Friday, December 31, 2010

কলা চাষি বদরুদ্দিন


কৃষি দেশীয় অর্থনীতির চালিকাশক্তি। সুতরাং কৃষি উন্নয়নের সঙ্গে দেশের উন্নয়ন নির্ভর করে। কৃষকরা নিজেদের জমিতে ক্ষুদ্র উদ্যোগ নিয়ে অধিক ফসল ফলাচ্ছে। ফুল, কলা, আনারস, নারিকেল, সুপারিসহ বিভিন্ন কৃষি ফসল চাষাবাদ করছে দেশের কৃষক। কৃষক বদরুদ্দিনের বয়স ষাট বছর। ছোটবেলা থেকে তার কৃষি উৎপাদন ভালো লাগে। নিজের জমিতে কৃষি ফসল আবাদ করতে করতে তিনি দক্ষ কৃষক হয়ে ওঠেছেন। কৃষি বিষয়ে তার কোনো প্রশিক্ষণ নেই। কয়েক বছর যাবৎ তিনি কলা চাষে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন। বদরুদ্দিন পাঁচ বছরব্যাপী ৩ একর জমিতে কলা চাষ করছেন। তিনি জানান_ 'আমি নারিকেল, সুপারি, আখ ও সবজি চাষ করি। পাঁচ বছর কলা চাষ করছি। কলা চাষে নিজেই উৎসাহিত হয়েছি। প্রথমে জমির আইলে দশ হাত অন্তর কলা গাছ লাগাই। প্রথম বছর আমি অনেক ফসল পাই। এক পর্যায়ে বেশি করে চাষ করতে থাকি।'

বদরুদ্দিনের চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন_ 'আমি ৩ একর জমিতে কলা চাষ করছি। প্রথমে মাটিতে গোবর দেই। এভাবে পুরো শুকনো মৌসুম ফেলে রাখি। এক পর্যায়ে কলার তেড় (কলা গাছ) লাগাই। পাঁচ হাত অন্তর কলা গাছের তেড় পুঁতি (লাগানো)। বছর আসতে না আসতেই গাছে ফলন শুরু হয়। আমি কলা গাছের পাশাপাশি মৌসুমি শাকসবজি ডাঁটা, পুঁইশাক, মুলা, পালংশাক, মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি চাষ করছি। এসব চাষের মাধ্যমে পরিবারের চাহিদা মেটাতে পারছি। আমার আবাদি জমিকে সঠিক ব্যবহার করতে পারছি। অন্যদিকে বাড়তি উপার্জনও হচ্ছে।' কলা চাষে রক্ষাণবেক্ষণ খুব জরুরি। পানি দেওয়া, অপ্রত্যাশিত পোকা দমন, আগাছা বিনষ্ট করতে হয়। বদরুদ্দিন আরও জানান_ আমার কৃষি কাজে সব সময় আমার দুই ছেলে সহযোগিতা করে। মাঝেমধ্যে আমার স্ত্রী। আর ব্যাপারি (ক্রেতা) এসে বাড়ি থেকে কলা কিনে নিয়ে যায়। এখন সপ্তাহান্তে আমি মোটামুটি ভালো টাকার কলা বিক্রি করি।

তথ্য সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন, তারিখ: ২৫-১২-২০১০