ঘরের ভেতর গাছ! আপনার ঘর হোক সবুজময়, মন থাকুক সতেজ!

Sunday, April 15, 2018


জীবন বাঁচাতে অক্সিজেনের প্রয়োজন। কিন্তু শহরে যানবাহনের কালো ধোঁয়ায় অক্সিজেনের তুলনায় কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেশি। আবার যেখানে ২৫% বনভূমির প্রয়োজন সেখানে ১৭.৯২% বনভূমি রয়েছে। যে হারে গাছ বাড়ানো উচিত সে হারে গাছ বাড়ানোর জন্য আমরা আমাদের বাড়ির আশে-পাশে গাছ লাগাতে পারি। আর আমরা যারা শহরে থাকি তারা কিভাবে এতে অংশগ্রহণ করতে পারি? আমরা আমাদের বাসার বেলকনি বা ছাদে গাছ লাগাতে পারি। এমনকি আমরা ঘরের ভেতরেও গাছ লাগাতে পারি। আজ আলোচনা করব কীভাবে ঘরের ভেতর গাছ লাগাব এবং কোন গাছগুলো ঘরের ভেতর লাগানো যাবে।


প্রথমেই জেনে নেই কেন ঘরের ভেতর গাছ লাগাব:

  • ঘরের মধ্যেই প্রকৃতির ছোঁয়া যা আপনার মানসিক প্রশান্তি যোগাবে।
  • ঘরের ভেতরের দূষিত ক্ষতিকারক গ্যাস এবং পদার্থকে বিশুদ্ধ করে যা আপনার স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।
  • ঘর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করার পাশাপাশি নিজের নান্দনিক রুচিশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটানো।
  • দেশে যে পরিমাণ বনভূমি প্রয়োজন তার ঘাটতি কিছুটা হলেও পূরণ করা।
  • চারা তৈরি বা বনসাই করে কিছু উপার্জন করা।

কোন গাছগুলো ঘরের ভেতর লাগানো যাবে:

ঘরের ভেতর গাছ লাগানোর জন্য বিভিন্ন ইনডোর প্ল্যান্টস রয়েছে। যেমন: মানিপ্লান্ট (গোল্ডেন পথোস), ক্যাকটাস, ক্রাউন অব থর্নস (কাঁটার মুকুট), এরিকা পাম, লেডি পাম, ব্যাম্বু পাম, ইংলিশ আইভি, রাবার প্ল্যান্ট, ড্রাকাইনা বা জ্যানেট ক্রেগ, স্নেক প্লান্ট,  পিস লিলি, অ্যালোভেরা, ইন্ডিয়ান ব্যাসিল (তুলসী), স্পাইডার প্ল্যান্ট, চায়নিজ এভারগ্রিন, স্পিয়ারমিন্ট (পুদিনা পাতা)

কীভাবে ঘরের ভেতর গাছ লাগাব:

ঘরের ভেতর ও বারান্দায় বা বেলকনিতে আমরা এই গাছগুলো টবে বা ছোট কন্টেইনারে লাগাতে পারি। যদি বারান্দা ছোট হয় তবে ঝুলিয়ে রাখতে পারি। আবার গ্রীলের সাথে বেঁধে রাখতে পারি। বাজারে বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন সাইজের টব বা গাছ লাগানোর কন্টেইনার পাওয়া যায়। তবে আমরা আমাদের অপ্রয়োজনীয় বা ফেলনা কন্টেইনার, বক্স, গ্লাস, মগ, বোতল ইত্যাদিও ব্যবহার করতে পারি। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন দেখতে খারাপ না লাগে। সাধারণত দো-আঁশ মাটি এসব গাছের জন্য উপযুক্ত। টব বা কন্টেইনারে সার মেশানো মাটি ভরতে হবে। এর পর গাছ লাগাতে হবে।
গাছ লাগানোর পর সবচেয়ে জরুরি বিষয় হচ্ছে এর যত্ন নেওয়া। সপ্তাহে দুই দিন গাছগুলোকে আলো বাতাস দিতে হবে। এর জন্য যেখানে আলো বাতাস পর্যাপ্ত আসে সেখানে রেখে আবার পূর্বের স্থানে রাখতে হবে। সকাল ও বিকেলে প্রয়োজন অনুসারে পানি দিতে হবে। টবে যেন পানি না জমে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তথ্যসূত্রঃ সফল খামারী

মনের উঠোনে

সাম্প্রতিক সংযোজন

মোবাইল থেকে দেখুন

আমাদের দেশ এখন আপনার মুঠোফোনে, মোবাইল থেকে লগইন করুন আমাদের দেশ

দ র্শ না র্থী

দ র্শ না র্থী

free counters

কে কে অনলাইনে আছেন