বিলুপ্তপ্রায় ও বিপদাপন্ন দেশীয় কৈ, মেনি (ভ্যাদা), পাবদা, শিং ও মাগুর মাছের শুক্রাণু হিমায়িতকরণ পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে পুনরায় পোনা উৎপাদনে সফল হয়েছেন গবেষকেরা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের ওই গবেষকেরা জানিয়েছেন, হিমায়িতকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১০০ বছর পরও ওই সব প্রজাতির মাছ পুনঃ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।
গতকাল সোমবার দুপুরে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পড়েন প্রধান গবেষক অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম সরদার। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) অর্থায়নে এ গবেষণা করা হয়। ২০০৮ সালে এ গবেষণা শুরু হয় জানিয়ে তাঁরা দাবি করেন, বিশ্বে এ ধরনের গবেষণা এটাই প্রথম।
অধ্যাপক রফিকুল জানান, দেশীয় প্রাকৃতিক জলাশয়ের মাছ অত্যন্ত সুস্বাদু হলেও প্রতিনিয়তই আমরা চাষ করা মাছের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। এ দেশে প্রায় ২৬৫ প্রজাতির মাছ থাকলেও প্রায় ২৫ প্রজাতির মাছ ইতিমধ্যেই জলাশয় থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। হুমকির সম্মুখীন আরও প্রায় ৫০ প্রজাতির মাছ। জলাশয় ভরাট ও আবাসন সৃষ্টির কারণে অন্যান্য প্রজাতির মাছের উৎপাদনও কমে যাচ্ছে। মৎস্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যমতে, ২০০৭-০৮ সালে দেশীয় শিং, কৈ ও মাগুর মাছের উৎপাদন ছিল প্রায় ৭৬ হাজার মেট্রিক টন, যা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই কম। এসব দিক বিবেচনা করেই হিমায়িতকরণ পদ্ধতিতে দেশীয় প্রজাতির কৈ, মেনি, পাবদা, শিং ও মাগুর মাছের বংশ সংরক্ষণের এ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন তাঁরা।
রফিকুল আরও জানান, হিমায়িত পদ্ধতি বর্তমান সময়ের হ্যাচারিতে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে উৎপাদিত পোনার চেয়ে ভালো। কারণ, কৃত্রিম প্রজননের ফলে পোনার মধ্যে ইনব্রিডিং (আত্মীয় সম্পর্কের মধ্যে প্রজনন) এবং হাইব্রিডাইজেশনের (সংকরায়ণ) সৃষ্টি হয়। ফলে উৎপাদন কমার পাশাপাশি দেশীয় প্রজাতির মাছের অস্তিত্ব দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু হিমায়িত মাছের শুক্রাণু দিয়ে প্রজনন করালে দেশীয় প্রজাতির এসব মাছ বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে।
গবেষণায় সহকারী হিসেবে ছিলেন ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী সংকর কুমার সাহা, মো. ফজলে মনোয়ার সরকার, মো. আবুল কালাম আজাদ ও মনিরুজ্জামান।
সূত্রঃ প্রথম আলো
গতকাল সোমবার দুপুরে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পড়েন প্রধান গবেষক অধ্যাপক মো. রফিকুল ইসলাম সরদার। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) অর্থায়নে এ গবেষণা করা হয়। ২০০৮ সালে এ গবেষণা শুরু হয় জানিয়ে তাঁরা দাবি করেন, বিশ্বে এ ধরনের গবেষণা এটাই প্রথম।
অধ্যাপক রফিকুল জানান, দেশীয় প্রাকৃতিক জলাশয়ের মাছ অত্যন্ত সুস্বাদু হলেও প্রতিনিয়তই আমরা চাষ করা মাছের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। এ দেশে প্রায় ২৬৫ প্রজাতির মাছ থাকলেও প্রায় ২৫ প্রজাতির মাছ ইতিমধ্যেই জলাশয় থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। হুমকির সম্মুখীন আরও প্রায় ৫০ প্রজাতির মাছ। জলাশয় ভরাট ও আবাসন সৃষ্টির কারণে অন্যান্য প্রজাতির মাছের উৎপাদনও কমে যাচ্ছে। মৎস্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যমতে, ২০০৭-০৮ সালে দেশীয় শিং, কৈ ও মাগুর মাছের উৎপাদন ছিল প্রায় ৭৬ হাজার মেট্রিক টন, যা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই কম। এসব দিক বিবেচনা করেই হিমায়িতকরণ পদ্ধতিতে দেশীয় প্রজাতির কৈ, মেনি, পাবদা, শিং ও মাগুর মাছের বংশ সংরক্ষণের এ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন তাঁরা।
রফিকুল আরও জানান, হিমায়িত পদ্ধতি বর্তমান সময়ের হ্যাচারিতে কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে উৎপাদিত পোনার চেয়ে ভালো। কারণ, কৃত্রিম প্রজননের ফলে পোনার মধ্যে ইনব্রিডিং (আত্মীয় সম্পর্কের মধ্যে প্রজনন) এবং হাইব্রিডাইজেশনের (সংকরায়ণ) সৃষ্টি হয়। ফলে উৎপাদন কমার পাশাপাশি দেশীয় প্রজাতির মাছের অস্তিত্ব দিন দিন বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু হিমায়িত মাছের শুক্রাণু দিয়ে প্রজনন করালে দেশীয় প্রজাতির এসব মাছ বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাবে।
গবেষণায় সহকারী হিসেবে ছিলেন ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিক্স বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী সংকর কুমার সাহা, মো. ফজলে মনোয়ার সরকার, মো. আবুল কালাম আজাদ ও মনিরুজ্জামান।
সূত্রঃ প্রথম আলো