Wednesday, March 28, 2018

কাজু বাদাম চাষে ব্যাপক সাফল্য পাহাড়ে


বান্দরবান থেকে ফিরে: জুমভিত্তিক চাষাবাদ নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসছেন পাহাড়িরা। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, উৎপাদিত পণ্য বিক্রির বাজার তৈরি, লাভজনক ফল-ফসলের ব্যাপক ফলন, প্রাচীন বদ্ধমূল ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে আধুনিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে বান্দরবানের পাহাড়ি এলাকায়। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও যেখানে পরিবহন ব্যবস্থা তুলনামূলক সহজ হয়েছে, সেখানে বাড়ছে আম, কফি, কাজু বাদামসহ বিভিন্ন অর্থকরী ফসলের আবাদ।

স্থানীয় ভাষায় ‘তাম’ বা কাজু বাদাম এমন একটি ফসল। দামি ফল হিসেবে কাজুর পরিচিতি সবার কাছে। আমদানি নির্ভর এ ফলটি নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে পাহাড়ে। বাধা শুধু সংরক্ষণে সমস্যা আর পোস্ট প্রসেসিং বা উৎপাদনের পর খাওয়ার উপযোগী করে প্রস্তুতকরণে। উৎপাদন ও চাষাবাদ যে হারে বাড়ছে তাতে খুব শিগগিরই পাহাড়ে কাজু ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলা সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বান্দরবান থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরের উপজেলা থানচির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় অন্য ফসলের পাশাপাশি ব্যাপকহারে বেড়েছে কাজু বাদামের চাষ। পাহাড়িরা যে চাষাবাদে লাভ বেশি সেটা ঝোঁকেন বেশি। এমনকি জমিতে অন্য ফসল থাকলেও তা কেটে নতুন অর্থকরী ফসলে মনোযোগ দেন। ৪০-৫০ বছর ধরেই বান্দরবানের পাহাড়ে কাজু চাষ হচ্ছে। তবে বাণিজ্যিক চাষাবাদ বেড়েছে সম্প্রতি। বিশেষ করে সবশেষ দুই বছরে।

পাহাড়ে কাজু বাদাম চাষ বাড়তে দীর্ঘদিন কাজ করছেন রুমা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। কথা হলে তিনি বলেন, পাহাড়ি মাটি, আবহাওয়া সবই কাজু বাদাম চাষের বিশেষ উপযোগী। তাছাড়া পরিচর্যা ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় অতিরিক্ত কোনো খরচ নেই। আর আগে দাম না পাওয়ার যে বিষয়টি ছিল সেটি এখন নেই।

‘পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রথমে পাহাড়ের সব শ্রেণীর মানুষের মধ্যে কিছু কফি ও কাজু বাদামের চারা সরবরাহ করে। সেটা


সূত্রঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম