আমাদের বাড়ির আশপাশে কিংবা পথে-ঘাটে চলতে মাঝে মাঝেই তুলার মতো সাদা আর ছাতা আকৃতির এক ধরনের ছত্রাক দেখতে পাই। আমরা এটাকে অনেকেই ব্যাঙের ছাতা বলে চিনি। আর আমাদের অতি পরিচিত এই ছত্রাক শিকার ধরার দক্ষতায় অন্ধকারে চিতা কিংবা সাগর জলের তিমির চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। নির্দয়তার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে ছত্রাক এক ভয়ঙ্কর শিকারি! ব্যাঙের ছাতার মতো এমন একটি ছত্রাক কি করে শিকারি হতে পারে তা ভেবে সত্যি অবাক হতে হয়। ওর তো আর চিতার মতো হিংস্র থাবা কিংবা তিমির মতো বিশাল হাঁ নেই, তা হলে ও কি করে শিকার করে? এ কথা সত্য যে, ছত্রাকের বাঘের মতো কোনো ধারাল দাঁত বা হিংস্র থাবা নেই, যার সাহায্যে কোনো কিছুকে শিকার করে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। এরপরও এরা অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জীবনকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। যেমন : পিঁপড়ার কথাই ধরা যাক। Cordyceps ¸rmecophila নামের যে ছত্রাক আছে শিকারের ক্ষেত্রে এটি খুবই নির্দয় প্রকৃতির। ছত্রাকটির গোড়ার চারপাশে ফিলামেন্ট থাকে তাতে প্রচুর স্পোর আছে। খাবারের সন্ধানে কোনো পিঁপড়া যখন এই ছত্রাকটির আশপাশ দিয়ে যায় তখন সে তার সুতাকৃতির এই ফিলামেন্ট থেকে পিঁপড়ার গায়ে ওই স্পোর নিক্ষেপ করে। বলা যায়, পিঁপড়ার এই স্পোর পড়ার পরপরই তার মৃত্যু ঘনাতে শুরু করে। আগেই বলেছি ছত্রাক এক নির্দয় প্রকৃতির শিকারি। এর কারণ হচ্ছে, শিকারকে সে একবারে না মেরে বরং ধীরে ধীরে শাস্তি দিয়ে মারে। এ ক্ষেত্রে সে তার স্পোরকে কাজে লাগায়।
ছত্রাক
Friday, October 1, 2010
Labels:
অনান্য,
কৃষি তথ্য,
কৃষি সংবাদ,
জানা-অজানা
Posted by
আমাদের রান্না
at
9:40 AM