিদা মেটাতে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংঙ্কা প্রকাশ করলেন এই মৎস্য কর্মকর্তা।
উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, কলারোয়ায় বেসরকারী পুকুরের সংখ্যা সাত হাজার আটশ। যার আয়তন ৯শ ৪৭ দশমিক ৩৬ হেক্টর। এখানে চলতি মৌসুমে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দুই হাজার মে. টন। বেসরকারী মৎস্য খামার (বাণিজ্যিক) রয়েছে ৫০ হেক্টর আয়তন বিশিষ্ট ৩০টি। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা একশ ৫০ মেট্রিক টন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নিয়ন্ত্রিত জলাশয়ের সংখ্যা ৮ টি। এক দশমিক ৭৭ হেক্টর আয়তন বিশিষ্ট এই জলাশয়ের মৎস্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পাঁচ দশমিক ৫০ মে: টন।
ধান ক্ষেতে সমন্বিত চিংড়ী সহ অন্যান্য মাছ চাষ হচ্ছে একশ হেক্টরে ৬০ টি ব্লকে বিভক্ত করে। সেখান থেকে ৩০ মে. টন মাছ উৎপাদনের আশা করছেন সংশ্লিষ্ট মৎস্য চাষীরা। দুই হাজার আটশ ১৪ টি মৎস্য ঘেরে গলদা সহ মিশ্র মৎস্য চাষে দুই হাজার একশ ৫১ হেক্টরে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৯শ মে. টন।
উপজেলার সাতটি প্রাকৃতিক জলাশয়ে (খাল) ১৫০ হেক্টরে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪০ মে. টন। এ ছাড়া কলারোয়ায় ৬৫ দশমিক ৪২ হেক্টর আয়তন বিশিষ্ট তিনটি বাওড়ে এবার উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৪১ মে. টন। ছয়শ ৩০ হেক্টর আয়তন বিশিষ্ট আটটি প্লাবন ভূমিতে (বিল) উৎপাদন হতে পারে ৭০ মে. টন এমনটিই ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।
উপজেলায় রয়েছে ১০টি বেসরকারী মৎস্য খামার (হ্যাচারী)। পাঁচ হেক্টর আয়তন বিশিষ্ট এই খামার গুলো হতে চার মে. টন মৎস্য পোনা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন পিটিবি নিউজ ডটকমকে জানান, প্রতি হেক্টর জলাশয়ে প্রতি মাসে মৎস্য চাষে প্রয়োজন দুই বস্তা (একশকেজি) ইউরিয়া, এক বস্তা (৫০ কেজি) পটাশ ও ফসফেট এক বস্তা (৫০ কেজি)।
সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা নির্মল কুমার ঘোষ পিটিবি নিউজ ডটকমকে বলেন, চলতি মৌসুমে কলরোয়া মৎস্য অধিদপ্তরের চাহিদাপত্রে গত চার মাসে ২৫ মেট্রিক টন রাসায়নিক সারের বিপরীতে এক কেজি সারও বরাদ্দ মেলেনি। প্রায় আড়াই লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত কলারোয়ার এই বিপুল জনসংখ্যার পুষ্টি চাহিদা মেটাতে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংঙ্কা প্রকাশ করলেন এই মৎস্য কর্মকর্তা।