দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জন্য লবনাক্ততা সহিঞ্চু এবং প্রচলিত ধানের চেয়ে আরো বেশি ফলনশীল নতুন জাতের ধান আবিস্কার করেছে বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিনা)।
বোরো মৌসুমে চাষের উপযোগী বিনা-৮ নামের এ ধান পরীক্ষা নীরিক্ষায় সফল হওয়ায় শিগগিরই এর চাষের জন্য অনুমোদন দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এর ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততা প্রবণ প্রতি হেক্টর আবাদী জমিতে ধানের উৎপাদন এক টনেরও বেশি বাড়বে বলে কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ উইংয়ের মহাপরিচালক আনোয়ার ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বিনা-৮ ধান পরীক্ষায় নীরিক্ষায় সফল হয়েছে। এটি বিরি-৪৭ থেকে বেশি লবণাক্ততা সহিঞ্চু এবং বেশি ফলন হয়। আগামী বোরো মৌসুমকে সামনে রেখে শিগগিরই নতুন এ জাতের ধান চাষের অনুমোদন দেওয়া হবে।"
কৃষি মন্ত্রণালয় সুত্রে জানা গেছে, দেশে মোট আবাদি জমির পরিমাণ ৯০ লাখ হেক্টর। এর মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলে আবাদি জমির পরিমাণ প্রায় এক লাখ হেক্টর।
দক্ষিণাঞ্চলের অবস্থান সমুদ্র উপকুল ঘেষে হওয়ায় এ অঞ্চলের জমিতে লবনাক্ততার প্রবণতা রয়েছে। এর ফলে ধান চাষে কাঙ্খিত ফলন পাওয়া যায় না।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বিরি) আবিস্কার করা বিরি-৪৭ জাত দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে বোরো মৌসুমে চাষ করা হয়।
বিরি-৪৭ ধান হেক্টর প্রতি গড়ে ৩ থেকে ৪ টন উৎপাদন হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান বিনার মহাপরিচালক এম সায়েদুর রহমান। আর নতুন আবিস্কার করা বিনা- ৮ হেক্টর প্রতি গড়ে ৪ থেকে ৫ টন পর্যন্ত উৎপাদন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সায়েদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমরা দক্ষিণাঞ্চলের জমিতে পরীক্ষা করে দেখেছি এটি বিরি-৪৭ থেকে বেশি লবনাক্ততা সহিঞ্চু। বিনা-৮ হেক্টর প্রতি ৬ থেকে ৭ টন পর্যন্তও উৎপাদন হয়।"
বিরি-৪৭ ধানের অন্যতম একটি সমস্যা এটি পাকতে দেরি হলে ঝরে পড়ে।
বীজ উইংয়ের মহাপরিচালক আনোয়ার ফারুক বলেন, "বিনা-৮ পাকতে দেরি হলে ঝরে পড়ে না। এটি পাকতে ১৫৫ থেকে ১৬৫ দিন লাগে।"
গত মৌসুমে দেশে বোরো উৎপাদন হয়েছে প্রায় এক কোটি ৮৭ লাখ মেট্টিক টন। বেশির ভাগ বোরো ধানই উৎপাদন হয় ভূগর্ভস্থ পানির সেচ থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলের জমিতে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূগর্ভস্থ পানি সেচে ব্যবহার করায় পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে অনেক সময় গভীর নলকুপেও পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
এর আগে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, উত্তরবঙ্গে বোরো চাষ কমিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে বাড়াতে হবে।
কারণ, দক্ষিণাঞ্চলে বিভিন্ন খাল ও নদী রয়েছে। এসব খাল সংস্কার করে বর্ষায় জমে থাকা পানি সেচের মাধ্যমে বোরো চাষে ব্যবহার করা যাবে।
ইতোমধ্যে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার খাল সংস্কারের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন।
সাবেক কৃষি সচিব ও কৃষি গবেষক জেড করিম বলেন, "বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিনা-৮ ঝরে পড়বে না। চাষ শুরু হলে বোঝা যাবে ঝরে পড়ে কী না।"
"তবে বিরি-৪৭ থেকে বিনা-৮ ভালো হবে," মন্তব্য করেন তিনি।
খবরঃ বিডিনিউজ
বোরো মৌসুমে চাষের উপযোগী বিনা-৮ নামের এ ধান পরীক্ষা নীরিক্ষায় সফল হওয়ায় শিগগিরই এর চাষের জন্য অনুমোদন দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এর ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততা প্রবণ প্রতি হেক্টর আবাদী জমিতে ধানের উৎপাদন এক টনেরও বেশি বাড়বে বলে কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করেছেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের বীজ উইংয়ের মহাপরিচালক আনোয়ার ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বিনা-৮ ধান পরীক্ষায় নীরিক্ষায় সফল হয়েছে। এটি বিরি-৪৭ থেকে বেশি লবণাক্ততা সহিঞ্চু এবং বেশি ফলন হয়। আগামী বোরো মৌসুমকে সামনে রেখে শিগগিরই নতুন এ জাতের ধান চাষের অনুমোদন দেওয়া হবে।"
কৃষি মন্ত্রণালয় সুত্রে জানা গেছে, দেশে মোট আবাদি জমির পরিমাণ ৯০ লাখ হেক্টর। এর মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলে আবাদি জমির পরিমাণ প্রায় এক লাখ হেক্টর।
দক্ষিণাঞ্চলের অবস্থান সমুদ্র উপকুল ঘেষে হওয়ায় এ অঞ্চলের জমিতে লবনাক্ততার প্রবণতা রয়েছে। এর ফলে ধান চাষে কাঙ্খিত ফলন পাওয়া যায় না।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বিরি) আবিস্কার করা বিরি-৪৭ জাত দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে বোরো মৌসুমে চাষ করা হয়।
বিরি-৪৭ ধান হেক্টর প্রতি গড়ে ৩ থেকে ৪ টন উৎপাদন হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান বিনার মহাপরিচালক এম সায়েদুর রহমান। আর নতুন আবিস্কার করা বিনা- ৮ হেক্টর প্রতি গড়ে ৪ থেকে ৫ টন পর্যন্ত উৎপাদন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সায়েদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমরা দক্ষিণাঞ্চলের জমিতে পরীক্ষা করে দেখেছি এটি বিরি-৪৭ থেকে বেশি লবনাক্ততা সহিঞ্চু। বিনা-৮ হেক্টর প্রতি ৬ থেকে ৭ টন পর্যন্তও উৎপাদন হয়।"
বিরি-৪৭ ধানের অন্যতম একটি সমস্যা এটি পাকতে দেরি হলে ঝরে পড়ে।
বীজ উইংয়ের মহাপরিচালক আনোয়ার ফারুক বলেন, "বিনা-৮ পাকতে দেরি হলে ঝরে পড়ে না। এটি পাকতে ১৫৫ থেকে ১৬৫ দিন লাগে।"
গত মৌসুমে দেশে বোরো উৎপাদন হয়েছে প্রায় এক কোটি ৮৭ লাখ মেট্টিক টন। বেশির ভাগ বোরো ধানই উৎপাদন হয় ভূগর্ভস্থ পানির সেচ থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলের জমিতে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূগর্ভস্থ পানি সেচে ব্যবহার করায় পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। ফলে অনেক সময় গভীর নলকুপেও পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
এর আগে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, উত্তরবঙ্গে বোরো চাষ কমিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে বাড়াতে হবে।
কারণ, দক্ষিণাঞ্চলে বিভিন্ন খাল ও নদী রয়েছে। এসব খাল সংস্কার করে বর্ষায় জমে থাকা পানি সেচের মাধ্যমে বোরো চাষে ব্যবহার করা যাবে।
ইতোমধ্যে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার খাল সংস্কারের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন।
সাবেক কৃষি সচিব ও কৃষি গবেষক জেড করিম বলেন, "বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিনা-৮ ঝরে পড়বে না। চাষ শুরু হলে বোঝা যাবে ঝরে পড়ে কী না।"
"তবে বিরি-৪৭ থেকে বিনা-৮ ভালো হবে," মন্তব্য করেন তিনি।
খবরঃ বিডিনিউজ