ময়মনসিংহের পর এবার বগুড়ায় সৌদি আরবের খেজুরও চাষ শুরু হয়েছে। দুই দেশের বিপরীত আবহাওয়ার মধ্যেও খেজুর চাষ সম্ভব এমন অদম্য উৎসাহ নিয়ে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বড়ুইল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম তুলাসন ধুন্ধারে সৌদি আরবের নানা জাতের খেজুরের বাগান গড়ে তুলেছেন আবদুর রউফ হিরো। প্রায় তিন বিঘা জমিতে গড়া বাগানটিতে সাড়ে ৪০০ খেজুরের গাছ ও প্রায় ২৫ হাজার নানা জাতের খেজুর গাছের চারা রয়েছে। বেশকিছু গাছে খেজুর আসতে শুরু করেছে।
খেজুর চাষি আবদুর রউফ জানান, তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৬ সালে চারুকলা বিভাগ থেকে বিএফএ পাস করেন। এরপর ১৯৯৯ সালে সৌদি আরবের একটি বেসরকারি কোম্পানিতে ডিজাইনার হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। সেখানে মরু ভূমিতে খেজুরের চাষ দেখে তিনি পরিকল্পনা করেন দেশের মাটিতে খেজুরের চাষ করার। এক্ষেত্রে ময়মনসিংহের ভালুকাতে গড়ে ওঠা মোতালেব হোসেনের খেজুর বাগান তাকে অনুপ্রাণিত করে। ২০০৮ সালে দেশে ফেরার সময় তিনি উন্নত জাতের খেজুর নিয়ে এসে তার বীজ থেকে শুরু করেন খেজুরের বাগান। নাম দেন 'মা সৌদি খেজুরের বাগান ও নার্সারি'। গত বছর বাগানে ২০-২২টি গাছে খেজুর ধরে। এ বছর আড়াই বছর বয়সী শতাধিক গাছে খেজুর আসবে বলে আশা করছেন তিনি। তিনি জানান, বাগানের কাজে তাকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেন স্ত্রী আসমা খানম। বাগান করতে তাদের অনেক টাকাও খরচ হয়েছে। এরজন্য মাঝেমধ্যেই চিন্তিত হতেন। কিন্তু গত বছর বাগানের বেশ কিছু গাছে ফল আসায় আশার সঞ্চার হয়েছে। তবে এলাকায় খেজুর চারার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। গত বছর বৃক্ষমেলায় ও আগ্রহীদের মধ্যে একেকটি খেজুর চারা ২০০ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন। বর্তমানে বাগানে শাখাই, মগরুম ও সুপ্রি তিনটি জাতের ছোটবড় খেজুর গাছের চাষ হচ্ছে। সবচেয়ে উন্নতমানের খেজুর হলো মগরুম। বাগানটি সবসময় পরিচর্যা করেন ৩-৪ জন শ্রমিক। নন্দীগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, মরুভূমির এ ফসল বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়ার সঙ্গে খাপখেয়ে কতটুকু ফলানো সম্ভব তারই ওপর নির্ভর করছে অদম্য উৎসাহী আবদুর রউফের স্বপ্নের বাস্তবায়ন।
খেজুর চাষি আবদুর রউফ জানান, তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৬ সালে চারুকলা বিভাগ থেকে বিএফএ পাস করেন। এরপর ১৯৯৯ সালে সৌদি আরবের একটি বেসরকারি কোম্পানিতে ডিজাইনার হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। সেখানে মরু ভূমিতে খেজুরের চাষ দেখে তিনি পরিকল্পনা করেন দেশের মাটিতে খেজুরের চাষ করার। এক্ষেত্রে ময়মনসিংহের ভালুকাতে গড়ে ওঠা মোতালেব হোসেনের খেজুর বাগান তাকে অনুপ্রাণিত করে। ২০০৮ সালে দেশে ফেরার সময় তিনি উন্নত জাতের খেজুর নিয়ে এসে তার বীজ থেকে শুরু করেন খেজুরের বাগান। নাম দেন 'মা সৌদি খেজুরের বাগান ও নার্সারি'। গত বছর বাগানে ২০-২২টি গাছে খেজুর ধরে। এ বছর আড়াই বছর বয়সী শতাধিক গাছে খেজুর আসবে বলে আশা করছেন তিনি। তিনি জানান, বাগানের কাজে তাকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেন স্ত্রী আসমা খানম। বাগান করতে তাদের অনেক টাকাও খরচ হয়েছে। এরজন্য মাঝেমধ্যেই চিন্তিত হতেন। কিন্তু গত বছর বাগানের বেশ কিছু গাছে ফল আসায় আশার সঞ্চার হয়েছে। তবে এলাকায় খেজুর চারার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। গত বছর বৃক্ষমেলায় ও আগ্রহীদের মধ্যে একেকটি খেজুর চারা ২০০ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন। বর্তমানে বাগানে শাখাই, মগরুম ও সুপ্রি তিনটি জাতের ছোটবড় খেজুর গাছের চাষ হচ্ছে। সবচেয়ে উন্নতমানের খেজুর হলো মগরুম। বাগানটি সবসময় পরিচর্যা করেন ৩-৪ জন শ্রমিক। নন্দীগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, মরুভূমির এ ফসল বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়ার সঙ্গে খাপখেয়ে কতটুকু ফলানো সম্ভব তারই ওপর নির্ভর করছে অদম্য উৎসাহী আবদুর রউফের স্বপ্নের বাস্তবায়ন।
তথ্য সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন, তারিখ: ২৫ মে ২০১১