ফসল চাষ করে কিংবা অন্য কোন কাজ করে নয়, এবার কলাবাগান করে স্বাবলম্বী হলেন রাউজানের গহিরার যুবক আবদুল হালিম। কোন সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়াই সম্পূর্ণ নিজ চেষ্টায় কলা চাষ করে রাউজান তথা উত্তর চট্টগ্রামের সাগর কলার চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করছেন এই যুবক।
২০০১ সালে গহিরার অনাবাদি ১৩৬ শতক দুটি পৃথক জায়গা বন্ধক নিয়ে রংপুর থেকে কলাবীজ এনে দুইটি বাগানে লাগায় সে। এরপর আর তাকে পেছন ফিরে থাকাতে হয়নি। সম্প্রতি তার কলাবাগান সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে সাফল্যের এই ইতিবৃত্ত পাওয়া যায়। তার মতে চেষ্টা করলে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে কাঙিড়্গত লড়্গ্যে পৌঁছানো সম্ভব তাই সবাই একেকটি করে প্রজেক্ট নিলে দেশের এবং নিজের চাহিদাও পূরণ করা দুষ্কর নয়। এড়্গেত্রে সবাইকে পরিশ্রমী হতে হবে। গহিরা দলই নগর গ্রামের আবুল কালামের পুত্র ৮ম শ্রেণী পাস আবদুল হালিম ৮ ভাই ২ বোনের মধ্যে ২য়।
২০০১ সালে রংপুরের মোং শহিদ নামের এক গৃহকর্মীর পরামর্শে রংপুর থেকে এক হাজার চারা এনে প্রথমে ১শ শতক জায়গায় লাগান। এ বাগান গড়ে তুলতে খরচ হয় ১ লড়্গ ৬০ হাজার টাকা। প্রথম বছর লাভের মুখ তেমন না দেখলেও পরের বছর থেকে ভালোই সফল হয়ে আসছেন তিনি। বলেছেন একশ শতক জায়গায় কলাবাগানটি করার পর লাভ হওয়ায় তার পাশে ৩৬ শতক জায়গায় আরেকটি বাগান গড়ে তুলেছি। বর্তমানে তার দুইটি বাগানে ৫ লাখ টাকার বেশি কলা রয়েছে। তিনি আরো জানান, তার বাগানের কলা শুধু রাউজানে নয়, রাঙ্গামাটি, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও চট্টগ্রাম শহরের ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা নিয়ে যায় খুচরা বিক্রি করতে। শুধু কলা নয়, বাড়ির আঙ্গিনায় বা নিজস্ব বাগানে লাগানোর জন্য কলার চারাও নিয়ে যান অনেকে। একটি কলা চারা ১০ টাকা দরে বিক্রি হয় বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, তার বাগান থেকে একটি কলা পাইকারী হারে ২ টাকা ৮০ পয়সা করে নেন। ভালো জাতের কলা হওয়ায় পাইকারী ক্রেতারা কলা কিনতে আসেন প্রতিদিন। খুচরা বিক্রেতারা তাদের দোকানে একটি কলা বিক্রি করে থাকেন ৪/৫ টাকা করে।
সু্ত্র : ইত্তেফাক।