কপিজাতীয় সবজিতে বেশ কয়েকটি পোকা আক্রমণ করে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ঘোড়পোকা। ঘোড়াপোকা মূলত পাতা খায়। ফুলকপি ও বাঁধাকপির পাতা খেয়ে বেশ ক্ষতি করে।
পূর্ণবয়স্ক ঘোড়াপোকার মথ দেখতে ধূসর-বাদামি রঙের। স্ত্রী মথ পোষক গাছের পাতায় একটি করে ডিম পাড়ে। ডিমের পৃষ্ঠদেশ মসৃণ, হালকা সবুজ রঙের এবং সামান্য চ্যাপ্টা। ৩ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে কীড়া বের হয়। এরপর কীড়া নিজ দেহের চার দিকে মুখের লালা ব্যবহার করে কোকুন তৈরি করে। কোকুন থেকে ১৩ দিন পর পূর্ণবয়স্ক পোকা বা মথ বের হয়। কীড়া অবস্থা গাছের ক্ষতি করে। কীড়া আগার দিকের পাতা খেয়ে গাছকে প্রায় পাতাশূন্য করে ফেলে। বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপি ও ব্রকলি ছাড়াও এরা বিকল্প পোষক হিসেবে বীট, টমেটো, আলু, মটরশুঁটি, লেটুস, সয়াবিন, গো-মটর, চীনা বাদাম, পালংশাক, তুলা এবং কার্নেশন ও ন্যাসটারশিয়াম ফুলের গাছকে ব্যবহার করে এবং এদের পাতা খায়। পাতা দেখতে জালের মতো হয়ে যায়।
ঘোড়াপোকা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ক্ষেত পরিদর্শন করতে হয় এবং পোকার ডিম বা পোকা দেখা মাত্র হাত দিয়ে সংগ্রহ করে আক্রান্ত পাতাসহ নষ্ট করে ফেলতে হয়। আলোর ফাঁদ ব্যবহার করে মথ মেরে ফেলা যেতে পারে। আক্রান্ত ক্ষেতে ব্যাসিলাস থুরিনজিয়েনসিস ব্যবহার করা যায় , এতে পোকা সাথে সাথে মরে না। পোকার খাবার অরুচি সৃষ্টি করে পোকাকে দুর্বল করে মেরে ফেলে। যখন প্রতি ১০টা গাছে একটা করে পোকা বা পোকার মথ দেখা যায় তখনই ফেনিট্রথিয়ন (সুমিথিয়ন ৫০ ইসি, ফলিথিয়ন ৫০ ইসি ইত্যাদি) অথবা সাইপারমেথ্রিন (রিপকর্ড ১০ ইসি, ম্যাজিক ১০ ইসি, বাসাথ্রিন ১০ ইসি ইত্যাদি) জাতীয় কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়।
ক্ষেতের আগাছা নিয়ন্ত্রণ করা, বিশেষ করে বনসরিষা বা বন্য বাঁধাকপি বা কপিজাতীয় আগাছা যেসব গাছে কীড়া সাময়িকভাবে আশ্রয় নিতে পারে। এ পোকা প্রাকৃতিকভাবেই একটি রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রথমে হলুদাভ ও পরে ধূসর সাদা রঙের হয়। এই আক্রান্ত পোকা সংগ্রহ করে পানির সাথে মিশিয়ে আক্রান্ত ক্ষেতে স্প্রে করলে অন্য পোকাগুলো আক্রান্ত হয়ে মরে যেতে পারে। কপিজাতীয় চারা রোপণের সময় সঠিক দূরত্ব বজায় রাখতে হয়। তাতে এক গাছ থেকে আরেক গাছে এরা ছড়িয়ে পড়তে পারে না। স্প্রে করার সময় পাতার উপরে ও নিচে ভালোভাবে স্প্রে করতে হয়।
খোন্দকার মেসবাহুল ইসলাম, কৃষিবিদ
তথ্যসূত্র: শাইখ সিরাজ রচিত ‘মাটি ও মানুষের চাষবাস’ গ্রন্থ থেকে সংগ্রহীত
পূর্ণবয়স্ক ঘোড়াপোকার মথ দেখতে ধূসর-বাদামি রঙের। স্ত্রী মথ পোষক গাছের পাতায় একটি করে ডিম পাড়ে। ডিমের পৃষ্ঠদেশ মসৃণ, হালকা সবুজ রঙের এবং সামান্য চ্যাপ্টা। ৩ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে কীড়া বের হয়। এরপর কীড়া নিজ দেহের চার দিকে মুখের লালা ব্যবহার করে কোকুন তৈরি করে। কোকুন থেকে ১৩ দিন পর পূর্ণবয়স্ক পোকা বা মথ বের হয়। কীড়া অবস্থা গাছের ক্ষতি করে। কীড়া আগার দিকের পাতা খেয়ে গাছকে প্রায় পাতাশূন্য করে ফেলে। বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপি ও ব্রকলি ছাড়াও এরা বিকল্প পোষক হিসেবে বীট, টমেটো, আলু, মটরশুঁটি, লেটুস, সয়াবিন, গো-মটর, চীনা বাদাম, পালংশাক, তুলা এবং কার্নেশন ও ন্যাসটারশিয়াম ফুলের গাছকে ব্যবহার করে এবং এদের পাতা খায়। পাতা দেখতে জালের মতো হয়ে যায়।
ঘোড়াপোকা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ক্ষেত পরিদর্শন করতে হয় এবং পোকার ডিম বা পোকা দেখা মাত্র হাত দিয়ে সংগ্রহ করে আক্রান্ত পাতাসহ নষ্ট করে ফেলতে হয়। আলোর ফাঁদ ব্যবহার করে মথ মেরে ফেলা যেতে পারে। আক্রান্ত ক্ষেতে ব্যাসিলাস থুরিনজিয়েনসিস ব্যবহার করা যায় , এতে পোকা সাথে সাথে মরে না। পোকার খাবার অরুচি সৃষ্টি করে পোকাকে দুর্বল করে মেরে ফেলে। যখন প্রতি ১০টা গাছে একটা করে পোকা বা পোকার মথ দেখা যায় তখনই ফেনিট্রথিয়ন (সুমিথিয়ন ৫০ ইসি, ফলিথিয়ন ৫০ ইসি ইত্যাদি) অথবা সাইপারমেথ্রিন (রিপকর্ড ১০ ইসি, ম্যাজিক ১০ ইসি, বাসাথ্রিন ১০ ইসি ইত্যাদি) জাতীয় কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়।
ক্ষেতের আগাছা নিয়ন্ত্রণ করা, বিশেষ করে বনসরিষা বা বন্য বাঁধাকপি বা কপিজাতীয় আগাছা যেসব গাছে কীড়া সাময়িকভাবে আশ্রয় নিতে পারে। এ পোকা প্রাকৃতিকভাবেই একটি রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রথমে হলুদাভ ও পরে ধূসর সাদা রঙের হয়। এই আক্রান্ত পোকা সংগ্রহ করে পানির সাথে মিশিয়ে আক্রান্ত ক্ষেতে স্প্রে করলে অন্য পোকাগুলো আক্রান্ত হয়ে মরে যেতে পারে। কপিজাতীয় চারা রোপণের সময় সঠিক দূরত্ব বজায় রাখতে হয়। তাতে এক গাছ থেকে আরেক গাছে এরা ছড়িয়ে পড়তে পারে না। স্প্রে করার সময় পাতার উপরে ও নিচে ভালোভাবে স্প্রে করতে হয়।
খোন্দকার মেসবাহুল ইসলাম, কৃষিবিদ
তথ্যসূত্র: শাইখ সিরাজ রচিত ‘মাটি ও মানুষের চাষবাস’ গ্রন্থ থেকে সংগ্রহীত