সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা
দেশ মাতারই মুক্তিকামী দেশের সে যে আশা।”
হ্যাঁ, সব সাধকের চেয়ে বড় সাধক হলেন আমার দেশের কৃষক। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে যে কৃষক শরীরের ঘাম ঝরিয়ে উৎপাদন করেন সোনার ফসল। পুরো জাতি তাকিয়ে থাকে ওই কৃষকের দিকে, যে কৃষকের কারণে অর্থনৈতিক মুক্তি আসে নিজের, পরিবারের এবং সমাজের। ফলে বদলে যায় একটি জনপদ, উৎসাহিত হয় আশেপাশের অগণিত মানুষ। এমনই একজন কৃষকের নাম মোঃ খাইরুল ইসলাম। যিনি শাক-সবজি চাষাবাদ, মুরগি আর মাছের খামার করে বছরে আয় করছেন ১২/১৪ লাখ টাকা। নিজে বদলে যাওয়ার পাশাপাশি পরিবারে এনেছেন সুখের হাসি।
কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের খাইরুল ইসলাম ২০০৩ সালে এইচএসসি পাশ করার পর ডিগ্রিতে ভর্তি হয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি নেন। কিন্তু পরাধীন ওই চাকরিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে না পেরে বাড়িতে ফিরে মাত্র ৫ হাজার টাকা মূলধন নিয়ে সাড়ে ৩ বিঘা পৈত্রিক জমিতে শুরু করেন পেঁপে চাষ। ছোটবেলা থেকেই কৃষি কাজের প্রতি খাইরুলের ছিল প্রচণ্ড রকম দুর্বলতা। কঠোর পরিশ্রম আর দক্ষতার কারণেই প্রথমবার পেঁপে চাষে খাইরুল দেখেন সফলতার মুখ। সব খরচ বাদে তার লাভ হয় প্রায় ১ লাখ টাকা। পরের বছর অন্যের জমি লিজ নিয়ে ব্যাপকভাবে শুরু করেন পেঁপে চাষ। সাথী ফসল হিসেবে নানা জাতের শাক-সবজি চাষ করেন। লাভ হয় প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। লাউ, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাল শাক, পালং শাক ইত্যাদি ফসল ফলিয়ে খাইরুল আনেন অর্থনৈতিক সচ্ছলতা। তার উৎসাহে এলাকার অন্য বেকার যুবকরাও ঝুঁকতে থাকেন শাক-সবজি চাষে। ইতিমধ্যে খাইরুল গড়ে তোলেন ব্রয়লার মুরগি এবং মাছের খামার। মাত্র ৫শ’ বাচ্চা নিয়ে তার পোল্ট্রি খামারের যাত্রা শুরু। বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার মুরগি রয়েছে খামারে। এক বিঘা জলাশয়ে মাছের খামার শুরু হলেও সেটা সম্প্রসারিত হয়ে বর্তমানে প্রায় ১৫ বিঘায় দাঁড়িয়েছে। তাছাড়াও খাইরুল আখ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। সব মিলিয়ে এই কৃষকের সকল প্রকার খরচ বাদে বার্ষিক আয় দাঁড়িয়েছে ১২/১৪ লাখ টাকা। খাইরুলের বাগান ও খামারে ১০/১২ জন দিনমজুর কাজ করে মেটাচ্ছেন তাদের পরিবারের চাহিদা।
এলাকার বেকার যুবক ও তার সমবয়সীদের কৃষি কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য খাইরুল উৎসাহিত করেন নিয়মিত। আদর্শ একজন কৃষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে চান তিনি। দেশের বেকার যুবকদের যদি সরকার সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে কৃষি কাজে উৎসাহিত করেন তাহলে অসংখ্য বেকার যুবক নিজের ভাগ্য বদলাতে পারবে বলে মনে করেন সফল সবজি চাষি খাইরুল ইসলাম।
দেশ মাতারই মুক্তিকামী দেশের সে যে আশা।”
হ্যাঁ, সব সাধকের চেয়ে বড় সাধক হলেন আমার দেশের কৃষক। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে যে কৃষক শরীরের ঘাম ঝরিয়ে উৎপাদন করেন সোনার ফসল। পুরো জাতি তাকিয়ে থাকে ওই কৃষকের দিকে, যে কৃষকের কারণে অর্থনৈতিক মুক্তি আসে নিজের, পরিবারের এবং সমাজের। ফলে বদলে যায় একটি জনপদ, উৎসাহিত হয় আশেপাশের অগণিত মানুষ। এমনই একজন কৃষকের নাম মোঃ খাইরুল ইসলাম। যিনি শাক-সবজি চাষাবাদ, মুরগি আর মাছের খামার করে বছরে আয় করছেন ১২/১৪ লাখ টাকা। নিজে বদলে যাওয়ার পাশাপাশি পরিবারে এনেছেন সুখের হাসি।
কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের খাইরুল ইসলাম ২০০৩ সালে এইচএসসি পাশ করার পর ডিগ্রিতে ভর্তি হয়ে পড়াশুনার পাশাপাশি ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি নেন। কিন্তু পরাধীন ওই চাকরিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে না পেরে বাড়িতে ফিরে মাত্র ৫ হাজার টাকা মূলধন নিয়ে সাড়ে ৩ বিঘা পৈত্রিক জমিতে শুরু করেন পেঁপে চাষ। ছোটবেলা থেকেই কৃষি কাজের প্রতি খাইরুলের ছিল প্রচণ্ড রকম দুর্বলতা। কঠোর পরিশ্রম আর দক্ষতার কারণেই প্রথমবার পেঁপে চাষে খাইরুল দেখেন সফলতার মুখ। সব খরচ বাদে তার লাভ হয় প্রায় ১ লাখ টাকা। পরের বছর অন্যের জমি লিজ নিয়ে ব্যাপকভাবে শুরু করেন পেঁপে চাষ। সাথী ফসল হিসেবে নানা জাতের শাক-সবজি চাষ করেন। লাভ হয় প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। লাউ, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাল শাক, পালং শাক ইত্যাদি ফসল ফলিয়ে খাইরুল আনেন অর্থনৈতিক সচ্ছলতা। তার উৎসাহে এলাকার অন্য বেকার যুবকরাও ঝুঁকতে থাকেন শাক-সবজি চাষে। ইতিমধ্যে খাইরুল গড়ে তোলেন ব্রয়লার মুরগি এবং মাছের খামার। মাত্র ৫শ’ বাচ্চা নিয়ে তার পোল্ট্রি খামারের যাত্রা শুরু। বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার মুরগি রয়েছে খামারে। এক বিঘা জলাশয়ে মাছের খামার শুরু হলেও সেটা সম্প্রসারিত হয়ে বর্তমানে প্রায় ১৫ বিঘায় দাঁড়িয়েছে। তাছাড়াও খাইরুল আখ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। সব মিলিয়ে এই কৃষকের সকল প্রকার খরচ বাদে বার্ষিক আয় দাঁড়িয়েছে ১২/১৪ লাখ টাকা। খাইরুলের বাগান ও খামারে ১০/১২ জন দিনমজুর কাজ করে মেটাচ্ছেন তাদের পরিবারের চাহিদা।
এলাকার বেকার যুবক ও তার সমবয়সীদের কৃষি কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য খাইরুল উৎসাহিত করেন নিয়মিত। আদর্শ একজন কৃষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে চান তিনি। দেশের বেকার যুবকদের যদি সরকার সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে কৃষি কাজে উৎসাহিত করেন তাহলে অসংখ্য বেকার যুবক নিজের ভাগ্য বদলাতে পারবে বলে মনে করেন সফল সবজি চাষি খাইরুল ইসলাম।