রান্নার উপকরন হিসেবে রসুনের ব্যবহার আবহমান কাল থেকেই। শুধু রান্নায় স্বাদের তারতম্য আনার জন্য নয়, রসুনের পুষ্টিগুণও রসুনকে পৌঁছে দিয়েছে উপাদেয় মসলার তালিকায়। তাই রান্নার অনুষঙ্গের পাশাপাশি রসুন(Garlic) স্বাস্থ্য ভাল রাখার মন্ত্র হিসেবেও কাজ করছে।
রসুনে রয়েছে ময়শ্চার, প্রোটিন, ফ্যাট, মিনারেল ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট। ভিটামিন ও মিনারেলের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, থিয়ামিন, রিবোফ্লোভিন, ভিটামিন সি। এছাড়া আয়োডিন, সালফার ও ক্লোরিনও রয়েছে অল্প পরিমানে।
- রসুন ক্ষুধা মন্দা তৈরী করে।
- অ্যাজমা, কানে কম শোনা প্রভৃতি থেকে সুরক্ষা করে রসুন।
- রসুন ফুসফুস, ব্রঙ্কিয়াল টিউব, সাইনাসের গহ্বরে মিউকাস জমতে দেয়না।
- টিউবার কিউলোসিস, নিউমোনিয়া, হুপিং কাশির মতো অসুখে রসুন উপকারী।
- রসুন ঘা, আলসার সহজে সারায়।
- হজমে গোলমাল যেমন আমাশয় ও কৃমির সমস্যাতেও এটি উপকারী।
- ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করতেও রসুন উপযোগী।
- রক্ত সঞ্চালন সঠিক রেখে শরীরে টক্সিন কমায়।
- ক্যানসার প্রতিরোধক হিসেবেও রসুনের সুনাম রয়েছে।
# রসুনের অপকারীতা
রসুন বেশী খেলে অনেক সময় মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয়।
- রসুন থেকে অ্যালার্জি হতে পারে।
- রসুন নরম হয়ে গেলে বা সবুজ রঙ দেখা দিলে সেই রসুন কিনবেন না। কারণ এসব রসুনের কার্যগুন নষ্ট হয়ে যায়। কেনার সময় মাঝারি আকারের রসুন কিনুন।
- বন্ধ পাত্রে না রেখে খোলা পাত্রে রসুন রাখুন। ভুলেও রেফ্রিজারেটরে রসুন রাখবেন না। এতে করে রসুন নরম হয়ে যাবে।
- কাঁচা রসুন স্বাস্থ্যকর নয়। ভাজার জন্য বা কারি পেস্টের জন্য রসুন ব্যবহার করা হয়।