অল্প পরিশ্রমে বেশি লাভ করা যায় এমন ফসল আবাদের দিকে নজর থাকে সবারই। কমলা তেমন একটি ফসল যা চাষে পরিশ্রম হয় কম, খরচও খুব একটা বেশি না। কিন্তু লাভ আসে ষোলো আনা। কথাটা অন্য এলাকার চাষি ভাইদের মতো জেনে গেছেন পঞ্চগড় এলাকার চাষি ভাইয়েরাও। তারাও এগিয়ে এসেছেন কমলা চাষের দিকে। তাদেরই একজন ইসমাইল হোসেন। বাড়ি তার পঞ্চগড় সদর উপজেলার জগদল বাজারে। চাষাবাদের পাশাপাশি কনফেকশনারীর ব্যবসাও করেন। যা হোক, তিনি ২০০৫ সালে বাড়ির সামনের খোলা জায়গায় ১৭টি কমলার চারা রোপণ করেন। মাত্র দু’বছরের মাথায় গাছগুলো ফল দেয়া শুরু করেছে। স্বাদে, গন্ধে ও আকৃতিতে বাজারের অন্যান্য কমলার চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। এ বছর তার প্রতিটি কমলাগাছে প্রায় ২০০টি করে কমলা ধরেছে। তিনি আরো ৬৬ শতক জমিতে কমলার চারা রোপণ করবেন বলে জমি তৈরি করছেন।
ইসমাইল হোসেনের দেখাদেখি সম্প্রতি পঞ্চগড়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কমলার চাষ শুরু হয়েছে। জেলার কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, মাটিতে অ্লের (পিএইচ) মান সাড়ে চার থেকে সাড়ে পাঁচ পর্যন্ত থাকলে সেই জমিতে কমলার চাষ করা যাবে। এ দিক দিয়ে পঞ্চগড় এলাকার জমি খুবই উপযুক্ত।
জেলার চাষি ভাইদের কমলা চাষে আগ্রহ দেখে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর উন্নত কমলা চাষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পের কর্মকর্তা আব্দুর রব জানান, কৃষি বিভাগ জেলায় পাঁচ বছরমেয়াদী কমলা চাষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ২০০৬ সালে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এ পর্যন্ত জেলার ৪ হাজার ৮৮৮টি চারা রোপণ করা হয়েছে। আটোয়ারী উপজেলার জুগিকাটা গ্রামের শাহাজাদা, সদর উপজেলার মীরগড়ের হাফেজ মোঃ মজিবর রহমান, তেঁতুলিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মখলেছার রহমান, আটোয়ারীর পানিশাইল গ্রামের মোঃ আব্দুর রশিদ এবং বোদা উপজেলার সর্দারপাড়া গ্রামের তরিকুল ইসলাম প্রত্যেকে ৬৬ শতক জমিতে কমলার চারা রোপণ করেছেন। কমলাচাষিদের প্রত্যেককে ১৭০টি করে চারা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সরবরাহ করেছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া, আটোয়ারী ও বোদা উপজেলার ৫৪০ জন চাষিকে কমলা চাষের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। জেলা কৃষি অফিসের ৩০ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকেও এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া জেলার সদর উপজেলার বলেয়াপাড়া আব্দুল গফফার চৌধুরী, কাহারপাড়া গ্রামের জিতেন্দ্রনাথ, বড়ভিটার সালাউদ্দিন, জেলা শহরের কামাতপাড়ার আব্দুল জলিল, সিপাইপাড়া এলাকার আব্দুর রহমান, অচিন্ত্য কুমার কারকুন নিজস্ব উদ্যোগে বাড়িতে কমলার চারা রোপণ করেছেন। এসব গাছের উৎপাদিত কমলার রঙ, আকার, স্বাদ ভারতীয় কমলার মতো বলে তারা জানিয়েছেন।
আসাদুজ্জামান আসাদ
তথ্যসূত্র: শাইখ সিরাজ রচিত ‘মাটি ও মানুষের চাষবাস’ গ্রন্থ থেকে সংগ্রহীত
ইসমাইল হোসেনের দেখাদেখি সম্প্রতি পঞ্চগড়ে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কমলার চাষ শুরু হয়েছে। জেলার কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, মাটিতে অ্লের (পিএইচ) মান সাড়ে চার থেকে সাড়ে পাঁচ পর্যন্ত থাকলে সেই জমিতে কমলার চাষ করা যাবে। এ দিক দিয়ে পঞ্চগড় এলাকার জমি খুবই উপযুক্ত।
জেলার চাষি ভাইদের কমলা চাষে আগ্রহ দেখে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর উন্নত কমলা চাষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পের কর্মকর্তা আব্দুর রব জানান, কৃষি বিভাগ জেলায় পাঁচ বছরমেয়াদী কমলা চাষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ২০০৬ সালে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এ পর্যন্ত জেলার ৪ হাজার ৮৮৮টি চারা রোপণ করা হয়েছে। আটোয়ারী উপজেলার জুগিকাটা গ্রামের শাহাজাদা, সদর উপজেলার মীরগড়ের হাফেজ মোঃ মজিবর রহমান, তেঁতুলিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মখলেছার রহমান, আটোয়ারীর পানিশাইল গ্রামের মোঃ আব্দুর রশিদ এবং বোদা উপজেলার সর্দারপাড়া গ্রামের তরিকুল ইসলাম প্রত্যেকে ৬৬ শতক জমিতে কমলার চারা রোপণ করেছেন। কমলাচাষিদের প্রত্যেককে ১৭০টি করে চারা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সরবরাহ করেছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া, আটোয়ারী ও বোদা উপজেলার ৫৪০ জন চাষিকে কমলা চাষের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। জেলা কৃষি অফিসের ৩০ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকেও এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়া জেলার সদর উপজেলার বলেয়াপাড়া আব্দুল গফফার চৌধুরী, কাহারপাড়া গ্রামের জিতেন্দ্রনাথ, বড়ভিটার সালাউদ্দিন, জেলা শহরের কামাতপাড়ার আব্দুল জলিল, সিপাইপাড়া এলাকার আব্দুর রহমান, অচিন্ত্য কুমার কারকুন নিজস্ব উদ্যোগে বাড়িতে কমলার চারা রোপণ করেছেন। এসব গাছের উৎপাদিত কমলার রঙ, আকার, স্বাদ ভারতীয় কমলার মতো বলে তারা জানিয়েছেন।
আসাদুজ্জামান আসাদ
তথ্যসূত্র: শাইখ সিরাজ রচিত ‘মাটি ও মানুষের চাষবাস’ গ্রন্থ থেকে সংগ্রহীত