Saturday, May 21, 2011

ঝলকে উঠেছে ঝলক ধান


শস্যভাণ্ডারখ্যাত চলনবিলে চলতি বোরো মৌসুমে বিআর-২৮, মিনিকেট, বিআর হীরা ও বোরো ধানের পাশাপাশি উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড ধান ঝলকেরও বাম্পার ফলন হয়েছে। এবারই প্রথম ঝলক ধান চাষ করেছে এ অঞ্চলের কৃষকরা। সময়মতো বৃষ্টিপাত ও প্রকৃতির অনুকূল পরিবেশ থাকায় ভালো ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। পাকা ফসলগুলো এখন সোনালি আভায় ঝলমল করছে। সিরাজগঞ্জে কয়েকশ কৃষক এবার ঝলক ধান চাষ করেছে। বীজ কোম্পানি এনার্জি প্যাক এগ্রো লিমিটেড চীনের উইনেক হাইটেড সিড কোম্পানি উৎপাদিত ঝলক নামের এ বীজ বাজারজাত করে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চন্ডিদাসগাতী গ্রামের কৃষক হায়দার আলী, শালুয়াভিটা গ্রামের সুমন আলী, জাহাঙ্গীর হোসেন, উল্লাপাড়া উপজেলার বালসাবাড়ীর কৃষক হেলাল উদ্দিন, মোখলেসুর রহমান, এমদাদুল হক, জাফর শেখ, শাহজাদপুর উপজেলার কৃষক রুবেল খন্দকার, মাহবুব আলম, আলিম শেখ, কামারখন্দ উপজেলার কৃষক মোতালেব হোসেন, ফারুক ইসলাম, বেলকুচি উপজেলার সবুর হোসেন, আলী মাস্টার, ইব্রাহীম হোসেন, রায়গঞ্জ উপজেলার কৃষক মঞ্জুরুল ইসলাম, কালাম মাস্টার, হাই তালুকদার, তাড়াশ উপজেলার কৃষক খলিকুর রহমান, মোখলেস হোসেন, আইয়ুব আলী, সোবহান শেখ, আবু বকর শেখ সবাই ৩-৪ বিঘা জমিতে ঝলক ধান চাষ করেছেন। শাহজাদপুর উপজেলার কৃষক রুবেল খন্দকার জানান, এবারই প্রথম সে তার ৪ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ঝলক ধান চাষ করেছেন। ফলনও বেশ ভালো। প্রতি শতকে প্রায় ১ মণের বেশি ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

এনার্জি প্যাক এগ্রো লিমিটেড কোম্পানির সিরাজগঞ্জের মার্কেটিং অফিসার মিন্টু মিয়া জানান, সিরাজগঞ্জ জেলায় মোট সাড়ে ১০ হাজার কেজি ঝলক ধানের বীজ বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ সদরে ২ হাজার, শাহজাদপুরে ২ হাজার ৫০০ কেজি, উল্লাপাড়ায় ২ হাজার কেজি, কামারখন্দে ৫০০ কেজি, বেলকুচি ৫০০ কেজি, তাড়াশে ৩ হাজার কেজি বীজ বিক্রি হয়েছে। ঝলক ধান বোরো মৌসুমে সবচেয়ে আগাম জাতের ধান। জেলায় কয়েকশ কৃষক ঝলক ধান চাষ করেছেন। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলনও ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সিরাজগঞ্জ কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দুলাল চন্দ্র রায় জানান, এ বছর সিরাজগঞ্জে প্রায় সাড়ে ৭শ হেক্টর জমিতে ঝলক ধান চাষ করা হয়েছে। কৃষকরা টিএসপি ও পটাশ সার সুষমভাবে ব্যবহার করায় এ ফলন সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও পরিবেশ অনুকূলে ছিল।


তথ্য সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন, তারিখ: ২১ মে ২০১১