গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর জেলায় প্রায় ৬শ' হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ করেছে কৃষকরা। জমি থেকে তুলে তরমুজ বিক্রির জন্য নৌকা করে কালীগঞ্জের পাইকারী বাজারের আড়তদারের কাছে আনা হচ্ছে। এখান থেকে তরমুজ ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে। এখানে উৎপাদিত তরমুজ আকারে বড়, খেতে সুস্বাদু ও মিষ্টি হওয়ায় দিনদিন এ এলাকার তরমুজের চাহিদা বাড়ছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার শেওড়াবাড়ী, পিঠাবাড়ি, ডোমরাশুর, ডেমাকুড়, পানাইল, পুইশর এলাকায় তরমুজ চাষ হয়েছে। প্রতি কেজি তরমুজ পাইকারী ১০-১২ টাকায় এবং খুচরা প্রতি কেজি ১৩-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব তরমুজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ও বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। তরমুজচাষি চিন্ময় হাজরা জানিয়েছেন, এ এলাকার কৃষকরা তরমুজ চাষ করে লাভবান হয়েছেন। গোপালগঞ্জ কৃষি-সমপ্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ভাস্কর চক্রবর্তী জানান, আমরা তরমুজচাষিদের আধুনিক প্রযুক্তিতে চাষাবাদের জন্য সব ধরণের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। ওই এলাকায় একটি বিশেষ টিম কৃষকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এ বছর প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় ৫০-৬০ টন তরমুজের ফলন হয়েছে। তরমুজচাষিদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করলে তরমুজ চাষ আরও সমপ্রসারিত হবে।
তথ্য সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন, তারিখ: ২১ মে ২০১১