পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় একটি হ্যাচারির মালিকানাধীন ১৪টি ঘেরে বিষ ঢেলে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের ১০ লক্ষাধিক পোনা মেরে ফেলা হয়েছে। হ্যাচারির মালিকের কাছে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে একদল দুর্বৃত্ত এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
মাছের পোনা মেরে ফেলায় প্রায় ৫০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে হ্যাচারির মালিক দাবি করেছেন। এ ঘটনায় হ্যাচারির মালিকের বড় ভাই আবদুল বারেক বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখ করে গতকাল শনিবার দুমকি থানায় মামলা করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, ১০ থেকে ১২ বছর আগে পাংগাশিয়া নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসাসংলগ্ন এলাকায় প্যাসিফিক একুয়া ফিশারিজ নামের একটি হ্যাচারির ১৪টি ঘেরে মাছ চাষ করে আসছে। বৃহস্পতিরার রাতে কোনো এক সময়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা হ্যাচারির ১৪টি ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে। পরের দিন সকালে ঘেরে মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে।
প্যাসিফিক একুয়া ফিশারিজের মালিক জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, একদল সন্ত্রাসী বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। তিনি চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় তারা এ ঘটনা ঘটায়।
জাকির হোসেন আরও জানান, তাঁর হ্যাচারিতে রুই, কাতলসহ দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির ১০ লক্ষাধিক মাছের পোনা চাষ করা হয়েছিল। এতে তাঁর প্রায় অর্ধ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। একই কারণে হ্যাচারির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত অর্ধশতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দুমকি উপ-জেলার ম ৎ স্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহজাহান জানান, যে ভাবে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মারা হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। কি ধরনের বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দুমকি থানার উপপরিদর্শক ছালাম মোল্লা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পোনা নিধনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
তথ্য সুত্র: প্রথম আলো, তারিখ: ১১-০৯-২০১১
মাছের পোনা মেরে ফেলায় প্রায় ৫০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে হ্যাচারির মালিক দাবি করেছেন। এ ঘটনায় হ্যাচারির মালিকের বড় ভাই আবদুল বারেক বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখ করে গতকাল শনিবার দুমকি থানায় মামলা করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, ১০ থেকে ১২ বছর আগে পাংগাশিয়া নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসাসংলগ্ন এলাকায় প্যাসিফিক একুয়া ফিশারিজ নামের একটি হ্যাচারির ১৪টি ঘেরে মাছ চাষ করে আসছে। বৃহস্পতিরার রাতে কোনো এক সময়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা হ্যাচারির ১৪টি ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে। পরের দিন সকালে ঘেরে মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে।
প্যাসিফিক একুয়া ফিশারিজের মালিক জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, একদল সন্ত্রাসী বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। তিনি চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় তারা এ ঘটনা ঘটায়।
জাকির হোসেন আরও জানান, তাঁর হ্যাচারিতে রুই, কাতলসহ দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির ১০ লক্ষাধিক মাছের পোনা চাষ করা হয়েছিল। এতে তাঁর প্রায় অর্ধ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। একই কারণে হ্যাচারির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত অর্ধশতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দুমকি উপ-জেলার ম ৎ স্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. শাহজাহান জানান, যে ভাবে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মারা হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। কি ধরনের বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দুমকি থানার উপপরিদর্শক ছালাম মোল্লা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পোনা নিধনের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
তথ্য সুত্র: প্রথম আলো, তারিখ: ১১-০৯-২০১১