দোল বা হোলি তথা হিন্দু সংস্কৃতির এক অবিচ্ছ্যেদ্দ অংশ ভাং। বলা হয় আনুমানিক ১০০০ খ্রীষ্টপূর্বে প্রথম ভাং ব্যাবহার করা হয় ।অথর্ব বেদের উল্লেখিত এটি একটি ‘উদ্বেগনাশক’ ভেষজ। ভাং এর প্রধান উপাস্য দেবতা শিব, বলা হয় তিনিই প্রথম আবিষ্কার করেন এই বিভিন্ন ভেষজের সংমিশ্রন ।তাই তিনিই ‘ভাং-এর দেবতা’।তাই তার অনুসারী রুপে সাধু সমাজে ভাং অত্যন্ত জনপ্রিয় ।এমনকি এটি সুফি সমাজেও বহুকাল ধরেই প্রচলিত আধ্যত্মিক উপকরন হিসেবে। আধ্যাত্মিক মতে বহু জিনিসের বার্তা বহন করে ভাং , মনে করা হয় , কেউ ভাং বহন করছে এমন কারো সাথে যদি সাক্ষাত হয়- তাহলে তা অত্যন্ত শুভসংকেত ।
এছাড়াও মনে করা হয় সঠিক মাত্রায় ভাং গ্রহন করেল এটি মহৌষধ , জ্বর, আমশা, সানস্ট্রোক থেকে শরীরকে রক্ষা করে । এছাড়াও এটি হজমশক্তি বারায়, ক্ষিদে বারায়,এমনকি তোতলামির ক্ষেত্রেও তা নিরাময়কারী।নিয়মিত ভাং গ্রহনে বাড়বে বুদ্ধি, সতর্কতা । ভাং মুলত সমগুনসম্পন্ন তিনটি ভেষজের সমষ্টি ।
মুলত পানীয় হিসেবে গ্রহন করাহলেও এটি দ্বারা ধুমপান করাও হয়ে থাকে, মিষ্টিতে মিশিয়ে খাওয়া হয় । মুঘল আমলের কিছু ছবিতে এমনও দেখানো হয়েছে , এক নারী ও পুরুষ একান্ত নিবীড়ভাবে রতিক্রীয়ার সময়ে ভাং-এর ধুম্রপান করছেন ।
ভাং বানানোর জন্য চাই বিশেষ নিষ্ঠা, প্রথমে ভাঙ্গের পাতা ও শিষগুলিকে বেটে একটী পেস্ট তৈরী করতে হবে,তারপর তা মেলানো হবে দুধ, ঘি ও নানান মশলার সাথে ,কিছু পরিমান ক্ষীর বা খোয়া ও বাদাম দিলে তা প্রস্তুত হয়ে ওঠে একটি অতি উপাদেয় মাদকহীন পানীয়ে ।যার সর্বভারতীয় নাম “ঠান্ডাই”।
মানবজাতি ইতিহাসে ভাং একটি অতিপ্রাচীন ভেষজ , যার নিদর্শন পাওয়া গেছে চীনে নিওলিথিক যুগেও , চাষ করা হত ঔষধের জন্য এমনকি খাদ্য হিসেবেও।
ভাং মূলত পাওয়া যায় মধ্য এশিয়ায়, এবং এখন প্রায় সমগ্র বিশ্বে ।
মুলত পানীয় হিসেবে গ্রহন করাহলেও এটি দ্বারা ধুমপান করাও হয়ে থাকে, মিষ্টিতে মিশিয়ে খাওয়া হয় । মুঘল আমলের কিছু ছবিতে এমনও দেখানো হয়েছে , এক নারী ও পুরুষ একান্ত নিবীড়ভাবে রতিক্রীয়ার সময়ে ভাং-এর ধুম্রপান করছেন ।
ভাং বানানোর জন্য চাই বিশেষ নিষ্ঠা, প্রথমে ভাঙ্গের পাতা ও শিষগুলিকে বেটে একটী পেস্ট তৈরী করতে হবে,তারপর তা মেলানো হবে দুধ, ঘি ও নানান মশলার সাথে ,কিছু পরিমান ক্ষীর বা খোয়া ও বাদাম দিলে তা প্রস্তুত হয়ে ওঠে একটি অতি উপাদেয় মাদকহীন পানীয়ে ।যার সর্বভারতীয় নাম “ঠান্ডাই”।
মানবজাতি ইতিহাসে ভাং একটি অতিপ্রাচীন ভেষজ , যার নিদর্শন পাওয়া গেছে চীনে নিওলিথিক যুগেও , চাষ করা হত ঔষধের জন্য এমনকি খাদ্য হিসেবেও।
ভাং মূলত পাওয়া যায় মধ্য এশিয়ায়, এবং এখন প্রায় সমগ্র বিশ্বে ।