সর্পগন্ধা একটি উপকারী বৃক্ষের নাম। এ গাছকে ইংরেজিতে রাউলফিয়া বলা হয়। খ্রিস্টের জন্মের কয়েকশ' বছর আগে চরক সংহিতায় সর্পগন্ধা নামে গাছটির উল্লেখ ছিল। সর্পগন্ধা আমাদের দেশের ছোট এক বুনো গাছ। বহু বছর ধরে হোমিওপ্যাথিক, অ্যালোপ্যাথিক এবং আয়ুর্বেদিক ওষুধের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে এ গাছ। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপালসহ উপমহাদেশের অন্যান্য দেশে মোট পাঁচ রকমের সর্পগন্ধা পাওয়া যায়। সাপকে নিয়ে এ গাছটির সঙ্গে আমাদের দেশে অনেক উপকথা ছড়িয়ে আছে। যেমন, সাপের সঙ্গে লড়ার আগে নেউল নাকি সর্পগন্ধার পাতা চিবিয়ে নেয়। সাপ মানে অবশ্যই বিষধর সাপ। এর জন্যই নাকি সাপের বিষ নেউলকে কাবু করতে পারে না। অনেকের বিশ্বাস, সর্পগন্ধা গাছের পাতা বেটে গোড়ালিতে লাগালে সাপ ও বোলতার বিষ ক্ষতি করতে পারে না। গাছটির শিকড় সাপের মতো অনেকটা আঁকাবাঁকা বলেই হয়তো এসব ধারণার জন্ম হয়েছে।
এ উপমহাদেশের বেশিরভাগ দেশেই বুনো অবস্থায় সর্পগন্ধা গাছ জন্মায়। সর্পগন্ধা বৃক্ষ বড় জোর ৪ ফুট লম্বা, পাতাগুলো বেশ বড়। কদম গাছের পাতার মতো দেখতে অনেকটা। গোছা গোছা সাদা রঙের ফুল ফোটে গাছের মাথায়। ফুলের কুঁড়ি ও পাপড়ির নিচের দিক গোলাপি।
রক্তচাপ কমানোর ওষুধ হিসেবে সারা বিশ্বে এখন সর্পগন্ধা থেকে তৈরি রেসার পিন ব্যবহার করা হচ্ছে। উন্মাদদের মাথা ঠাণ্ডা রাখার জন্য প্রথমে এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছিল। এখন অনিদ্রা রোগের ওষুধ হিসেবেও রেসার পিন প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়। সর্পগন্ধা গাছের পাতার নির্যাস চোখের ছানি সারাতেও কাজে লাগে। তবে রেসার পিন সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় সর্পগন্ধা গাছের শিকড়ের ছালে। এ গাছ পাহাড়ি অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি জন্মায়। সর্পগন্ধা গাছে ফলও হয়ে থাকে। এ ফলগুলো প্রথমে সবুজ, তারপর লাল এবং সবশেষে কালো হয়ে যায়। একসঙ্গে প্রচুর ফুল ও তিন রঙের ফলসহ দেখতেও সর্পগন্ধা গাছ বেশ সুন্দর।
এ উপমহাদেশের বেশিরভাগ দেশেই বুনো অবস্থায় সর্পগন্ধা গাছ জন্মায়। সর্পগন্ধা বৃক্ষ বড় জোর ৪ ফুট লম্বা, পাতাগুলো বেশ বড়। কদম গাছের পাতার মতো দেখতে অনেকটা। গোছা গোছা সাদা রঙের ফুল ফোটে গাছের মাথায়। ফুলের কুঁড়ি ও পাপড়ির নিচের দিক গোলাপি।
রক্তচাপ কমানোর ওষুধ হিসেবে সারা বিশ্বে এখন সর্পগন্ধা থেকে তৈরি রেসার পিন ব্যবহার করা হচ্ছে। উন্মাদদের মাথা ঠাণ্ডা রাখার জন্য প্রথমে এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছিল। এখন অনিদ্রা রোগের ওষুধ হিসেবেও রেসার পিন প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়। সর্পগন্ধা গাছের পাতার নির্যাস চোখের ছানি সারাতেও কাজে লাগে। তবে রেসার পিন সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় সর্পগন্ধা গাছের শিকড়ের ছালে। এ গাছ পাহাড়ি অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি জন্মায়। সর্পগন্ধা গাছে ফলও হয়ে থাকে। এ ফলগুলো প্রথমে সবুজ, তারপর লাল এবং সবশেষে কালো হয়ে যায়। একসঙ্গে প্রচুর ফুল ও তিন রঙের ফলসহ দেখতেও সর্পগন্ধা গাছ বেশ সুন্দর।