পেঁপেরচাষ ও ব্যবস্থাপনা

Monday, August 2, 2010



পেঁপেরচাষ ও ব্যবস্থাপনা
পেঁপেবিশ্বের অন্যতম প্রধান ফল। বাংলাদেশে পেঁপে খুবই জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ফল। শুধুফলই নয়, সবজি হিসেবেও এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। এটি স্বপ্লমেয়াদী সুস্বাদু, পুষ্টিকর এবং ওষুধি গুন সম্পন্ন। আমের পরই ভিটামিন-এ এর প্রধান উৎস হলো পাঁকাপেঁপে। তাছাড়া কাঁচা পেঁপেতে পেপেইন নামক এক প্রকার পদার্থ আছে যা আমাদের হজমেসাহায্য করে।
জাতঃ
আমাদেরদেশে অনেক জাতের পেঁপে পাওয়া যায় তার মধ্যে শাহী (বারি পেঁপে-১) পেঁপে জাতটি আধুনিকজাতের। এছাড়াও স্থানীয় ও বিদেশী হাইব্রিড জাতের পেঁপের চাষ আমাদের দেশে হয়েথাকে।
মাটিঃ
উঁচু ওমাঝারি উঁচু জমি ভাল। তবে দো-আঁশ ও এঁটেল দো-আঁশ মাটি পেঁপে চাষের জন্য উপযোগী।এছারাও উপযুক্ত পরিচর্যার দ্বারা প্রায় সব ধরনের মাটিতেই পেঁপের চাষ করা হয়।
বীজেরপরিমান ওচারা তৈরিঃ
বীজ থেকেবংশ বিস্তার করা যায়। এেত্ের দুই মিটার দূরে দূরে সারি করে লাগালে হেক্টর প্রতি১৪০-১৬০ গ্রাম বীজ লাগে এবং চারার েত্ের ৭৫০০টি চারার প্রয়োজন হয়। পলিথিন ব্যাগেচারা তৈরি করলে রোপণের পর চারা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
চারারোপনঃ
শাহী পেঁপেসারা বছর চাষ করা যায়। তবে চারা রোপনের েত্ের দেড় থেকে দুই মাস বয়সের চারা রোপণকরাই উত্তম। ২(দুই) মিটার দূরে দূরে ৬০*৬০*৬০ সেঃমিঃ আকারের গর্ত করে রোপনের ১৫ দিনপূর্বে গর্তের মাটিতে অনুমোদিত মাত্রায় সার মিশিয়ে চারা রোপন করতে হয়।
সারের পরিমাণঃ
সারেরনাম
জৈব সার
টিএসপি
জিপসাম
বোরাক্র
জিংক সালফেট

পরিমাণ
১২-১৫ কেজি
৫০০ গ্রাম
৫০০ গ্রাম
২৫-৩০ গ্রাম
১৫-২০ গ্রাম

সারপ্রয়োগপদ্ধতিঃ
চারালাগানোর পর গাছে নতুন পাতা আসলে ইউরিয়া ও এমপি সার ৫০ গ্রাম করে ১ মাস অন্তর প্রয়োগকরতে হবে। গাছে ফল আসলে এ মাত্রা দ্বিগুণ করতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীনপরিচর্যাঃ
* প্রতিগর্তে ৩টি চারা রোপন করা যায়। ফুল আসলে ১টি স্ত্রী গাছ রেখে বাকি গাছ তুলে ফেলতেহবে।
* পরাগায়ণের সুবিধার জন্য বাগানে ১০% পুরুষ গাছ রাখতে হবে।
* ফুল হতেফল ধরা নিশ্চিত মনে হলে একটি বোঁটায় একটি ফল রেখে বাকিগুলো ছিড়ে ফেলতে হবে।
* গাছ যাতেঝড়ে না ভেঙ্গে পড়ে তার জন্য খুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
* পানিনিস্কাশন এর জন্য দুই বেডের মাঝ খানে নালা তৈরি করেদিতে হবে।
* শীতকালেপ্রতি ১০-১২ দিন এবং গ্রীষ্মকালে ৬-৮ দিন অন্তর পেঁপের জমিতে সেচ দেয়ার ব্যবস্থাকরতে হবে এবং সেচের অতিরিক্ত পানি যাতে নালা দিয়ে বের হয়ে যেতে পারে সেদিকে খেয়ালরাখতে হবে।
রোগবালাইঃ
পেঁপে গাছেকান্ডপচা, মোজাইক কিংবা পাতা কোঁকড়ানো রোগ দেখা দিতে পারে। কান্ড পচা রোগ হলে গাছেরগোড়ায় বাদামী বর্ণের পানি ভেজা দাগের সৃষ্টি হয়। আক্রান্ত চারা গাছ মরে যায় এবং ঢলেপড়ে। এর প্রতিকার হিসেবে রোগাক্রান্ত চারা গাছ উঠিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। এছাড়ারিডোমিল এম-জেড-৭২ ছত্রাকনাশক প্রতি লিটার পানিতে ২গ্রাম হারে মিশিয়ে আক্রান্তকান্ডে ছিটিয়ে দিলে সুফল পাওয়া যাবে।
ফলসংগ্রহ ওফলনঃ
সব্জিহিসাবে পেঁপে সংগ্রহ করতে হলে ফলের কষ যখন জলীয়ভাব ধারণ করবে তখন বুঝতে হবে পেঁপেসংগ্রহ উপযোগী হয়েছে। ফলের ত্বক হলুদ হলে পাকা ফল হিসাবে সংগ্রহের উপযোগী হয়।

সুত্রঃ সিবোকন লাইন ডটকম

মনের উঠোনে

সাম্প্রতিক সংযোজন

মোবাইল থেকে দেখুন

আমাদের দেশ এখন আপনার মুঠোফোনে, মোবাইল থেকে লগইন করুন আমাদের দেশ

দ র্শ না র্থী

দ র্শ না র্থী

free counters

কে কে অনলাইনে আছেন