পিঠে ক্ষুদ্রাকৃতির স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বেঁধে দেওয়া ১৬টি পরিযায়ী পাখির দুটিকে হাকালুকি হাওরে চিহ্নিত করা গেছে সম্প্রতি। গত মার্চে মৌলভীবাজারের হাকালুকি হাওরে ট্রান্সমিটার বেঁধে ছাড়ার পর হিমালয়ের কোলে চীনের চিংদু হ্রদে উড়ে গিয়েছিল ওরা।
চিংদু হ্রদে এখন তীব্র ঠান্ডা। সেই মারাত্মক শীতের কামড় থেকে বাঁচতে দুটি পাখি প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আবারও আশ্রয়ের জন্য ছুটে এসেছে নাতিশীতোষ্ণ বাংলায়। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সভাপতি পাখি পর্যবেক্ষক ইনাম আল হক দুটি পাখির হাকালুকিতে আসার কথা নিশ্চিত করেছেন।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) অর্থায়নে ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে চলতি বছরের ২ থেকে ১১ মার্চ হাকালুকি হাওরের কয়েকটি জলাশয়ে পরিযায়ী পাখি নিয়ে গবেষণা হয়। এতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। গবেষণাকালে গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে নয়টি চখা-চখি, চারটি খুন্তে হাঁস ও তিনটি গিরি হাঁস ধরে তাদের পিঠে ওই খুদে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার স্থাপন করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ট্রান্সমিটারের বদৌলতে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাখিগুলোর অবস্থান জানা যেত। সেখান থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে সূত্র জানায়, হাকালুকিতে ছাড়ার পর ক্রমে ওই পাখিগুলো হিমালয় পর্বতমালার চীনা অংশে অবস্থিত চিংদু হ্রদে চলে যায়। প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত জুন থেকে সেখানে ছয়টি পাখি অবস্থান করছিল। বাকি ছয়টির কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
ইনাম আল হক গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কয়েক দিন আগে ট্রান্সমিটার বহনকারী দুটি পাখিকে হাকালুকিতে দেখা গেছে। এরা চখা-চখি জাতের। ওই দুটি পাখি প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে।’
বাকি পাখিগুলোর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান ইনাম আল হক। তিনি বলেন, ‘গত জুনে চীনের চিংদু হ্রদের কাছের আবাসস্থলে ওই পাখিরা ডিম দিয়েছিল। ডিম দেওয়ার পর পাখিদের নতুন পালক জন্মায়। পিঠের ট্রান্সমিটার নতুন পালকে ঢেকে গেলে এটি থেকে কোনো সংকেত পাওয়া সম্ভব নয়। এমন কিছু হতে পারে। তবুও তাদের ফিরে আসার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
চিংদু হ্রদে এখন তীব্র ঠান্ডা। সেই মারাত্মক শীতের কামড় থেকে বাঁচতে দুটি পাখি প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আবারও আশ্রয়ের জন্য ছুটে এসেছে নাতিশীতোষ্ণ বাংলায়। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সভাপতি পাখি পর্যবেক্ষক ইনাম আল হক দুটি পাখির হাকালুকিতে আসার কথা নিশ্চিত করেছেন।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) অর্থায়নে ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে চলতি বছরের ২ থেকে ১১ মার্চ হাকালুকি হাওরের কয়েকটি জলাশয়ে পরিযায়ী পাখি নিয়ে গবেষণা হয়। এতে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। গবেষণাকালে গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে নয়টি চখা-চখি, চারটি খুন্তে হাঁস ও তিনটি গিরি হাঁস ধরে তাদের পিঠে ওই খুদে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার স্থাপন করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ট্রান্সমিটারের বদৌলতে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইটে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাখিগুলোর অবস্থান জানা যেত। সেখান থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে সূত্র জানায়, হাকালুকিতে ছাড়ার পর ক্রমে ওই পাখিগুলো হিমালয় পর্বতমালার চীনা অংশে অবস্থিত চিংদু হ্রদে চলে যায়। প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত জুন থেকে সেখানে ছয়টি পাখি অবস্থান করছিল। বাকি ছয়টির কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
ইনাম আল হক গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘কয়েক দিন আগে ট্রান্সমিটার বহনকারী দুটি পাখিকে হাকালুকিতে দেখা গেছে। এরা চখা-চখি জাতের। ওই দুটি পাখি প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে।’
বাকি পাখিগুলোর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে জানান ইনাম আল হক। তিনি বলেন, ‘গত জুনে চীনের চিংদু হ্রদের কাছের আবাসস্থলে ওই পাখিরা ডিম দিয়েছিল। ডিম দেওয়ার পর পাখিদের নতুন পালক জন্মায়। পিঠের ট্রান্সমিটার নতুন পালকে ঢেকে গেলে এটি থেকে কোনো সংকেত পাওয়া সম্ভব নয়। এমন কিছু হতে পারে। তবুও তাদের ফিরে আসার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।