ম্যাথ (MATH) মডেল কী?
MATH এর পূর্ণ নাম Modern Agricultural Tecknology in The Hi lls. এটি হচ্ছে পাহাড়ী অঞ্চলের উপযোগী চাষাবাদের একটি মডেল।
এ মডেলের বিশেষত্ব কী ?
• এটি ভূমির ড়্গয়রোধ করে
• ভূমির উর্বরতা বাড়ায়
• একই জমিতে উন্নত পদ্বতিতে চাষাবাদ করে ফসল উৎপাদন করা যায়
• পাহাড়ী কৃষকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটানা সম্ভব
• এই মডেলের মাধ্যমে পরিবেশের জন্য ড়্গতিকর জুম চাষ পর্যায়ক্রমে বিলুপ্ত করা সম্ভব
বাসত্মাবয়ন কৌশল
ধাপ-১: জমি নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ‘জুমি’ ফসলগুলো আবাদের ব্যবস্থা করা
ধাপ-২: প্রথম বৃষ্টির পর পরই ‘ম্যাথ’ মডেলের অনুসরণে দ্রম্নত বর্ধনশীল ফসল যেমন, পেঁপে, কলা; স্বল্প মেয়াদী- পেয়ারা, লেবু, দীর্ঘ মেয়াদী- কাঁঠাল, লিচু, আম, সফেদা, জাম্বুরা, কমলা, জাম ইত্যাদি এবং বনজ গাছ ‘জুম’ ড়্গেতে একই সময়ে রোপন করা
চিত্র: ম্যাথ মডেলের নকশা
ধাপ-৩: ধান, ভুট্টা, কাউন ও তেল সংগ্রহের পর পাহাড়ের ঢালভেদে ‘জুম’ ড়্গেতের মধ্যে আড়াআড়িভাবে সারিতে (Strip Cultivation) আনারস, অড়হর এসব ফসল বপন/রোপণ করা
ধাপ-৪: সময়ভেদে ‘জুমি’ ফসল সংগ্রহের পর পর মৌসুম ভিত্তিক (কচু, ঢেঁড়স, বরবটি, টমেটো, বেগুন, মরিচ) ইত্যাদি ফসলের আবাদ করা
ধাপ-৫: সবজি চাষের পাশাপাশি জমি পরিষ্কার করে ‘আচ্ছাদন ফসল (Cover Coop)' আবাদ করা
ধাপ-৬: ‘ম্যাথ’ এর আওতায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য কৃষক সমিতি গঠন করে ঈবহঃৎধষ Central Procurement and Distribution Point (CPDP) এর মাধ্যমে বাজারজাত করা
ধাপ-৭: মৃত্তিকা সস্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট কর্তৃক তিন ভাগে বিভক্ত পাহাড়ের ১ম ও ২য় শ্রেণীর পাহাড়ের বেলায় ম্যাথ মডেলটি প্রযোজ্য। অন্যথায় যেখানে ‘জুম’ আছে সেখানেই উক্ত মডেল কার্যকর হবে।
‘ম্যাথ’ মডেলের উপকারিতা
• পাহাড়ী ভূমির সর্বোচ্চ ভূমি নিশ্চিত করা যায়
• একই জমিতে বহু ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে ভূমির উর্বরতা বৃদ্ধি ও মাটির ড়্গয় রোধ করা যায়
• শস্য পর্যায় ( ঈড়ড়ঢ় ৎড়ঃধঃরড়হ) অবলম্বনের মাধ্যমে ভূমির উর্বরতা বৃদ্ধি করে ও মাটির ড়্গয়রোধ করে
• স্থায়ীভাবে বনায়ন সৃষ্টির মাধ্যমে প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধ করা যায়। C P D P মাদ্যমে উৎপাদিত পণ্যের সমবায় ভিত্তিক বাজারজাতকরণ করা যায়
• পর্যায়ক্রমে এ মডেল বাসত্মবায়ন হলে পাহাড়ী অঞ্চলে ‘জুম’ চাষ বিলুপ্ত হবে
• সর্বোপরি পাহাড়ী এলাকায় ফসলের ফলন বৃদ্ধি পাবে মাটির ড়্গয়রোধ হবে, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হবে ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রড়্গা পাবে।
তথ্যসূত্র : দি-এডিটর
পাহাড়ী কৃষি
Saturday, August 7, 2010
Labels:
অনান্য,
কৃষি তথ্য,
জানা-অজানা
Posted by
আমাদের রান্না
at
7:10 PM